এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : প্রথমবারের মতো ল্যাবরেটরিতে তৈরি ফুসফুস শূকরের শরীরে প্রতিস্থাপন করা হলো সফলভাবে। দেখা গেছে, প্রাকৃতিক ফুসফুসের মতোই কার্যকরী এই কৃত্রিম ফুসফুস। অচিরেই মানুষের শরীরেও কৃত্রিম ফুসফুসে প্রতিস্থাপন করা যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

সাধারণত রোগের কারণে কোনো অঙ্গ অচল হয়ে পড়লে তা প্রতিস্থাপনের জন্য দাতার অপেক্ষা করতে হয়। দাতা না পেলে অনেকসময় মারাও যান রোগী। কিন্তু এই প্রযুক্তিতে আর দাতার জন্য অপেক্ষা করতে হবে না।

ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস মেডিকাল ব্রাঞ্চের গ্যালভেস্টন ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির সহকারী পরিচালক জোয়ান নিকোলস জানান, ফুসফুসের মতো একটি পরিপূর্ণ অঙ্গ এই প্রথম তৈরি এবং প্রতিস্থাপন হলো। প্রতিস্থাপনের পর কোনো ইনফেকশন হয়নি এবং যেসব প্রাণীর শরীরে এ ফুসফুস প্রতিস্থাপন হয় তারাও সুস্থ। সাধারণত ল্যাবরেটরিতে তৈরি অঙ্গ প্রতিস্থাপনের কয়েক ঘণ্টার মাঝেই তা অচল হয়ে যায়। কিন্তু এই ফুসফুসগুলো দুই মাস পরেও সচল এবং কার্যকর রয়েছে।

ল্যাবরেটরিতে এই ফুসফুস তৈরির জন্য গবেষকরা প্রথমেই অন্য একটি শূকরের এক জোড়া ফুসফুস ব্যবহার করে ছাঁচ বা স্ক্যাফোল্ড তৈরি করেন। এরপর অন্য একটি শূকরের থেকে একটি ফুসফুস নেওয়া হয় উৎস হিসেবে। এরপর ‘রোগী’ শূকরের ফুসফুসের অনুকরণে বায়োএঞ্জিনিয়ারিং করে নতুন ফুসফুস তৈরি হয় এবং তা ওই শূকরের শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়।

সব মিলিয়ে ছয় জোড়া ফুসফুস এভাবে তৈরি করা হয়। তবে অস্ত্রোপচারে জটিলতার কারণে মাত্র চারটি শূকরের শরীরে এই ফুসফুস প্রতিস্থাপন করা হয়।

নিকোলস জানিয়েছেন, প্রতিস্থাপনের পর ওই শূকরদের শরীরে ফুসফুস স্বাভাবিকভাবেই রয়েছে, তার বৃদ্ধিও হচ্ছে প্রাকৃতিকভাবেই। এই পদ্ধতিতে মানুষের শরীরে ফুসফুস প্রতিস্থাপন সম্ভব হতে আরও ৫ থেকে ৮ বছরের পরীক্ষা প্রয়োজন হতে পারে। সূত্র: দ্যা টেলিগ্রাফ

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version