এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : মুসলিম নারীদের বোরকা নিয়ে ব্রিটেনের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসনের কটূক্তির পক্ষে সাফাই গেয়েছেন দেশটির কৌতুক অভিনেতা রাওয়ান আটকিনসন। বিশ্বব্যাপী যিনি মিস্টার বিন নামে পরিচিত।
দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় সাপ্তাহিক কলামে বরিসন জনসন লিখেছেন, বোরকা পরা মুসলিম নারীদের দেখতে চিঠি ফেলার বাক্সের মতো লাগে।
এছাড়া মুখমন্ডল এবং পুরো শরীর ঢাকা ওই নারীদের কেবল চোখদুটো খোলা থাকায় তাদেরকে দেখতে ব্যাংক ডাকাতের মত লাগে বলে মন্তব্য করে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হন বরিস জনসন।
রাজনীতিবিদরাসহ ব্রিটিশ মুসলিম দলগুলো জনসনের সমালোচনায় মুখর হয়ে ওঠে।
তার মন্তব্যের পর যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টরিজা মে ও নিজ দল কনজারভেটিভ পার্টির পক্ষ থেকে জনসনকে ক্ষমা চাইতে বলা হলে তাও মানেননি তিনি।
টাইমস পত্রিকাকে দেয়া এক চিঠিতে মিস্টার বিন লিখেছেন, ধর্ম নিয়ে কৌতুক তৈরির স্বাধীনতার সুবিধাভোগী হিসেবে আমি মনে করি বোরকা নিয়ে বরিস জনসনের পরিহাস একটা ভালো কিছু।
মিস্টার বিন বলেন, এটা খুবই চমৎকার একটি দৃশ্যগত উপমা ও কৌতুক। বরিস জনসন এর জন্য দুঃখপ্রকাশ করুক কিংবা না-ই করুক আসছে দিনগুলোতে এটা মানুষের চিন্তার মধ্যে থাকবে।
তিনি বলেন, ধর্ম নিয়ে সব কৌতুকই অসন্তোষের কারণ। কাজেই সেজন্য ক্ষমা চাওয়া একেবারেই অর্থহীন। আপনার উচিত কেবল খারাপ কৌতুকের জন্য ক্ষমা চাওয়া। সেক্ষেত্রে এখানে দুঃখ প্রকাশের কোনো কারণ নেই।
এদিকে মুসলিম নারীদের বোরকা পরা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বিপাকে পড়েছেন সাবেক ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন। তাকে ঘিরে তোপ বাড়তে থাকার মধ্যেই এবার তিনি দলীয় তদন্তের মুখোমুখি হয়েছেন।
বোরকা নিয়ে মন্তব্য করে জনসন কনজারভেটিভ পার্টির আচরণ বিধি লঙ্ঘন করেছেন কি-না সেটিই খতিয়ে দেখা হবে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন দলীয় এক কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, অনেকগুলো অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্বতন্ত্র একটি প্যানেল এ অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখবে।
তবে দলের মুখপাত্র তদন্তের বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে চাননি। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আচরণ বিধির প্রক্রিয়াটি খুবই গোপনীয়।
তদন্তে দোষ প্রমাণিত হলে জনসন দল থেকে বহিস্কারের মুখেও পড়তে পারেন।