এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবিকে সামনে রেখে ন্যূনতম কর্মসূচি নিয়ে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে চান উদ্যোক্তারা। এ লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছেন নেতারা। দলগুলোর মধ্যে নীতিগত ঐক্যমত হয়েছে জানিয়ে উদ্যোক্তারা বলছেন, জটিল ও কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সামনে এনে ঐক্য প্রক্রিয়াকে জটিল করা হবে না। আগামী ২২শে সেপ্টেম্বর সমাবেশের মাধ্যমে ঐক্যের দৃশ্যমান অগ্রগতি হবে বলেও মনে করছেন তারা। যুক্তফ্রন্টের তিন দল বিকল্পধারা, জেএসডি ও নাগরিক ঐক্য ছাড়া ড. কামাল হোসেনের গণফোরাম ঐক্য প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে। শুরুতে এ প্রক্রিয়ায় থাকলেও মাঝে অনেকটা নীরব ছিলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। আজ দলের বর্ধিত সভায় নেতাদের মতামত নিয়ে জাতীয় ঐক্যের বিষয়ে তিনি দলীয় অবস্থান স্পষ্ট করবেন।

বিকালে মতিঝিলের দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি চলমান রাজনৈতিক বিষয়েও কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার বীরপ্রতীক।

এদিকে সামনের করণীয় নিয়ে বৃহস্পতিবার সমমনা নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। বৈঠকে ২২শে সেপ্টেম্বরের সমাবেশ নিয়ে আলোচনা হয়। জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার পক্ষ থেকে ওইদিন রাজধানীর সোহ্‌রাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশ বরাবরে আবেদন করা হয়েছে। তবে গতকাল পর্যন্ত পুলিশের অনুমতি মিলেনি।

নেতারা জানিয়েছেন, ওই সমাবেশ হবে এমনটা ধরে নিয়েই প্রস্তুতি চলছে। কোনো কারণে যদি সোহ্‌রাওয়ার্দী উদ্যানে অনুমতি না মিলে তাহলে অন্য কোনো ভেন্যুতে সমাবেশ করার প্রস্তুতি রয়েছে। ওই সমাবেশে সর্বোচ্চ সংখ্যক দলের অংশগ্রহণ এবং নাগরিক সমাজের সর্বোচ্চ উপস্থিতির লক্ষ্য ঠিক করে আমন্ত্রণ জানানোর প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে গণফোরামের কার্যকরি সভাপতি এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, আলোচনা চলছে, আগামী দুই-একদিনের মধ্যে শীর্ষ নেতারা বৈঠক করবেন। সমাবেশ সফল করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ২২শে সেপ্টেম্বরের সমাবেশ থেকে জাতীয় ঐক্যের অগ্রগতি দৃশ্যমান হতে শুরু করবে। জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া অনেকদূর এগিয়েছে জানিয়ে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ঐক্যের প্রস্তাবে কোনো বিতর্ক নেই বলে উল্লেখ করেন তিনি। ঐক্য প্রক্রিয়ার সঙ্গে একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ২২শে সেপ্টেম্বর সমাবেশ করার বিষয়ে আমরা জোরালো প্রস্তুতি নিচ্ছি। অনুমতি না মিললে রাস্তায় বসে হলেও আমরা আমাদের কর্মসূচি পালন করবো।

এদিকে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের পক্ষ থেকে আজ জাতীয় ঐক্যের বিষয়ে অবস্থান জানানো হবে। দুপুরে মতিঝিলের কার্যালয়ে বর্ধিত সভায় এ বিষয়ে মতামত নেয়ার পর বিকালে সংবাদ সম্মেলনে দলের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। ঐক্য প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত নেতারা জানিয়েছেন, কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে তাদের নিয়মিত কথা হচ্ছে। তিনি শুরু থেকেই জাতীয় ঐক্যের পক্ষে এবং একজন উদ্যোক্তাও। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তিনি জাতীয় ঐক্যের পক্ষেই অবস্থান নেবেন।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version