এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : সরকারি খরচ কমাতে পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহরের অধিকাংশ গাড়ি বিক্রি করে দেয়ার ঘোষণা দেন। কিন্তু ধুমধাম করে সেগুলো নিলামে তুললেও কাক্সিক্ষত সাড়া পাননি।
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের লনে এই নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। নিলাম নিয়ে ব্যাপক প্রচারণা হলেও বিক্রি আশানুরূপ ছিল না। বরং নিলাম কখনও কখনও ক্রেতাদের হাসির খোরাক হয়েছে। খবর ডন ও বিবিসির।

নিলাম থেকে সরকার অন্তত এক কোটি ৬০ লাখ ডলার আয়ের আশা করলেও গাড়ি বিক্রি থেকে কোষাগারে মাত্র ৬ লাখ ডলার ঢুকেছে।

‘কৃচ্ছ তার পথে’ নিলামে অংশ নেয়া ক্রেতাদের চোখ ছিল বুলেট-প্রুফ জিপ ও হেলিকপ্টারে। নিলামে ক্রেতাদের বেশি আগ্রহ ছিল চারটি সরকারি হেলিকপ্টার নিয়ে। কিন্তু পরে এ হেলিকপ্টারগুলোর নিলাম চলতি মাসের শেষের দিকে হবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়।

বিক্রির জন্য রাখা শতাধিক গাড়ির অর্ধেকেরও বেশিকে ‘বিলাসবহুল’ ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত মাত্র ৬২টি গাড়ি নিয়ে নিলামের হাতুড়ি ঠোকাঠুকি হয়।

এর মধ্যে আগ্রহের চূড়ায় ছিল ২০১৬ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজের আমলে কেনা দুটি মার্সিডিজ মায়বাস এস-৬০০।

নিলামকারীরা প্রত্যেকটি গাড়ির প্রাথমিক দর হিসেবে ১৩ লাখ ডলার চাওয়া হলে উপস্থিত প্রায় ৫ শতাধিক ক্রেতা সশব্দে হেসে ওঠে। শেষ পর্যন্ত কেউই ওই গাড়িগুলোর একটিও নেয়নি।

সাতটি বিএমডব্লিউর পাশাপাশি অবিক্রীত থাকে ১৯৯৩ সালের ১৪টি মার্সিডিজ বেঞ্জ এস-৩০০ও। নিলামে বিক্রি হওয়া সবচেয়ে দামি গাড়িটি হল বুলেট-প্রুফ ২০১৫ টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার, এটি প্রায় দুই লাখ ডলারে বিক্রি হয়েছে।

ঋণ সংকট মোকাবেলার লক্ষ্যে সরকার এ ধরনের আরও নিলাম করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সমালোচকরা বলছেন, সরকারি গাড়ি নিলামের চল নতুন নয়, এটা সবসময়ই হয়, ইমরানের তেহরিক-ই ইনসাফ সরকার তাদের ‘কৃচ্ছ তা’র কর্মসূচির প্রচারে একে বাড়িয়ে দেখাচ্ছে বলেও অভিযোগ তাদের।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version