এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : তাঞ্জানিয়ার লেক ভিক্টোরিয়াতে যাত্রীবাহী ফেরিডুবির ঘটনায় সর্বশেষ ১৩৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দেশটির পুলিশ প্রধানের বরাত দিয়ে শুক্রবার রাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

আগের দিন বিকালে উকেরেউই ফেরিঘাটের কয়েক মিটার দূরে এমভি নিয়েরেরে নামের ফেরিটি উল্টে যায়। সেখানে তিন শতাধিক যাত্রী ছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

তাঞ্জানিয়ার লেক ভিক্টোরিয়াতে ডুবে যাওয়া ফেরি উদ্ধারের কাজ চলছে। তাঞ্জানিয়ার লেক ভিক্টোরিয়াতে ডুবে যাওয়া ফেরি উদ্ধারের কাজ চলছে। জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে তাঞ্জানিয়ার প্রেসিডেন্ট জন মাগুফুলি চার দিনের শোক ঘোষণা করেছেন।
দুর্যোগ নিয়ে রাজনীতি না করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদন্তের উপর বিষয়টি ছেড়ে দেওয়া উচিত।”

ফেরিডুবির ঘটনায় সরকার দেরিতে সাড়া দিয়েছে বলে বিরোধী রাজনীতিকদের কেউ কেউ সমালোচনা করছেন।

রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম হাবারি লিও ওয়েবসাইটে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই দুর্ঘটনার বিষয়ে সারফেস অ্যান্ড মেরিন ট্রানসপোর্ট রেগুলেটরি অথরিটির (সুমাত্রা) শীর্ষ কর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
ওই ফেরি তার বহনক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী তুলেছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে বলে সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে।

লেক থেকে ৩৭ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে বলে দক্ষিণ উপকূলের পোর্ট অব এমওয়াঞ্জার আঞ্চলিক পুলিশ কমান্ডার জোনাথন শানা জানিয়েছেন।
ফেরির ক্রু নিহত হওয়ায় এবং যে মেশিনে বিক্রি হওয়া টিকেটের হিসাব থাকে, তাও ডুবে যাওয়ায় দুর্ঘটনার সময় ফেরিটিতে ঠিক কতজন ছিলেন তার সঠিক সংখ্যা জানা যাবে না।

লেক ভিক্টোরিয়াতে এর আগেও ফেরিডুবির ঘটনা ঘটেছে। ১৯৯৬ সালে সেখানে এক ফেরি দুর্ঘটনায় অন্তত পাঁচশ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন।

২০১২ সালে ভারত সাগরে অবস্থিত তাঞ্জানিয়ার আধা-স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপপুঞ্জ জানজিবারে অতিরিক্তি যাত্রীবোঝাই একটি ফেরি ডুবে ১৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version