এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : স্মার্টফোনে শুধু কথা নয়, মাছও ধরছে ভারতের জেলেরা। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তামিলনাড়ুর জেলে সম্প্রদায় স্মার্টফোনে অ্যাপস ম্যাপ তথা মানচিত্র বিশিষ্ট অ্যাপস ব্যবহার করে মাছ ধরছে। ওই অ্যাপসে চেন্নাইয়ের (সাবেক মাদ্রাজ) উপকূলীয় অঞ্চলের বিভিন্ন জলাশয় ও সৈকত এলাকা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কোথায় কোন এলাকা কি উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হবে এবং কোথায় মাছ ধরা যাবে আর কোথায় যাবে না তার বিস্তারিত উল্লেখ আছে অ্যাপটিতে। অনেকটা জিপিএস সিস্টেমের মতোই মাছ ধরার কাজে স্থানীয় জেলেদের সাহায্য করছে এটা। এভাবে মাছ ধরার দৃশ্য সেখানকার মানুষের দৈনন্দিন জীবনের নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের অন্যান্য উপকূলীয় এলাকার মতোই তামিলনাড়ুর উপকূলীয় এলাকায় সমুদ্রের পানিস্তর ক্রমেই বাড়ছে। অন্যদিকে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পও খেয়ে ফেলছে উপকূলের জমি। জবরদখল হয়ে যাচ্ছে এলাকার লেক, জলাশয় ও নদীনালা। এছাড়া গত এক দশকে বেড়েছে ঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও ভূমিক্ষয়। প্রকৃতি ও মনুষ্য সৃষ্ট এসব প্রতিকূলতার মধ্যে পড়ে জীবিকা হারাচ্ছে স্থানীয় জেলেরা। তাই উপকূলের অবশিষ্ট জমি, মাছ ধরার বিভিন্ন নদী-জলাশয় আর দখল না হয় সে লক্ষ্যে চেন্নাইয়ে কোস্টাল রিসোর্স সেন্টার নামে একটি সংগঠন গড়ে তুলেছে স্থানীয় জেলেরা। এই সংগঠনটিই এলাকার ৪০টির বেশি গ্রামের হাজার হাজার জেলেকে স্মার্টফোনের অ্যাপস ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়ে সহায়তা করছে। সংগঠনটির প্রধান সমন্বয়ক ৩৫ বছর বয়সী মাছ ব্যবসায়ী সারাভানন বলেন, ভারতে উপকূলীয় অঞ্চলে স্মার্টফোনে এ ধরনের অ্যাপস ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমরাই প্রথম। তিনি জানান, উপকূলীয় এলাকার ব্যবস্থাপনায় সরকারের ব্যর্থতার কারণে এ কাজে তার মতো স্থানীয় জেলেরাই এগিয়ে এসেছে। সারাভানন বলেন, ‘আমরা প্রথমে বারোয়ারি সব এলাকা ও গ্রামের সীমান্ত ম্যাপভুক্ত করেছি। যাতে সরকার বা অন্য কেউ আমাদের উচ্ছেদ করতে না পারে। কোনো কোম্পানি যাতে আমাদের অভিন্ন জমি জবরদখল করতে পারে।’

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version