এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : হঠাৎ গাছপালা আর পাথুরে পাহাড় ফুঁড়ে বেরিয়ে এসেছে ‘ঈশ্বরের হাত’। এসেই উঁচু করে তুলে ধরেছে ধনুকের মতো বাঁকানো একটি সোনা রঙের ব্রিজ। আর তার ওপর দিয়ে হাঁটছে আদমের পর্যটন বিলাসী আধুনিক বংশধররা। ভিয়েতনামের দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলের ডানাং শহরের এই ব্রিজটি এখন গোটা দেশের বিস্ময়। সামাজিক গণমাধ্যমের একমাত্র আলোচনা মসলা। ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম-টুইটার-হোয়াটসঅ্যাপ-ভাইবারে রীতিমতো ভাইরাল হয়ে গেছে এই বিশালাকার দুই ‘ঈশ্বরের হাত’। মাত্র দুই মাসেই ১৫০ মিটার ব্রিজটি এখন পর্যটকদের পাহাড়-প্রকৃতির একমাত্র মেলবন্ধন।
আজ থেকে প্রায় ৫০০ বছর আগে সিসটিন চ্যাপেলের ভেতরের ছাদে ‘দ্য ক্রিয়েশন অব আদম’ (১৫০৮-১০১২) নামের এক শিল্পকর্ম এঁকেছিলেন বিখ্যাত শিল্পী মাইকেল অ্যাঞ্জেলো। স্বর্গ থেকে নেমে আসা ঈশ্বর আদমের হাত স্পর্শ করতে উদ্যত এমন একটি দৃশ্য শিল্পকর্মটিতে উপজীব্য করে তোলা হয়। ব্রিজটির হাত দুটি তারই অনুকরণে নকশা করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রথমে ১৯১৯ সালে এটা ফরাসি দখলদারদের হাতে নির্মিত হয়েছিল। নতুন করে নির্মাণ চলতি বছরের জুনে এর উদ্বোধন করা হয়। স্বর্ণের মতো রং। তাই এর নাম ‘গোল্ডেন ব্রিজ’। ব্রিজিটির এই নান্দনিক স্বতন্ত্র স্টাইলের কল্যাণে সামাজিক মাধ্যমে এটা ভাইরাল হয়ে গেছে। ভিয়েতনামের ডানাং শহর বর্তমানে পর্যটনের বড় আকর্ষণ। এখানে রয়েছে পাহাড় ওপর দিয়ে চলাচলের জন্য ক্যাবল কার, অসংখ্য প্রাসাদ আর ক্যাথেড্রাল সমৃদ্ধ মধ্যযুগের ফরাসি অধ্যুষিত গ্রামের রেপ্লিকা আর পরিপাটি করে সাজানো সব বাগান। মার্কিন জনপ্রিয় শিল্পী লেডি গাগা ও মাইকেল জর্ডানের মোমের মূর্তি বসিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে মোমের জাদুঘর। সর্বোপরি সুবর্ণ রঙের গোল্ডেন ব্রিজ। সবকিছু ছাপিয়ে ব্রিজটির ব্যাপারে বেশি আগ্রহী দর্শণার্থীরা। গত বছর ১ কোটি ৩০ লাখ বিদেশি পর্যটক এসেছিল এটি দেখতে। নগুয়েন ত্রাং ফুক বলেন, ব্রিজটি অতুলনীয় সুন্দর। বিশেষ করে এর বিস্ময়কর স্থাপত্যশৈলী। এখানে দাঁড়ালে ডানাংয়ের আগাগোড়া দেখা যায় অনায়াসে।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version