এশিয়ান বাংলা ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির নামে ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজনের চেষ্টাসহ একাধিক অভিযোগ এনে আরও দুটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট পাঁচটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় থেকে।

আসামের নাগরিক পুঞ্জিকরণ তালিকা (এনআরসি) নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে মন্তব্য করায় তাকে মামলার জালে জড়ানো হয়েছে। প্রতিক্রিয়ায় মমতা বলেন, ‘ওরা (বিজেপি) আমার বিরুদ্ধে লাখ লাখ অভিযোগ দায়ের করতে পারে। তাতে আমার কিছু যায়-আসে না।’ মমতা ব্যানার্জি আরও বলেন, ‘আমরা জানি দেশে গণতন্ত্র নেই। পরিস্থিতি জরুরি অবস্থার থেকেও খারাপ। আমাকে ভয় দেখিয়ে দমিয়ে রাখা যাবে না। আমি মানুষের হয়ে কথা বলবই।’

গৌহাটি সেন্ট্রাল পুলিশের ডেপুটি কমিশনার রঞ্জন ভুঁইয়া জানান, ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজনের চেষ্টাসহ একাধিক ধারায় গৌহাটি ও শিলচরে দুটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। গৌহাটি গীতানগর থানায় রাজ্য সরকারের কর্মী ব্রুবজ্যোতি তালুকদার ও শিলচরে তৃণমূল প্রতিনিধি দলের সদস্যদের হাতে ‘আক্রান্ত’ নারী কনস্টেবল এফআইআর করেছেন বলে জানা গেছে।

এনডিটিভি জানায়, মমতার বিরুদ্ধে গৌহাটির এফআইআরে ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজনের চেষ্টা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ও উসকানিমূলক বক্তব্যের সাহায্যে ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাতের মতো গুরুতর ধারা যুক্ত হয়েছে। অন্যদিকে শিলচরের অভিযোগ ১৪৪ ধারা লঙ্ঘনের চেষ্টা সংক্রান্ত। এর আগে পানবাজারসহ আরও দুটি জায়গায় মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আসামের পরিস্থিতি দেখতে আসা তৃণমূল প্রতিনিধি দলের সদস্যদের নামও আছে ওই দুটি এফআইআরে।
সোমবার আসামে এনআরসির তালিকা প্রকাশ করা হয়। এ তালিকায় ৪০ লাখ বাঙালির নাম বাদ পড়ে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মমতা বলেন, ‘এর ফলে দেশে গৃহযুদ্ধ লাগতে পারে। বইতে পারে রক্তগঙ্গা।’ এরপরই তার বিরুদ্ধে একে একে মামলা ঠুকে দিতে থাকেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version