এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : মালদ্বীপে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এগিয়ে আছেন বিরোধী প্রার্থী ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহ। গতকাল রবিবার দেশটিতে ভোট গ্রহণ হয়। রাতে ভোটের আংশিক গণনায় দেখা যায়, ভারতপন্থি বিরোধী প্রার্থী ১৫ ভাগ ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে আছেন। যদিও বিরোধী দল নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনেছিল। নির্বাচনকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে চীন এবং ভারত। ভোটের চূড়ান্ত ফল পেতে এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের

দ্য মালদ্বীপস ইন্ডিপেন্ডেন্ট ওয়েবসাইট জানিয়েছে, ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহ ৫৮ ভাগ ভোট পেয়েছেন। স্থানীয় মিডিয়া মিহারু এবং আভাস জানায়, ৪৭২ ভোট বাক্সের মধ্যে তিন চতুর্থাংশের গণনা শেষ হয়েছে। মিহারু জানায়, ২৫০টি বাক্সের গণনা শেষ হয়েছে। এর মধ্যে বর্তমান প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ ইয়ামিনের চেয়ে ১৫ দশমিক ৪ ভাগ ভোট বেশি পেয়েছেন ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহ। ২২২টি বাক্সের ভোট গণনা বাকি আছে। রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত মিডিয়ায় বিরোধী প্রার্থীর ভোট কম দেখানো হয়েছে। আব্দুল্লাহ ইয়ামিন দ্বিতীয় মেয়াদে জয়ের জন্য লড়াই করছেন। স্থানীয় সময় গতকাল রবিবার সকাল ৮ টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ভোটারদের লাইন থাকার কারণে তিন ঘন্টা সময় বাড়ানো হয়। সন্ধ্যা ৭টায় ভোট শেষ হয়।

মালদ্বীপে বিরোধীদের দমন করার অভিযোগ রয়েছে ইয়ামিন সরকারের বিরুদ্ধে। ভারতপন্থি বলে পরিচিত জনপ্রিয় বিরোধী নেতা মোহাম্মদ নাশিদ যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন। মালদ্বীপে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার উন্নতি না হলে নিষেধাজ্ঞা জারির হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ভোট শুরুর আগে গতকাল বিরোধী দলের সদরদপ্তরে অভিযান চালায় পুলিশ। তবে কাউকে গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া যায়নি। প্রেসিডেন্ট ইয়ামিনের প্রতি চীনের জোর সমর্থন রয়েছে। চীনের সঙ্গে মালদ্বীপের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি রয়েছে। মালদ্বীপে চীনের পর্যটকও বাড়ছে। ফলে ইয়ামিন হারলে চীনের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অন্যদিকে ভারতের আশংকা ইয়ামিন দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হলে তা তাদের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। বিদেশি পর্যবেক্ষকরা নির্বাচনে ইয়ামিন সরকারের পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে। এমনকি মানবাধিকার সংগঠনগুলোও নির্বাচন পূর্ব সরকারের বিভিন্ন কাজের নিন্দা জানিয়েছে।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version