এশিয়ান বাংলা, সাতক্ষীরা : প্রতিবন্ধী মেয়েকে বিষ খাইয়ে হত্যার পর মা নিজেও আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনায় সাতক্ষীরার আশাশুনির গোয়ালডাঙ্গা গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বাড়ির আঙিনায় পড়ে থাকা মা ও মেয়ের মরদেহ দেখতে শত শত লোক জড়ো হয়।

আত্মহননকারী মায়ের নাম শান্তি রানী মণ্ডল। প্রতিবন্ধী মেয়ের নাম তমালিকা মণ্ডল। শান্তি রানী ওই গ্রামের দিনমজুর উত্তম মণ্ডলের স্ত্রী। বেদনাদায়ক এ ঘটনার সময় উত্তম মণ্ডল বাড়িতে ছিলেন না। ভোরে তিনি মাছের ঘেরে কাজ করতে যান।

উত্তম মণ্ডলের বড় মেয়ে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী তন্দ্রা মণ্ডল জানায়, তার বোন তমালিকা শারীরিক প্রতিবন্ধী। বিভিন্ন সময় সে বাড়ির জিনিসপত্র ভাংচুর ও নষ্ট করত। এ নিয়ে পরিবারের মধ্যে অশান্তি চরমে উঠে। তন্দ্রা জানায়, তার মা প্রতিবন্ধী মেয়ের আচরণ সহ্য করতে না পেরে সোমবার সকালে খাবারের সঙ্গে তমালিকাকে তরল কীটনাশক খাওয়ায়। খাবার পর তমালিকা যখন বিষক্রিয়ায় ছটফট করছিল তখন মা শান্তি রানী একই বিষ পানে আত্মহননের পথ বেছে নেয়। কিছুক্ষণের মধ্যে মা ও মেয়ের দেহ নিথর হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে প্রতিবেশীরা স্থানীয় ডাক্তারকে ডেকে নিয়ে আসেন।

আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ জানান, পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য মা-মেয়ের লাশ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version