এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ার করে চীন বলেছে, রাশিয়ার জেট এবং ক্ষেপণাস্ত্র কেনার জন্য চীনের সেনাবাহিনীর ওপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলে না নেওয়া হলে ওয়াশিংটনকে এর পরিণতি ভোগ করতে হবে।
ইউক্রেইনে রাশিয়ার কর্মকান্ড এবং মার্কিন রাজনীতিতে রুশ হস্তক্ষেপের জেরে মস্কোর ওপর আরোপিত যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা চীন লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ ওয়াশিংটনের।
আর সে কারণেই বেইজিং সম্প্রতি রুশদের কাছ থেকে ১০টি সুখোই-৩৫ যুদ্ধবিমান ও এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র কেনার পর চীনা সামরিক বাহিনীর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
কিন্তু ২০১৪ সালে ইউক্রেইনের কাছ থেকে ক্রিমিয়া অধিগ্রহণের পর থেকে রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা শক্তি একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিলেও বেইজিং তাতে কখনোই সমর্থন দেয়নি। সে কারণে মস্কোর কাছ থেকে অস্ত্র কেনাও বন্ধ রাখেনি তারা।
চীনা সামরিক বাহিনী এমাসের শুরুতে রাশিয়ার সঙ্গে বড় ধরনের সামরিক মহড়াতেও অংশ নিয়েছে।
সামরিক বাহিনীর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপকে ‘অযৌক্তিক’ আখ্যা দিয়ে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গেং সুয়াং।
তিনি বলেন, ওয়াশিংটন আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মৌলিক নীতিমালা লঙ্ঘন করেছে এবং চীনের সঙ্গে সম্পর্ককেও সমস্যাশঙ্কুল করে তুলেছে।
“আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে এ ভুল শুধরে নেওয়া এবং নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় যুক্তরাষ্ট্রকে এর পরিণতি ভোগ করতে হবে,” বলেন সুয়াং।
যুক্তরাষ্ট্র চীনের সামরিক বাহিনীর হাতিয়ার উন্নয়ন বিভাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে এবং রাশিয়া থেকে অস্ত্র ও জঙ্গি বিমান কেনার জন্য ওই বিভাগের পরিচালক লিং শেংফুকেও নিষেধাজ্ঞার তালিকাভুক্ত করেছে।
চীন তাদের নিজেদের প্রতিরক্ষার খাতিরে অত্যাধুনিক অনেক অস্ত্রশস্ত্র তৈরি করছে। কিন্তু দেশটি এর পাশাপাশি রাশিয়া থেকে আরো উন্নত অস্ত্র কিনতে আগ্রহী। বিশেষ করে আকাশ প্রতিরক্ষা এবং যুদ্ধবিমানের ক্ষেত্রে।
আর মস্কোও আগের চাইতে বর্তমান সময়ে বেইজিংয়ের কাছে এ ধরনের অস্ত্র বিক্রি করতে অনেক বেশি আগ্রহী।