এশিয়ান বাংলা, ঢাকা : গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে সেনা সদরের করা সাধারণ ডায়েরি (জিডি) রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় রূপান্তির হয়েছে। ৯ অক্টোবর রাতে বেসরকারি সময় টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোতে সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করায় সেনা সদরের মেজর এম রকিবুল আলম বাদী হয়ে শুক্রবার রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় জিডি করেছিলেন। রোববার সেটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলে তা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দেয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সোমবার রাতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল বাতেন বলেন, এএসপি পদমর্যাদার কর্মকর্তা ফজলুর রহমানকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল বলে জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ এজাহার হিসেবে গ্রহণের আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতে হয়। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেয়েই জিডিটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।
সেনা সদরের মেজর এম রকিবুল আলম জিডিতে উল্লেখ করেন, সেনাবাহিনী স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক। সময় টিভিতে গত ৯ অক্টোবর রাতে ‘সম্পাদকীয়’ টকশোতে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাসংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায়ের পূর্ব রাতে হঠাৎ অপ্রাসঙ্গিকভাবে সেনাপ্রধান সম্পর্কে দেয়া বক্তব্যটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, বিদ্বেষপ্রসূত ও ষড়যন্ত্রমূলক, যা সেনাবাহিনীর মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি, তথা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মতো একজন উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তি কেন, কি উদ্দেশ্যে এবং কাদের প্ররোচনায় এ ধরনের উদ্দেশ্যমূলক, বানোয়াট ও অসত্য বক্তব্য টকশোতে বলেছেন তা তদন্তের দাবি রাখে।
ক্যান্টনমেন্ট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কবির হোসেন হাওলাদার জানান, সময় টিভিতে সেনাপ্রধানকে জড়িয়ে দেয়া ডা. জাফরুল্লাহর বক্তব্যের বিষয়টি উল্লেখ করে সেনা সদরের একজন কর্মকর্তা জিডি করেছেন (জিডি নম্বর : ৪৯৮)। শুরুতে থানা পুলিশ জিডির তদন্ত শুরু করেছিল। পরে এর তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
জিডিতে বাদী উল্লেখ করেছেন, বর্তমান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ সম্পর্কে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বক্তব্যটি ছিল দায়িত্বজ্ঞানহীন, অসত্য। কারণ বর্তমান সেনাবাহিনী প্রধান চাকরি জীবনে কখনোই চট্টগ্রামে জিওসি বা কমান্ড্যান্ট হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন না।
মেজর এম রকিবুল আলম জিডিতে স্পষ্ট করে বলেছেন, ২০০৩-২০১৮ পর্যন্ত চট্টগ্রামের ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি হিসেবে যথাক্রমে মেজর জেনারেল মঈন ইউ আহমেদ (পরবর্তীতে সেনাবাহিনী প্রধান), মেজর জেনারেল ইকবাল করিম ভূঁইয়া (পরবর্তীতে সেনাবাহিনী প্রধান), মেজর জেনারেল সিনা ইবনে জামালী (পরবর্তীতে লে. জেনারেল), মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আবদুুল মুবীন (পরবর্তীতে সেনাবাহিনী প্রধান), মেজর জেনারেল মোহাম্মদ শামিম চৌধুরী, মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আসহাব উদ্দিন, মেজর জেনারেল মো. সফিকুর রহমান (পরবর্তীতে লে. জেনারেল), মেজর জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে মেজর জেনারেল এসএম মতিউর রহমান জিওসি হিসেবে কর্মরত আছেন।’
জিডিতে বলা হয়েছে, ‘চাকরিরত সেনাবাহিনী প্রধান সম্পর্কে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মতো একজন বিশিষ্ট ব্যক্তির এরূপ বানোয়াট, সৃজিত এ অসত্য বক্তব্য সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, যা সেনাবাহিনী প্রধানসহ সেনাবাহিনীর মতো রাষ্ট্রীয় একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে জনসম্মুখে হেয় করার হীন অপচেষ্টা। এতে কেবল সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবে জেনারেল আজিজ আহমেদের সামরিক সুনাম ও সামাজিক অবস্থানকে ক্ষুণ্ণ করেনি, বরং তা সেনাবাহিনী প্রধানের সম্মানজনক পদকে চরমভাবে হেয় প্রতিপন্ন করেছে।
ডা. জাফরুল্লাহ তার বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর ঐক্যকে বিনষ্ট করাসহ সাধারণ জনগণের মধ্যেও বিভ্রান্তিকর তথ্য ও উদ্দেশ্যমূলক গুজব ছড়িয়ে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী ও সাধারণ জনগণের মধ্যে সেনাবাহিনী সম্পর্কে বিরূপ ও নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি করে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন বলে প্রতীয়মান।’
আইএসপিআরের প্রতিবাদ : গত ৯ অক্টোবর রাত ১০টায় ‘সময়’ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত টকশো ‘সম্পাদকীয়’তে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আলোচনার একপর্যায়ে ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জনসভায় ইতিহাসের নৃশংসতম, জঘন্য ও ঘৃণ্য গ্রেনেড হামলার ঘটনার সঙ্গে বর্তমান সেনাবাহিনী প্রধান ও সেনাবাহিনীর সংশ্লিষ্টতা খুঁজতে গিয়ে দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে বর্তমান সেনাবাহিনী প্রধান ও সেনাবাহিনী সম্পর্কে কল্পনাপ্রসূত ও বানোয়াট কিছু অসত্য তথ্য পরিবেশন করেন।
সেনা সদর হতে পরদিন ‘সময়’ টিভিতে লিখিত প্রতিবাদ জানানো হলে টিভি কর্তৃপক্ষ অতি গুরুত্ব সহকারে ১০ অক্টোবর ‘সম্পাদকীয়’ অনুষ্ঠান শুরুর প্রাক্কালে প্রতিবাদলিপি প্রচার করে। জনাব ডা. জাফরুল্লাহর বক্তব্য ও সেনা সদরের প্রতিবাদ হুবহু উল্লেখ করা হল-
‘… দেখেন আর্জেস গ্রেনেড, আমি জানি না সময়টি মিলে কিনা- আমাদের বর্তমান চিফ অব আর্মি আজিজ সাহেব চট্টগ্রামের কমান্ড্যান্ট ছিলেন, জিওসি ছিলেন, কমান্ড্যান্ট ছিলেন। তার ওখান থেকে একটা ব্যাপকসংখ্যক সমরাস্ত্র, গোলাগুলি চুরি হয়ে গেছিল, হারিয়ে গেছিল, বিক্রি হয়ে গেছিল এবং এজন্য একটা কোর্ট মার্শালও হয়েছিল, আজিজের নামে, জেনারেল আজিজের নামে কোর্ট মার্শালও হয়েছিল। আজকে উনি…, কিন্তু উনার কেন এসেছে, উনি হলেন ওভার অল, উনি নিশ্চয়ই এখনতো ওখান থেকে এবং আমরা আরও দেখছি মিরপুরে সম্প্রতি কয়েক বাক্স পুকুরের মধ্যে পাওয়া গেছে, এ সবগুলো আমাদের ব্যর্থতা…।’
বর্তমান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ সম্পর্কে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বক্তব্য ছিল একটি দায়িত্বজ্ঞানহীন অসত্য বক্তব্য কারণ বর্তমান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ চাকুরি জীবনে কখনোই চট্টগ্রামের জিওসি বা কমান্ড্যান্ট হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন না।
তিনি সেপ্টেম্বর ২০১০ হতে জুন ২০১১ পর্যন্ত কুমিল্লায় ৩৩ আর্টিলারি ব্রিগেডের ব্রিগেড কমান্ডার, জুন ২০১১ হতে মে ২০১২ পর্যন্ত ঢাকায় মিরপুরে ৬ স্বতন্ত্র এডিএ ব্রিগেডের ব্রিগেড কমান্ডার এবং মে ২০১২ হতে ডিসেম্বর ২০১২ পর্যন্ত কুমিল্লায় ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্ণিত সময়ে চট্টগ্রাম বা কুমিল্লা সেনানিবাসে কোনো সমরাস্ত্র বা গোলাবারুদ চুরি বা হারানোর কোনো ঘটনা ঘটেনি। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, বর্তমান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ তার দীর্ঘ বর্ণাঢ্য সামরিক চাকুরি জীবনে কখনোই কোর্ট মার্শালের সম্মুখীন হননি।
চাকুরিরত একজন সেনাবাহিনী প্রধান সম্পর্কে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মতো একজন বিশিষ্ট ব্যক্তির এরূপ দায়িত্বজ্ঞানহীন অসত্য বক্তব্য সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত যা সেনাবাহিনী প্রধানসহ সেনাবাহিনীর মতো রাষ্ট্রীয় একটি প্রতিষ্ঠানকে জনসম্মুখে হেয় করার হীন অপচেষ্টা মর্মে স্পষ্টত প্রতীয়মান।
ডা. জাফরুল্লাহর উপরোক্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন অসত্য বক্তব্য কেবলমাত্র সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবে জেনারেল আজিজ আহমেদের সুনাম ও সামাজিক অবস্থানকে ক্ষুণ্ণ করেনি, বরং তা সেনাবাহিনী প্রধানের পদকে চরমভাবে হেয়প্রতিপন্ন করেছে। যা প্রকারান্তরে চাকুরিরত সেনাবাহিনীর সকল সদস্যকে বিভ্রান্ত করছে এবং তাদের মনোবলের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এছাড়া এরূপ অপপ্রচার সেনাবাহিনীর মতো সুশৃঙ্খল বাহিনীর সংহতি ও একতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে যা অনাকাক্সিক্ষত।’
১৩ অক্টোবর রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জনাব ডা. জাফরুল্লাহ ইতিপূর্বে ‘সময়’ টেলিভিশনের টকশোতে তার প্রদত্ত বক্তব্যে সেনাবাহিনী প্রধান সম্পর্কে ‘অসাবধানতাবশত ভুল তথ্য উল্লেখ এবং ভুল শব্দ চয়ন ও শব্দ বিভ্রাট হয়েছিল’ মর্মে উল্লেখ করেন। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে তিনি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আরও কিছু তথ্য উপস্থাপন করেন। সংবাদ সম্মেলনে তার প্রদত্ত বক্তব্য বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়া, অনলাইন পোর্টালসহ প্রায় সকল জাতীয় দৈনিকে পরদিন প্রকাশিত হয়।
প্রকাশিত সংবাদে উল্লিখিত কিছু বিষয়ে সেনা সদরের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে এবং এ বিষয়ে সেনা সদর হতে তীব্র প্রতিবাদ জ্ঞাপন করা হল। কারণ ডা. জাফরুল্লাহর সংবাদ সম্মেলনে প্রদত্ত বক্তব্যে পুনরায় কিছু বানোয়াট, অসত্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপিত হয়েছে যা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আলোচনাকালে আমি দেশের বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল এমএ আজিজ সম্পর্কে অসাবধানতাবশত একটি ভুল তথ্য উল্লেখ করেছিলাম।’ ডা. জাফরুল্লাহ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ সম্পর্কে যা যা বলেছেন তা সবই ভুল।
ডা. জাফরুল্লাহ শব্দ চয়নে ভুল করে ‘কোর্ট অব ইনকোয়ারি’-এর স্থলে ‘কোর্ট মার্শাল’ বলেছেন তার এ তথ্যটিও সঠিক নয়। ব্যক্তি আজিজের বিরুদ্ধে কখনও কোর্ট মার্শাল তো হয়ইনি বরং জেনারেল আজিজের সুদীর্ঘ ও বর্ণাঢ্য চাকুরি জীবনে তার বিরুদ্ধে কোনো কোর্ট অব ইনকোয়ারিও হয়নি। বস্তুত পক্ষে ডা. জাফরুল্লাহর বক্তব্যটি চরম মিথ্যাচারের শামিল। ইতিপূর্বে সময় টিভিতে ভুল, দায়িত্বজ্ঞানহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্যের জন্য ভুল স্বীকার ও দুঃখ প্রকাশ করতে গিয়ে পুনরায় অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে ও চতুরতার সঙ্গে তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়ে জেনারেল আজিজ আহমেদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অপচেষ্টা চালিয়েছেন।
৯ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে টকশোতে তিনি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় ব্যবহৃত আর্জেস গ্রেনেডের উৎস হিসেবে সুকৌশলে সেনাবাহিনীকে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করেছিলেন যা ছিল দুরভিসন্ধিমূলক। উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইতিহাসে কখনও কোনো গ্রেনেড হারানো, চুরি বা বিক্রি হওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাসংক্রান্ত মামলার রায় ঘোষণার আগের দিন টেলিভিশন লাইভ টকশোতে এ ধরনের অসত্য বক্তব্য প্রদান উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অসত্য বক্তব্যকে সংশোধনের কোনো চেষ্টা করেননি।
তার সামগ্রিক বক্তব্যে এটা স্পষ্টত যে তিনি সেনাবাহিনীতে কর্মরত সকল পদবির সদস্যদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টার পাশাপাশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সেনাবাহিনী প্রধানের ভাবমূর্তি এবং স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক দেশ প্রেমিক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপপ্রয়াস চালিয়েছেন।
জনগণের আস্থা ও বিশ্বস্ততার কেন্দ্রবিন্দু বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। জাতীয় এ প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে মিডিয়া বা অন্য কোনো মাধ্যমে বক্তব্য প্রদানের পূর্বে তথ্যের সঠিকতা যাচাই করা বাঞ্ছনীয়। মিথ্যা/ভুল তথ্য পরিবেশন একটি গর্হিত অপরাধ। কেননা ভুল তথ্য একদিকে যেমন দেশ মাতৃকার অতন্দ্র প্রহরী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের মনোবলের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে তেমনি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী তাদের অসৎ উদ্দেশ্য সাধনের সুযোগ নিতে পারে। তাই সেনাবাহিনী বিষয়ে সত্যতা যাচাই করে তথ্য পরিবেশন করার জন্য অনুরোধ করা হল।