এশিয়ান বাংলা, ঢাকা : সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা সংস্কার না করে ৪০তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করায় বিক্ষোভ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থী ও বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তারা এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। এ সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে কোটা সংস্কারের প্রজ্ঞাপন জারির দাবি জানান। দ্রুত সময়ের মধ্যে দাবি আদায় না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা। বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে অবস্থিত সন্ত্রাসবিরোধী রাজু স্মারক ভাস্কর্যের সামনে এক সমাবেশে আন্দোলনকারীদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুর বলেন, ‘কোটা সংস্কার যৌক্তিক দাবি সত্ত্বেও এই আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর হামলা করা হয়েছে এবং মামলা দেয়া হয়েছে।
আমরা কোটা বাতিল চাইনি। প্রধানমন্ত্রী কোটা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী চাইলে কোটা বাতিল করতে পারেন।
তবে কোটা সংস্কার করলে পাঁচ দফার আলোকে করতে হবে।’ এ সময় আন্দোলনকারীদের পক্ষে তিনি সরকার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি সব ‘মিথ্যা’ মামলা প্রত্যাহারের দাবি করে কোটা সংস্কারের তিন দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। এর আগে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান গ্রন্থাগারের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি টিএসসি হয়ে শাহবাগ গণ গ্রন্থাগারের সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ অবস্থানের পর মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার হয়ে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, মধুর ক্যান্টিন, কলা ভবন, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ, প্রশাসনিক ভবন, ভিসি চত্বরসহ ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে টিএসসিতে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশে ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মহান সংসদে দাঁড়িয়ে ছয় মাস আগে কোটা সংস্কারের দাবি মেনে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু দীর্ঘ ছয় মাস পার হলেও প্রধানমন্ত্রীর সেই ঘোষণা বাস্তবায়ন হয়নি।
আমরা চাই, অতি দ্রুত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব দেয়া হোক, যাতে ছাত্রসমাজের দাবি মেনে নেয়া হয়।’ তিনি বলেন, ‘মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের রিমান্ডে নিয়ে অত্যাচার করা হয়েছে। তারপরও ছাত্রসমাজ কিন্তু তাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য থেকে বিন্দুমাত্র সরে যায়নি। যতদিন না পর্যন্ত আমাদের দাবি মেনে নেয়া হবে, ততদিন পর্যন্ত আমাদের এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। ছাত্রসমাজ দেখিয়ে দেবে কিভাবে রাজপথে দাবি আদায় করতে হয়।’ এ সময় আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে তিন দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। দাবিসমূহের মধ্যে রয়েছে- ছাত্রদের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা; হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং পাঁচ দফার আলোকে কোটা সংস্কার করা।