এশিয়ান বাংলা, ঢাকা : নির্বাচনকালীন সরকার বলে সংবিধানে কিছু নেই। এ ধরনের কোনো বিধানও নেই সংবিধানে। প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছানুযায়ী নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হবে। এ সরকারের মন্ত্রিসভার আকার ছোট না বড় হবে এ বিষয়েও প্রধানমন্ত্রীই সিদ্ধান্ত নেবেন। শুধু নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে সরকার গঠনের কোনো বাধ্যবাধকতাও নেই। এমনকি টেকনোক্রেট মন্ত্রীদের মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেয়ারও প্রয়োজন নেই।

নির্বাচনের সময় এ সরকার শুধু রুটিন কাজ করবে- এরও কোনো ভিত্তি নেই। সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগ ইসির কাছে ন্যস্ত হতে হবে এমন কিছুও সংবিধানে উল্লেখ নেই। পুরো বিষয়গুলোই কাল্পনিক, বায়বীয়। নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে সংবিধানসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন।

অথচ এ (নির্বাচনকালীন) সরকার নিয়ে রাজনীতির মাঠ ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। চলছে নানা আলোচনা-পর্যালোচনা। সৃষ্টি হচ্ছে ধূম্রজালের। শাসক দল আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে- ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে অক্টোবরের যে কোনো দিন নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের সম্ভাবনা রয়েছে। কেউ বলছেন সংবিধান অনুযায়ীই নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হবে। যেহেতু সংসদ বহাল রেখেই নির্বাচন হবে তাই অনির্বাচিত কেউ এ সরকারের মন্ত্রিসভায় থাকতে পারবেন না।

বর্তমান মন্ত্রীরা বলছেন, এ সরকারের মন্ত্রিসভার আকার হবে ছোট। প্রকৃতপক্ষে এ ধরনের বক্তব্যের সাংবিধানিক কোনো ভিত্তি নেই। সংবিধানে এ সম্পর্কে তেমন কিছুই নেই বলে অভিমত দিয়েছেন সংবিধান বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে এ সরকারের রূপরেখা কী হবে, কারা থাকবেন, তাদের কাজ কী হবে- এসব প্রশ্নের উত্তর চেয়েছে বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। তাদের মতে, বড় হোক, ছোট হোক- দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তা প্রশ্নবিদ্ধই থেকে যাবে।

সংবিধান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নির্বাচনকালীন সরকার সম্পর্কে সংবিধানে একটি কথাও বলা নেই। রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ নেতারা এ ইস্যুতে যা বলছেন, তা স্রেফ এক ধরনের ‘বক্তৃতাবাজি’ ছাড়া আর কিছুই নয়। তাদের মতে, পুরো বিষয়টি নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর। প্রধানমন্ত্রী যেভাবে চাইবেন সেভাবেই হবে। সংবিধান অনুযায়ী তাকেই সব ধরনের ক্ষমতা দেয়া আছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিশিষ্ট আইনজীবী ও সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘নির্বাচনকালীন সরকার বলে সংবিধানে কিছু নেই। পুরো বিষয়টি ভাঁওতাবাজি। এখন যে সরকার আছে, নির্বাচনের সময়ও একই সরকার থাকবে।’

বলা হচ্ছে নির্বাচনকালীন সরকার ছোট হবে, তারা শুধু দৈনন্দিন কাজ করবে- এমন প্রশ্নের উত্তরে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে প্রবীণ এ আইনজীবী বলেন, ‘এটা সংবিধানের কোথায় লেখা আছে? তিনি বলেন, এখানে সব ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর হাতে। তিনি যা চাইবেন, যেভাবে চাইবেন সেভাবেই হবে। মন্ত্রিসভা ছোট রাখা, বড় করা সব তার এখতিয়ার। সংবিধান অনুযায়ী সব ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর হাতে।

আর নির্বাচনের সময় সরকার রুটিন কাজ করবে- এটা যারা বলছেন, এরও কোনো ভিত্তি নেই। সংবিধানে এ বিষয়ে কিছুই বলা নেই। পুরো বিষয়টি কাল্পনিক, বায়বীয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ কারণেই তো আমরা সব দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনের দাবি করছি। যারা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট করতে সব ধরনের উদ্যোগ নেবে। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন যে অবাধ ও সুষ্ঠু হয় না, তা বহুবার প্রমাণিত হয়েছে।’

বুধবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, আগামী ২০ দিনের মধ্যে নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এ হিসাবে চলতি মাসের শেষদিকেই এ সরকার গঠিত হওয়ার কথা। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন অক্টোবরে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের সম্ভাবনা রয়েছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, এটি নতুন কোনো সরকার হবে না। বর্তমান সরকারের হাতেই দায়িত্ব থাকবে। তবে সে সময় মন্ত্রিসভা ছোট রাখা হবে।

সরকারি দলের আরও একাধিক প্রভাবশালী মন্ত্রী বিভিন্ন সময়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের কথা বলে আসছেন। এক্ষেত্রে তারা ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের ঠিক আগ মুহূর্তে গঠিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ছোট মন্ত্রিসভাকে উদাহরণ হিসেবে সামনে আনছেন। তারা বলছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেও ঠিক একই রকম সরকার গঠন করা হবে। যেখানে প্রধানমন্ত্রী পদে শেখ হাসিনাই থাকবেন। আর মন্ত্রিসভা হবে ছোট। জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলের সদস্যদের নিয়েই গঠিত হবে এ ছোট্ট মন্ত্রিসভা।

এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট সরকারের সমাজকল্যাণমন্ত্রী এবং ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোর সদস্যদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ছোট মন্ত্রিসভা গঠিত হয়েছিল। আমার ধারণা, আগামী নির্বাচনের আগেও শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ঠিক এমনই একটি ছোট মন্ত্রিসভা গঠিত হবে। এ সরকার দৈনন্দিন কাজ করবে। নীতিনির্ধারণী কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না। তাদের মূল কাজ হবে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করা। মূলত এটাই হচ্ছে নির্বাচনকালীন সরকার।’

সংবিধানে কি এ বিষয়ে কিছু বলা আছে- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এটা ঠিক যে সংবিধানে নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে কিছুই বলা নেই। তবে আইনে না থাকলেও এটি একটি কনভেনশন। পৃথিবীর বহু দেশে নির্বাচনের সময় এভাবেই সরকার গঠিত হয়, তারা দৈনন্দিন কাজ করে থাকে। কনভেনশনও আইনের চেয়ে কম শক্তিশালী নয়। ১৯৭৩ সালে নির্বাচনের সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখনও তার নেতৃত্বাধীন একটি ছোট্ট মন্ত্রিসভা ছিল এবং ওই সরকারের অধীনেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আগামী নির্বাচনও একইভাবে অনুষ্ঠিত হবে।’

চলতি মেয়াদে সরকারের ৪ বছর পূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের কথা বলেছিলেন। তিনি এ সময় বলেন, ‘কিভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, তা আমাদের সংবিধানে স্পষ্টভাবে বলা আছে। নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হবে। সেই সরকার সর্বোতভাবে নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচন পরিচালনায় সহায়তা দিয়ে যাবে।’

এ মতের পক্ষে যুক্তি দিয়ে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, সংবিধান অনুযায়ী একটি সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে আরেকটি সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে। আর ভোটের সময় আগের নির্বাচিত সরকারই তার দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবে। এ দায়িত্ব পালনের বিষয়টি স্থানীয় সরকার নির্বাচনের সময় যে বিধান, জাতীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রেও তাই। এর অর্থ হচ্ছে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের সময় সরকার যেভাবে দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখে জাতীয় নির্বাচনের সময়ও বিদ্যমান সরকারই স্বাভাবিক দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবে।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে সরকারের কর্তব্য হবে নির্বাচন অনুষ্ঠানে কমিশনকে সহায়তা করা। নির্বাচনের সময় সরকারের আকার ছোট করা বা শুধু নির্বাচিত প্রতিনিধি নিয়ে সরকার গঠনের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। এমনকি টেকনোক্রেট মন্ত্রীদের মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেয়ারও প্রয়োজন নেই। তবে, সরকারের আকার ছোট বা বড় করার এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রীর রয়েছে। এটা তার সাংবিধানিক ক্ষমতা। তিনি যে কোনো সময় তা করতে পারেন। তিনি চাইলে সেটা এখন যেমন করতে পারেন, নির্বাচনের আগেও করতে পারেন। এতে সংবিধানের কোনো ব্যত্যয় হবে না।’

তিনি বলেন, ‘সংবিধানে সহায়ক সরকার বা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনো বিধান নেই। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায়ও এ ধরনের কোনো বিধান আছে বলে আমার জানা নেই। সংবিধানে বলা আছে, সরকার নয় নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন। আর নির্বাচনের সময় বর্তমান সরকারই দায়িত্বে থাকবে। সরকার ভোটের জন্য কর্মকর্তা নিয়োগসহ কমিশন যা চাইবে তা করতে বাধ্য থাকবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সরকার যেভাবে রয়েছে সেভাবেই চলবে। তাদের অতিরিক্ত দায়িত্ব থাকবে ইসিকে সহযোগিতা করা।’

সংবিধান বিশেষজ্ঞরা জানান, নির্বাচন কোনো সরকারের অধীনে অনুষ্ঠানের কথা সংবিধানে নেই। জাতীয় নির্বাচনের সময় সরকারের ধরন পরিবর্তন হবে এমন বিধানও নেই। সংবিধানে আছে ইসির অধীনে নির্বাচন হবে।

জানতে চাইলে এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট আইনজীবী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী, জাতীয় নির্বাচনসহ সব ধরনের নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এ সময়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগ ইসির কাছে ন্যস্ত হতে হবে- এমনটিও সংবিধানে উল্লেখ নেই। এ বিষয়ে সংবিধানে বলা আছে, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতি প্রয়োজনীয় কর্মচারী নিযুক্ত করবেন। সরকারের নির্বাহী বিভাগ ইসিকে দায়িত্ব পালনে সহায়তা করবে। সংবিধানের এ দুই বিধানের আলোকে সরকারের ইসিকে সহযোগিতা করা ও নির্বাচনকালে সিদ্ধান্ত গ্রহণে ইসির পরামর্শ নেয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের কোনো বিধান সংবিধানে নেই। ক্ষমতাসীন সরকারই নির্বাচনের সময় দায়িত্ব পালন করবে। এক্ষেত্রে সরকার চাইলে তার কিছু কাজ থেকে বিরত থাকতে পারে। তবে বিরত যে থাকতেই হবে এমন কোনো সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা নেই।’

আওয়ামী লীগের কয়েকজন শীর্ষ নেতা জানান, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ‘সর্বদলীয় সরকার’ গঠন করা হলেও এর কোনো প্রয়োজন ছিল না। সব রাজনৈতিক দল যাতে নির্বাচনে অংশ নেয় সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই সরকার গঠন করেছিলেন।

ওই নেতাদের মতে, তৎকালীন বিরোধী দল বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে তাদের মন্ত্রিসভায় স্থান দিতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ থেকে প্রথমে ওই প্রস্তাব দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী ওই সময় বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে টেলিফোন করে মন্ত্রিসভায় তার দলের প্রতিনিধি দেয়ারও প্রস্তাব করেছিলেন। কিন্তু বিএনপি না আসায় সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী অন্য দলগুলোকে নিয়ে তিনি ওই সরকার গঠন করেন।

সংবিধান বিশেষজ্ঞদের মতে, বাহ্যিকভাবে ওই সরকারটি ‘নির্বাচনকালীন সরকার’ হিসেবে পরিচিতি পেলেও বাস্তবে সেটা ছিল স্বাভাবিক সরকারই। এবারও একই পথ অনুসরণ করতে চায় শাসক দল।

সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার বলতে এ ধরনের কোনো ব্যবস্থা সংবিধানে নেই। নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে ক্ষমতাসীন দল যা বলছে তা একমাত্র একতরফা নির্বাচনের চিন্তা-ভাবনা থেকে বলছে। আমরা বলেছি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সব দলের অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচন করতে হলে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তা হতে হবে। যেমনটা হয়েছিল ১৯৯১ সালে। সে সময় সংবিধানে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ছিল। সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হয়েছিল।

সংবিধানের বিধান অনুসারে, বিদ্যমান সরকার ক্ষমতায় থাকতেই পরবর্তী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংবিধানের ৫৭(৩) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রীর উত্তরাধিকারী কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীকে স্বীয় পদে বহাল থাকিতে এই অনুচ্ছেদের কোনোকিছুই অযোগ্য করিবে না।’ সংবিধান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর অর্থ হচ্ছে- যিনি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন, তিনি নতুন একজন প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব না নেয়া পর্যন্ত স্বপদে বহাল থাকবেন। অর্থাৎ এ বিধান অনুসারে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বপদে বহাল রেখেই নির্বাচন কমিশন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করবে। প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি তার সরকারের মন্ত্রিসভার ক্ষেত্রেও সংবিধানের একই বিধান প্রযোজ্য হবে।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version