এশিয়ান বাংলা, ঢাকা : সংলাপের সূচনা হওয়ায় দেশবাসীর কপাল খুলে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, আমরা চা খাওয়ানোর দাবি করেছিলাম, তিনি (প্রধানমন্ত্রী) ডিনার করাবেন। আমাদের কপাল খুলে গেছে। দেশবাসীর কপালও খুলে গেছে। নাগরিক ঐক্য আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। রাজধানীর তোপখানায় বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদের মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীরের নাগরিক ঐক্যে যোগদান উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সংলাপে যদি যাই তবে সাত দফা নিয়ে আলাপ করবো। তিনি বলেন, দেশবাসী পরিবর্তন চাইছে।
দেশবাসী এই অনাচার আর চায় না। হাজার হাজার মানুষ গায়েবি মামলায় হয়রানির শিকার হচ্ছে। এটা প্রমাণ করে, এখানে ইসলামাবাদের শাসন কায়েম হয়েছে।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে বলেন, দেরিতে হলেও সরকার প্রধানের শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে। আমাদের ডাকছেন, কথা বলতে চান, আমরা গিয়ে কথা বলবো। তারা বলেছেন, সংবিধানের বাইরে আমরা কোনো কথা বলতে চাই না। আমরা সংবিধানের মধ্যেই দেখিয়ে দেবো কীভাবে আমাদের দাবি মেনে নেয়া সম্ভব। সাত দফাই আমাদের দাবি বলেও জানান মান্না। সংলাপ প্রসঙ্গে মান্না বলেন, আমরা সংলাপে যাবো। এর মধ্যে কোনো রিজারভেশন নেই। আমরা ডাকলেই যাবো, কোনো এজেন্ডা ছাড়াই যাবো। আমরা সাত দফা নিয়ে যাবো। সাত দফাই মানতে হবে। কোনো রকম দ্বিধাদ্বন্দ্বের কিছু নেই, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি আমাদের দাবি। ঐক্যফ্রন্টের দাবি।
মান্না বলেন, খালেদা জিয়ার সঙ্গে যা করা হচ্ছে, তা নেহায়েতই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমরা বলতে চাই, যা-ই করবো আন্তরিকভাবে করবো। আমাদের এই আন্দোলন প্রতিহিংসার নয়। আমরা কারও গণতান্ত্রিক আন্দোলন কেড়ে নেবো না। আমরা কারও ওপর আক্রোশ করবো না, তবেই এটা ঠিক বিচার হবে। আলোচনার শুরুতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক মহাসচিব নঈম জাহাঙ্গীরকে আনুষ্ঠানিকভাবে নাগরিক ঐক্যের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় শুভেচ্ছা জানানো হয়। তিনি নব্বই দশকের শেষদিকে ‘স্বাধীনতা পার্টি’ নামের একটা রাজনৈতিক দল গঠন করেছিলেন। নঈম জাহাঙ্গীর বলেন, নাগরিক ঐক্য কোনো বড় সংগঠন নয়, তবে এটি স্বৈরশাসন, হত্যা, গুম, খুন, অন্যায়সহ যত আচরণ হয়, হচ্ছে তার বিরুদ্ধে সব সময় সোচ্চার। দেশের নাগরিকদের ঐক্যবদ্ধ করার কর্মসূচি দেয়া হয়। দেশে একটা অনির্বাচিত সরকার, অথচ তারা নির্বাচিত বলে দাবি করছে। এই সরকারের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। লক্ষ হাজার কোটি টাকা লুটপাট হচ্ছে- কোনো জবাবদিহি নেই।