এশিয়ান বাংলা, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামে এবার পুলিশ কর্মকর্তার বাসা থেকে ১৪ হাজার ১০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে র‌্যাব। সোমবার রাতে নগরীর বাকলিয়া থানার পশ্চিম বাকলিয়ার হাফেজনগরের গোফরান উদ্দিন মুন্সীবাড়ির একটি ভাড়া ফ্ল্যাট থেকে ইয়াবাগুলো উদ্ধার করা হয়। নগরীর বাকলিয়া থানার এসআই খন্দকার সাইফুদ্দিন ফ্ল্যাটটি ভাড়া নিয়ে ইয়াবা ব্যবসা করতেন বলে র‌্যাবের দাবি। তবে অভিযানের সময় ওই বাসায় খন্দকার সাইফুদ্দিনকে পাওয়া না গেলেও এসএম নাজিম উদ্দিন মিল্লাত নামে তার মাদক ব্যবসার এক সহযোগীকে বাসাটি থেকে গ্রেফতার করা হয়। সেখান থেকে ইয়াবা ছাড়াও ২ লাখ ৩১ হাজার ৬৩০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় এসআই খন্দকার সাইফুদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার দক্ষিণ এসএম মোস্তাইন হোসেন।

তিনি জানান, সাময়িক বরখাস্তের পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। এজন্য সহকারী কমিশনার পদমর্যাদার একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রধান করে গঠন করা হয়েছে তিন সদস্যের একটি কমিটি।

ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় বিকেলে এসআই সাইফুদ্দিন ও বাড়ির মালিকের ছেলে নাজিম উদ্দিন মিল্লাতের বিরুদ্ধে বাকলিয়া থানায় মামলা করেছে র‌্যাব। এই মামলায় এসআই সাইফুদ্দিনকে পলাতক দেখানো হয়েছে। নগরীর পশ্চিম বাকলিয়া এলাকার তুলাতলী গোফরান উদ্দিন মুন্সী বাড়িতে বাকলিয়া থানার এসআই এবং চাক্তাই ফাঁড়ির ইনচার্জ খন্দকার সাইফুদ্দিনের ভাড়া বাসায় সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে বাড়ির মালিকের ছেলে মিল্লাতকে ১৪ হাজার ১০০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করে র‌্যাব-৭। বাসাটি এসআই সাইফ ভাড়া নিয়েছিলেন। অভিযানের সময় তাকে ওই বাসায় পাওয়া যায়নি। তবে তার ব্যবহৃত পুলিশের পোশাক বাসাটি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে র‌্যাব জানিয়েছে। র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র এএসপি মিমতানুর রহমান বলেন, সোমবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাসাটিতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নগদ টাকা ও ইয়াবাসহ নাজিম উদ্দিন মিল্লাত নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার ব্যক্তি জানিয়েছেন, বাকলিয়া থানার এসআই সাইফুদ্দীন পরিবার নিয়ে অন্য জায়গায় থাকলেও তিনি বাসাটি ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা ব্যবসা করতেন।

বাকলিয়া থানার ওসি প্রণব চৌধুরী বলেন, এসআই খন্দকার সাইফুদ্দিন বর্তমানে বাকলিয়া থানাধীন চাকতাই পুলিশ ফাঁড়িতে আইসি হিসেবে কর্মরত। তিনি বাকলিয়া কল্পলোক আবাসিকে পরিবার-পরিজন নিয়ে থাকেন। হাফেজনগর গোফরান উদ্দিন মুন্সীবাড়ির বাসাটিতে এক বছর আগে থাকতেন।

অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে এসআই খন্দকার সাইফুদ্দিনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version