এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : ক্ষমতায় বসতে না বসতেই মহাসংকটে পড়লেন পাকিস্তানের নয়া কাপ্তান ইমরান খান। লাহোর, করাচি, সিন্ধুসহ দেশব্যাপী পানির সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। পানির যে মজুদ রয়েছে তাতে বড়জোর আর ত্রিশ দিন চলবে। সংকট সমাধানে বাঁধ নির্মাণই শেষ পথ। কিন্তু সরকার চালাতেই যেখানে টাকা নেই সেখানে বাঁধ নির্মাণের স্বপ্ন দূর অস্ত। বাঁধ নির্মাণে তাই জনগণের কাছেই হাত পেতেছেন প্রধানমন্ত্রী। বর্তমানে পাকিস্তানের বিভিন্ন নদীর ওপর বেশকিছু বাঁধ রয়েছে। প্রধানত বিদ্যুৎ উৎপাদন ও পানির চাহিদা পূরণে এসব বাঁধ ব্যবহার হয়। বাড়তি জনগণের কারণে পানির চাহিদাও বাড়ছে। চাহিদা মেটাতে নতুন করে বাঁধ নির্মাণ এখন সময়ের দাবি। এ মুহূর্তে দুটি বাঁধ নির্মাণের লক্ষ্য নিয়ে তহবিল গঠনের কাজ করছে ইমরানের সরকার। এরপর পর্যায়ক্রমে আগামী পাঁচ বছরে ছোট-বড় প্রায় এক হাজার বাঁধ তৈরি করা হবে। এতে সরকারের ব্যয় হবে প্রায় ১৪০০ কোটি ডলার। যার পুরোটাই গণতহবিল থেকে সংগ্রহ করা হবে। বিশাল পরিমাণ এ অর্থ সংগ্রহ সফল হলে এটাই হবে বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় গণতহবিল। এখন পর্যন্ত পেবল টাইম স্মার্টওয়াচের জন্য কিকস্টার গণতহবিল সংগ্রহ প্রচারণা এ ধরনের সবচেয়ে বড় তহবিল। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের মতে, এই প্রচারণায় মাত্র ৩২ দিনে ২ কোটি ডলার সংগৃহীত হয়। চলতি মাসের শুরুর দিকে দেশবাসীর প্রতি নিজের দ্বিতীয় ভাষণ দেন ইমরান খান। ভাষণে বাঁধ নির্মাণে অর্থ সহায়তা করতে দেশবাসী ও প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, চলমান পানি সংকট দেশের জন্য সবচেয়ে বড় প্রতিকূলতা। পানির ভয়াবহ সংকটের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামী সাত বছরের মধ্যে যদি নতুন কোনো পানি সংরক্ষণাগার নির্মাণ করা না হয়, তবে দেশে পানিশূন্য অবস্থা দেখা দিতে পারে। হুশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতির মুখে পড়তে পারে পাকিস্তান। ইমরান দাবি করেন, প্রবাসী পাকিস্তানিরা বিশেষ করে যারা ইউরোপে বসবাস করেন, তারা এ তহবিলে অন্তত এক হাজার ডলার করে দান করতে পারেন। আর যারা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে থাকেন, তাদেরকে যার যা খুশি দান করতে বলেন তিনি।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version