এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : গ্রীষ্মের অতিরিক্ত গরমে ঘামাচির সমস্যা বাড়ে। এটি মূলত ঘর্মগ্রন্থির সমস্যা। শরীরে ঘাম তৈরি হলে ওই গ্রন্থির মাধ্যমে তা ত্বকের উপরিভাগে চলে আসে। প্রচণ্ড গরমে ঘাম অনেক বেশি তৈরি হয়। তখন এত বেশি পরিমাণ ঘাম ঘর্মগ্রন্থির ছিদ্রপথে বেরোতে পারে না। ফলে ত্বকের নিচের ঘর্মগ্রন্থি ফেটে যায়। তখন ত্বকে ছোট ছোট লালচে ফোসকা পড়ে। এর ভেতরে পুঁজ জমতে পারে। দীর্ঘদিন জ্বরে ভুগলে কিংবা কোনো কারণে দীর্ঘদিন শয্যাশায়ী থাকলেও ঘামাচি হতে পারে। এ সমস্যায় শরীরে চুলকানি, হুল ফোটানোর মতো অনুভূতি এবং নানা রকমের অস্বস্তি হয়ে থাকে।

ঘামাচির সুনির্দিষ্ট কোনো ওষুধ নেই। তবে কিছু পদক্ষেপ নিলে ঘামাচি কমানো সহজ হয়।

* ঠান্ডা পরিবেশে থাকতে হবে। এয়ারকন্ডিশন রুমে থাকা ভালো, তবে ফ্যানের বাতাসেও থাকতে পারেন।

* দিনে দুই থেকে তিনবার পানি দিয়ে গোসল করা যেতে পারে।

* বেবি ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করতে পারেন।

* ঢিলেঢালা সুতি জামাকাপড় পরবেন।

* ক্যালামিলন লোশন (ক্যালামিলন) ঝাঁকিয়ে আক্রান্ত ত্বকে লাগিয়ে ঘণ্টাখানেক পর ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে তিন থেকে চার দিন করবেন, তার বেশি নয়।

* খুব বেশি লাল ভাব বা একজিমার মতো হলে কিছুদিন কিউরল অয়েন্টমেন্ট দিনে দুবার করে ব্যবহারে উপকার পাওয়া যায়।

* ফোঁড়া হলে অ্যান্টিবায়োটিক, যেমন: ফ্লক্সাসিলিন অথবা ইক্লরাইথ্রোমাইসিস পাঁচ থেকে সাত দিন যথাযথ মাত্রায় পুরো কোর্স খেতে হবে। তবে যেকোনো ওষুধ খাওয়া বা লাগানোর ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।

* ঘামাচি চুলকাবেন না।

* অপরিচ্ছন্ন নোংরা থাকবেন না।

এড়ানোর উপায়

* অতিরিক্ত গরমে প্রচুর পানি পান করা উচিত।

* প্রতিদিন কমপক্ষে দুবার গোসল করা প্রয়োজন। প্রতিদিন অন্তত একবার গোসলের সময় সাবান মাখতে হবে।

* ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে প্রচুর পরিমাণে।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version