এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : আধুনিক প্রজন্মের স্বল্প পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ফতেহ মোবিন-এর আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করল ইরান। নয়া এই ক্ষেপণাস্ত্র সম্পর্কে ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির হাতামি বলেন, ‘জনগণকে দেয়া প্রতিশ্রুতি মতো আমরা আমাদের ক্ষেপণাস্ত্রের ক্ষমতা ও শক্তি বাড়িয়েই চলেছি। প্রায় প্রতিদিনই আমরা সেটা করছি।’ নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্রকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী এক শ’ শতাংশ দেশীয়, কর্মতৎপর, কৌশলী এবং নিখুঁত আখ্যা দেন। তিনি আরো বলেন, ‘বৃহত্তর ইরানের উপর যতই মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ চালিয়ে চাপ সৃষ্টি করা হবে, ততই প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আমাদের শক্তি বৃদ্ধির সংকল্প আরো দৃঢ় হবে।’ দেশের সরকারি সংবাদমাধ্যম আইআরআইবি জানিয়েছে, সমস্ত পরীক্ষায় সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়েছে ফতেহ মোবিন। স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ফাতেহ মোবিন স্থল ও সাগরে হামলার জন্য ব্যবহৃত হতে পারে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। সম্প্রতি, সেটি বাতিল করে দিয়ে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির উপর বিধি-নিষেধ আরোপ করার দাবি জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এদিকে, তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিনই ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনি ঘুরিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন। এদিন নিজের অফিশিয়াল ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে খামেনি জানিয়েছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুদ্ধ বা দর কষাকষি, কোনোটাই করতে রাজি নয় ইরান।
এদিন, ট্যুইটারে খামেনেই স্পষ্ট ইংরাজিতে লিখেছেন, ‘সম্প্রতি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সম্পর্কে অবান্তর কথাবার্তা বলছে। নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি ওরা যুদ্ধ এবং দর কষাকষি নিয়েও কথা বলছে। এই মর্মে আমি একটা কথাই বলতে চাই, আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুদ্ধ অথবা দর কষাকষি কোনোটাই করব না।’ তিনি আরো বলেন, ‘দেশের বর্তমান সমস্যাগুলো বাইরে থেকে আসেনি। এগুলো সবই অভ্যন্তরীণ বিষয়। নিষেধাজ্ঞার তেমন একটা প্রভাব এতে পড়েনি, বরং ওই নিষেধাজ্ঞা আমরা কীভাবে মোকাবিলা করছি, সেটাই আসল।’
খামেনি জানান, নিষেধাজ্ঞা নয়, দেশের সমস্যাগুলির মূল কারণ বর্তমান সরকারের অব্যবস্থা। মূলত, টাকার দর পড়ে যাওয়া, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আন্দোলন-প্রতিবাদ এবং দুর্নীতির দিকেই ইশারা করেছেন খামেনি বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এতে স্বাভাবিকভাবেই চাপে পড়ে গেছেন প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি।