এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : উত্তর কোরিয়া ও ইরান- দুটি রাষ্ট্রই পরমাণু ‘বিষফোঁড়া’ যুক্তরাষ্ট্রের জন্য। দেশ দুটিকে ‘বিশ্বের জন্য বড় হুমকি’ বলে উল্লেখ করে আসছে মার্কিন রাজনীতিকরা। বশে আনতে প্রয়োগ করছেন নানা কায়দা-কৌশল। অর্থনৈতিক অবরোধ থেকে শুরু করে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা- সবই রয়েছে কৌশলগুলোর মধ্যে। পরমাণু ইস্যুতে ইতিমধ্যে পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছে ওয়াশিংটন। ইরানের ব্যাপারে কয়েক সপ্তাহ ধরে নানা হুমকিধমকি দিয়ে আসছেন ট্রাম্প। হঠাৎই সেখান থেকে সরে এলেন তিনি। জানালেন, তেহরানের সঙ্গে বৈঠকে প্রস্তুত তিনি। তাও যে কোনো সময়ে, পূর্ব কোনো শর্ত ছাড়াই। তবে ট্রাম্পের ‘শর্তহীন’ বৈঠকের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে তেহরান। মঙ্গলবার এ খবর জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান। ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সঙ্গে বসতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। সোমবার হোয়াইট হাউসে ইতালির প্রধানমন্ত্রী গুসেপে কন্তের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি যে কারও সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারি। কারণ আমি আলোচনায় বিশ্বাস করি।’
তিনি বলেন, ‘কোনো পূর্বশর্ত ছাড়াই যে কোনো সময় ইরানের হাসান রুহানির সঙ্গে বসতে প্রস্তুত। তিনি আরও বলেন, তারা যদি বৈঠক করতে চায়, আমিও তাদের সঙ্গে বসব। তারা চাইলে যে কোনো সময় এটা হতে পারে। এটা তাদের জন্যও ভালো। আমাদের জন্যও ভালো। তবে আমি এখনও জানি না এ ব্যাপারে তারা প্রস্তুত কিনা।’
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক আগের তুলনায় উষ্ণ হলেও উত্তর কোরিয়া গোপনে নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করছে বলে সন্দেহ মার্কিন কর্মকর্তাদের। গোয়েন্দা উপগ্রহগুলোর ছবিতে পিয়ংইয়ংয়ের কাছের একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্রে অনেক দিন ধরেই ধারাবাহিক তৎপরতা লক্ষ করা যাচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা সোমবার ওয়াশিংটন পোস্টকে এ কথা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার রয়টার্স বলছে, গোয়েন্দাদের একজন জানিয়েছেন, নতুন এ ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদনে উত্তর কোরিয়া কতটুকু অগ্রসর হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়।
গত মাসে সিঙ্গাপুরের সানতোসা দ্বীপে এক ঐতিহাসিক বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তরের শীর্ষ নেতা কিম জং উন কোরীয় উপদ্বীপকে ‘সম্পূর্ণ পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণে’ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প ‘উত্তর কোরিয়া আর পরমাণু হুমকি নয়’ বলেও মন্তব্য করেছিলেন। জুনের ওই বৈঠকের ধারাবাহিকতায় প্রথমে পুঙ্গি রি পরমাণু পরীক্ষা কেন্দ্রটি ধ্বংস এবং পরে এ মাসে একটি রকেট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র ভেঙে ফেলার ঘোষণা দেয় পিয়ংইয়ং।