এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : ভূমিকম্প ও সুনামিতে ইন্দোনেশিয়ার পালু শহরে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ১ হাজারের বেশি মানুষ। দুর্ঘটনার এক সপ্তাহ পরও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকলেও তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তরল কাদামাটির নিচে চাপা পড়ে আছেন বলে মনে করছেন কর্মকর্তারা।
এদিকে শুক্রবার সুনামি বিধ্বস্ত প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতেও ত্রাণ পৌঁছাতে শুরু করেছে বলে জানা গেছে। শুক্রবার আলজাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র শুক্রবার জানিয়েছেন, শহরের বালারোয়া ও পেটোবো তরল হয়ে যাওয়া মাটির নিচে সহস্রাধিক মানুষ সমাহিত হয়ে থাকতে পারেন। ওই এলাকাটি তিন মিটার কাদা কবলিত হয়ে পড়েছিল। শহরটির মার্কারি হোটেলের ধ্বংসস্তূপের নিচে কাউকে জীবিত পাওয়ার আশা ত্যাগ করেছেন উদ্ধারকর্মীরা।
ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র সুতোপে পুরয়ো নুগ্রহো জানান, মাটি তরলে পরিণত হওয়ার ফলে বালারোয়া ও পেটোবো উপশহরে হয়তো এক হাজারের বেশি মানুষ সমাহিত হয়েছেন।
এখানে তিন মিটার গভীর কাদা ছড়িয়ে পড়েছিল। মুখপাত্র আরও জানান, এলাকা দুটিতে উদ্ধার তৎপরতা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। কারণ সেখানকার মাটি এখনও ভেজা।
ফলে উদ্ধার সরঞ্জাম পরিচালনা করা যাচ্ছে না। সংস্থাটি জানায়, এখন পর্যন্ত পেটেবোতে ২৬ এবং বালারোয়াতে ৪৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও অনুসন্ধান চলছে। বালারোয়াতে ১ হাজার ৭০০ বাড়ি চাপা পড়েছে।
ভূমিকম্পের ফলে মাটি গলে তরলে পরিণত হওয়ায় এ চাপা পড়ার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে ১৫৫৮ জন নিহতের কথা জানা গেছে।
নিহতদের মধ্যে ৩৪ শিশু ছিল। এসব শিশু স্থানীয় খ্রিস্টান বাইবেল স্টাডি ক্যাম্পে ছিল। মাটি তরলে পরিণত হওয়ার কারণে এ ক্যাম্পটি আক্রান্ত হয়।
অত্যাধুনিক প্রযুক্তির যন্ত্রপাতিসহ ফরাসি উদ্ধার টিম জানিয়েছে, সুলাওয়েসির মার্কারি হোটেলের ধ্বংসস্তূপে কোনো জীবিত মানুষের সন্ধান তারা পায়নি।
বৃহস্পতিবার দলটি এ তথ্য জানায়। শুক্রবার দলটি হোটেল ছেড়ে অন্যত্র উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে। এদিকে কয়েকদিনের ভঙ্গুর যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ নানা প্রতিকূলতা কাটিয়ে অবশেষে ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপের দুর্গত এলাকায় আন্তর্জাতিক সহায়তা পৌঁছাতে শুরু করেছে।
ইন্দোনেশিয়ার জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণকারী বিভাগের কর্মীরা সড়কগুলো পরিষ্কার করে দেয়ার পর এবং বিদ্যুৎ সংযোগ আবারও সচল হওয়ায় ত্রাণবহর পৌঁছাতে সক্ষম হচ্ছে।