এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : সুইডেনের একটি হ্রদে সাঁতার কাটতে গিয়ে ভাইকিং-পূর্ব যুগের একটি তলোয়ারের সন্ধান পেয়েছে দেশটির ৮ বছর বয়সী এক শিশু। সাগা ভনেস্ক নামের ৮ বছরের মেয়েটি সুইডেনের জঙ্কোপিং শহরের পারিবারিক বাড়িতে ছুটি কাটাতে গিয়েছিল। সেখানকার ভিদোস্ত্রা হ্রদে সাঁতার কাটার সময়ই প্রাচীন এ নিদর্শনের খোঁজ পায় সে। খবর বিবিসির।

প্রাথমিকভাবে তলোয়ারটি এক হাজার বছরের পুরনো বলে মনে করা হলেও স্থানীয় জাদুঘরের বিশেষজ্ঞরা নিদর্শনটির বয়স ১৫০০ বছরের কাছাকাছি হতে পারে বলে জানান।

কর্মকর্তারা জানান, সাগা ভনেস্ক যে সময় সাঁতার কাটছিল খরার কারণে তখন হ্রদের পানির উচ্চতা কম ছিল, যে কারণে সহজেই তলোয়ারটির সন্ধান মেলে।

ভিদোস্ত্রা হ্রদে সাঁতরানোর সময় ‘পানির মধ্যে একটা লাঠির মতো বস্তু পায়ে লাগার পর’ তলোয়ারটির সন্ধান পায় সাগা। ‘পানির মধ্যে কিছু একটা আছে বলে অনুভূত হয় আমার, পরে আমি সেটাকে তুলে এর একটা হাতল দেখতে পাই। এটি যে তলোয়ারের মতো দেখতে, তা গিয়ে বাবাকে বলি,’ স্থানীয় টেলিভিশন এসভেরিয়েসকে এমনটাই জানায় ৮ বছর বয়সী এ শিশু।

সাগার বাবা অ্যান্ডি ভনেস্ক প্রথমে মেয়ের পাওয়া বস্তুটিকে পানির মধ্যে থাকা লাঠি বা গাছের ডালপালা ভেবেছিলেন। এক বন্ধুকে দেখানোর পরই বস্তুটি যে প্রাচীন নিদর্শন তা নিশ্চিত হন তিনি।

তলোয়ারটি এখন স্থানীয় জাদুঘরে রাখা আছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। সাগার আবিষ্কারের পরপরই জাদুঘর ও শহর কর্তৃপক্ষ ভিদোস্ত্রা হ্রদে অনুসন্ধান চালায়। খুঁজে পায় তৃতীয় শতকে ব্যবহৃত পুরনো একটি ব্রোচ। অনুসন্ধান কার্যক্রম এখনও শেষ হয়নি বলেও জানিয়েছে জঙ্কোপিং জাদুঘর কর্তৃপক্ষ। হ্রদ থেকে আরও পুরনো নিদর্শন মিলতে পারে বলেও প্রত্যাশা তাদের।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version