এশিয়ান বাংলা, ঢাকা : নিরাপদ সড়কের দাবিতে সপ্তম দিনের মতো রাজধানীর রাস্তায় নেমেছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
ব্যাগ কাঁধে ইউনিফর্ম পরা শিক্ষার্থীরা শনিবার সকাল থেকে বৃষ্টির মধ্যেই বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়ে সড়কে চলাচলকারী যানবাহনের চালকদের সনদ পরীক্ষা করছে।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পাল্টায় পবিহন মালিক-শ্রমিকরা বাস না নামানোয় সড়কে শুধু ব্যক্তিগত গাড়ি ও সিএনজি অটোরিকশাই চলাচল করছে।
শিক্ষার্থীরা অবরোধ তৈরি না করে শুধু এসব গাড়ি থামিয়ে চালকদের ও গাড়ির লাইসেন্স দেখতে চাচ্ছে।
সকাল ১০টার পরে মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বরে জড়ো হয়ে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে মিরপুর ১ নম্বরের দিকে যায়। ফিরে ওই চত্বরে অবস্থান নিয়ে গাড়ির লাইসেন্স পরীক্ষা শুরু করে।
সেখানে থাকা আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, “সব দাবি পূরণ না হলে রাস্তা ছাড়ব না।”
মিরপুর-২ নম্বরে হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
গত ২৯ জুলাই বাসচাপায় রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে নামে ঢাকার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
তাদের আন্দোলন থেকে ওঠা ৯টি দাবি পূরণের ঘোষণা দিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরার আহ্বান জানানো হলেও শুধু আশ্বাসে সন্তুষ্ট নন শিক্ষার্থীরা।
মিরপুর ১০ নম্বর সেকশনের মতো ৬, ২ ও ১ নম্বর সেকশনেও সড়কে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে অন্য দিনের মতো যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছে। তাদের সঙ্গে পুলিশকেও এখন সড়কে চালকদের লাইসেন্স পরীক্ষায় তৎপর দেখা গেছে।
রামপুরা সেতুতে শিক্ষার্থীরা বেলা সাড়ে ১০টার দিকে সড়কে নামতে চাইলেও তা করতে দেয়নি পুলিশ। সহকারী পুলিশ কমিশনার ট্রাফিক পূর্ব অফিসের কেউ কথা সাংবাদিকদের সঙ্গে বলতে বলতে চায়নি।
রামপুরা থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জনগণের দুর্ভোগের কথা ভেবে সড়ক অবরোধ করতে দেবে না পুলিশ।”
এসময় শিক্ষার্থীদের ডেকে নিয়ে বোঝাতে দেখা গেছে পুলিশ সদস্যদের। পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় অবস্থান নেয়।
মালিবাগ চৌধুরী পাড়ায়ও শিক্ষার্থীরা সড়কে অবস্থান নিয়ে যানবাহনের লাইসেন্স পরীক্ষা করছে।
শান্তিনগর মোড়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। সেখানে ভিকারুননিসা, সিদ্ধেশ্বরী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল ও কলেজের এবং স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়েছে।