এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট হওয়ার স্বপ্ন দেখছিলেন দেশটির সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং। ২০২০ সালে মিয়ানমারের নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়েছিলেন। এমন গুঞ্জন বহুদিনের। কিন্তু সে স্বপ্নে পানি ঢেলে দিয়েছে ফেসবুক ও যুক্তরাষ্ট্র। রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগ তার এ স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে প্রধান অন্তরায়। রোহিঙ্গা নিপীড়নের দায়ে তার দুটি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। আর মিন অং হ্লাইংয়ের বিচারের জন্য নিরাপত্তা পরিষদসহ বিভিন্ন বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র বারবার জোর দাবি জানিয়েছে। এতে নিজ দেশেও কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন তিনি। ইউরোপের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার রোষানলেও পিষ্ট হয়েছেন।

এশিয়া টাইমস এক প্রতিবেদনে জানায়, মিয়ানমারের সেনাপ্রধানের জন্য খুব খারাপ সময় যাচ্ছে। ২৭ আগস্ট জাতিসংঘের স্বাধীন তদন্ত কমিটি তার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনে। কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনে মিন অং হ্লাইংকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) বিচারের জন্য সুপারিশ করা হয়। এ প্রতিবেদন প্রকাশের পরপরই সেনাপ্রধানের জন্য আরেকটি খারাপ খবর আসে। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তার দুটি অ্যাকাউন্টসহ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সংশ্লিষ্ট ১৮টি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়। রোহিঙ্গা গণহত্যায় উসকানি ও বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ এমন পদক্ষেপ নেয় ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক এ যোগাযোগ মাধ্যমটি।

তার একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টের অনুসারী ছিলেন ২৮ লাখ। অন্যটির ১৩ লাখ। ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ হওয়াতে সবচেয়ে বেশি ব্যথিত হন মিন অং। কারণ এর মাধ্যমে মিয়ানমারের জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে পারতেন তিনি। ‘মিয়ানমারের অভিভাবক সেনাবাহিনী’- জনগণের কাছে এ বার্তা পৌঁছানোর জন্য ফেসবুককে ব্যবহার করতেন সেনাপ্রধান।

দেশটির পাঁচ কোটি ৩০ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ নাগরিক ফেসবুক ব্যবহার করেন। এছাড়া রোহিঙ্গা নির্যাতনের বিচারের দাবিতে বারবার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়ে রুখে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version