এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : চীনের ১৬০০ কোটি ডলার মূল্যের পণ্যে শুল্কারোপের বদলা হিসেবে একই পরিমাণ পণ্যমূল্যের ওপর শুল্ক বসিয়েছে বেইজিং। মঙ্গলবার চীনের ২৭৯টি পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ হারে করারোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। জবাবে বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের ১৬০০ কোটি ডলার মূল্যের ৩৩৩টি পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ হারে শুল্কারোপ করেছে চীন।

বিশ্বের দুই পরাশক্তির আরোপিত এ শুল্ক কার্যকর হবে ২৩ আগস্ট থেকে। এদিকে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে ফাটল ধরাতে যুক্তরাষ্ট্র বারবার শুল্কারোপ করছে বলে মনে করেছে চীন সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চারটি সূত্র। খবর রয়টার্সের।

চলতি বছরের জুলাইতে চীনের ৩৪০০ কোটি ডলার মূল্যের পণ্যের ওপর ২৫ ভাগ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাকি ১৮০০ কোটি ডলার পণ্যের ওপর শুল্ক পরে কার্যকর করা হবে।

চীনা পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের পদক্ষেপকে ‘দস্যু মানসিকতা’ অ্যাখ্যা দিয়েছে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে সব ধরনের উপায় বেছে নেয়ার অধিকার বেইজিংয়ের আছে বলেও বৃহস্পতিবার সতর্ক করেছে তারা।

বাণিজ্য বিরোধকে কেন্দ্র করে বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের মধ্যে উত্তেজনা যে তরতর করে বাড়ছে চীনা গণমাধ্যমের ভাষ্যে তা প্রতিফলিত হয়েছে।

চীনের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত সংবাদপত্র চায়না ডেইলি তাদের সম্পাদকীয়তে বলেছে, ‘যুক্তরাষ্ট্র যদি তার দস্যু মানসিকতা থেকে বেরিয়ে না আসে তাহলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বিরোধ নিয়ে চলমান ঠোকাঠুকি আরও বেড়ে যেতে পারে।

বাণিজ্য যুদ্ধ এড়াতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে চীন, যদিও আর্থিক সুরক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের আরও বেশি চাহিদার পাল্টায় লড়াই করা ছাড়া আর কোনো পথ থাকছে না।’

এদিকে, চীনের কয়েকটি সূত্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দিকে গেলে এটি কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে ফাটল ধরার কারণ হয়ে উঠতে পারে। আর এটার জন্যই যুক্তরাষ্ট্র বারবার শুল্কারোপ করছে। রয়টার্স বলছে, ইতিমধ্যে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তার আসন পাকাপোক্ত করে ফেলেছেন।

তার অর্থনৈতিক নীতি ও চলমান বাণিজ্য যুদ্ধ নিয়ে তুমুল সমালোচনা হচ্ছে। ওই সূত্র বলছে, এমনকি জিনপিংয়ের মতাদর্শ প্রধান ওয়াং হুনিংয়ের সঙ্গে তার বাদানুবাদ হয়েছে। এ ব্যাপারে দলের মুখপাত্র কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version