এশিয়ান বাংলা ডেস্ক: আসছে ৭ নভেম্বর দিওয়ালি। আর এই দিওয়ালির আগেই অযোধ্যার বাবরি মসজিদের জায়গায় বিতর্কিত রামমন্দির নির্মাণ কাজ শুরু করবে ভারত। দেশটির ক্ষমতাসীন দল বিজেপির নীতিনির্ধারক পর্যায়ের নেতা সুব্রামনিয়াম স্বামী এ পরিকল্পনার কথা জানান। বিজেপির মাতৃ সংগঠনখ্যাত মুসলিমবিদ্বেষী কট্টর সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভগবতের মুখেও সেই একই সুর- দিওয়ালির আগেই রামমন্দির। নামাজ পড়ার জন্য মসজিদ অপরিহার্য নয়- বৃহস্পতিবার দেশটির সুপ্রিমকোর্টের এই ঐতিহাসিক রায়ের পর এ কথা বলেন বিজেপির নেতারা। বিশ্লেষকরা বলছেন, লোকসভা ভোটের আগেই রামমন্দির নির্মাণে সুপ্রিমকোর্টের সবুজ সংকেত মিলে যাবে। রামমন্দির আবেগকে পুঁজি করেই ভোটের মাঠে নামতে পারবে বিজেপি। খবর এএনআই, পিটিআইয়ের।

বিজেপির শীর্ষস্থানীয় নেতা সুব্রামনিয়াম স্বামী বলেছেন, এ রায়ের ফলে অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের পথ প্রশস্ত হল। তিনি বলেন, দিওয়ালির আগেই আমি সেখানে রামমন্দিরের নির্মাণ কাজ শুরু করতে চাই। আদালতের রায়ে এ ইস্যু এখন দ্রুত নিশ্চিত করা যাবে। সাবেক এই মন্ত্রী আরও বলেন, রামের জন্মভূমিতে প্রার্থনা করা তার মৌলিক অধিকার এবং এটি মন্দির নির্মাণে রাস্তা সৃষ্টি করে দিয়েছে। বিজেপির উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্য নাথ, কেন্দ্রীয় সরকারের ক্যাবিনেট মন্ত্রী উমা ভারতীও সুব্রামনিয়ামের প্রস্তাবে সহমত পোষণ করেছেন। আদালতের ওই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে আরএসএস প্রধান বলেন, ২৯ অক্টোবর থেকে ফের সেই মামলার শুনানি শুরু হবে। আশা করছি শিগগির মামলার নিষ্পত্তি হবে। এ ব্যাপারে বিজেপি কোনো অফিসিয়াল বিবৃতি না দিলেও আরএসএস, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ মনে করছে, এ দিনের রায়ের ফলে রামমন্দির নির্মাণের সব বাধা কেটে গেল।

১৯৯৪ সালেও একবার এই রায়ই দিয়েছিলেন সুপ্রিমকোর্ট। মসজিদ ইসলামের অপরিহার্য অংশ কিনা, তা নিয়ে ফের চুলচেরা বিচার হবে না বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্ট। এই সংক্রান্ত মামলাটি সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠানোর দাবিও খারিজ করে দিয়েছেন। এর ফলে অযোধ্যার রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ জমি বিতর্কে মূল মামলাটির শুনানি আর পেছানোর অবকাশ রইল না বলে মনে করা হচ্ছে।

এদিকে ভারতের মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলেমিন (মিম) প্রধান ব্যারিস্টার আসাদউদ্দিন ওয়াইসি এমপি বলেছেন, নামাজের জন্য মসজিদ প্রয়োজন কিনা তা আদালত কীভাবে ঠিক করতে পারেন? ওয়াইসি বলেন, যদি বিষয়টি সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠানো হতো তাহলে ভালো হতো। কারণ, ইসলামে মসজিদ একটি জরুরি অংশ। কোরআন ও হাদিসে মসজিদের উল্লেখ আছে।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version