এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় শহর জালালাবাদে নিজেদের দূতাবাস সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে পাকিস্তান। দেশটি অভিযোগ করেছে প্রদেশটির গভর্নর তাদের নিজস্ব কার্যক্রমে হস্তক্ষেপের চেষ্টা চালাচ্ছে। একই সঙ্গে সম্প্রতি তারা নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ভুগছে বলেও জানানো হয়। এ খবর দিয়েছে আল-জাজিরা।
খবরে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে কাবুলে পাকিস্তান দূতাবাস এ সিদ্ধান্তের খবর জানায়। এতে তারা উল্লেখ করেন যে, নাঙ্গারহার প্রদেশের গভর্নর ক্রমাগত পাকিস্তান দূতাবাসের কার্যক্রমে হস্ততক্ষেপ করছে। শুক্রবার পাঠানো সে চিঠিতে পাকিস্তান দূতাবাস আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেছে, দয়া করে যেন ওই গভর্নরকে এ ধরনের হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে নির্দেশ দেয়া হয়।
এছাড়া পাকিস্তান তার দূতাবাসের নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্যে আফগান সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, যতদিন না সেখানে তারা পর্যাপ্ত নিরাপত্তা পাচ্ছেন সেখানে তাদের দূতাবাস বন্ধ থাকবে।
এর আগে গত বছরের নভেম্বরে জালালাবাদে একজন পাকিস্তানি কুটনীতিককে তার বাসার সামনে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। একই প্রদেশে এ বছরের জুন মাসে পাকিস্তান ফেরার পথে আরো দুই পাকিস্তানি কুটনীতিককে অপহরণের ঘটনা ঘটে। আফগানিস্তানের সঙ্গে পাকিস্তানের স¤পর্ক ক্রমশ খারাপের দিকে যাচ্ছে। আফগান সরকার দাবি করছে, পাকিস্তান তালেবানের পেছনে অর্থায়ন ও প্রশিক্ষণে কাজ করছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি সম্প্রতি দাবি করেছেন, গজনীতে তালেবান হামলার পেছনে পাকিস্তানের মদত রয়েছে। পাকিস্তান এ অভিযোগ অস্বীকার করে একে ভিত্তিহীন ও কল্পনাপ্রসূত বলে অভিহিত করেছে।
পাকিস্তান বেশ কয়েকবার আফগানিস্তান সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া স্থাপনের চেষ্টা করেছে। কিন্তু আফগানিস্তানের বিরোধিতায় তা আর সম্ভব হয়ে উঠেনি। দেশটির দাবি এ সীমান্ত এখনো বিবদমান। ইমরান খান ক্ষমতায় বসার পর আশা করা হচ্ছে তিনি আফগানিস্তানের সঙ্গে স¤পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করবেন