এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : বর্তমানে থাইরয়েডের সমস্যায় কম বেশি অনেকেই ভোগেন। বিশেষ করে নারীদের হরমোন জনিত এই রোগটি বেশি হয়ে থাকে। কিন্তু এই রোগে চাইলেই আপনি অনেক খাবার খেতে পারবেন না তা কি জানেন? আর কিছু খাবার কাওয়া খুবই প্রয়োজন।

থাইরয়েড থাকলে যেসব খাবার খেতে পারেন : থাইরয়েড একপ্রকারের হরমোন জনিত সমস্যা। থাইরয়েড শরীরে বেড়ে গেলে বা কমে গেলে ওজন বেড়ে যায়। আবার কখনো ওজন কমে যায় আরো নানা সমস্যা দেখা দেয়। যা শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়। তাই জিঙ্ক, আয়রন, আয়োডিন, কপার জাতীয় খাবার বেশি করে নিজের খাদ্যতালিকায় রাখুন।

ব্রাউন রাইস বা লাল চালের ভাতঃ ব্রাউন রাইসে থাকে কার্বোহাইড্রেট। যা থাইরয়েডের সমস্যায় মোকাবিলা ও হজমে সমস্যা করে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে ব্রাউন রাইস যদি খান তবে তা থাইরয়েডের ওষুধ খাওয়ার ১ ঘণ্টা আগে।

নারিকেল বা নারিকেলের দুধঃ নারিকেল বা নারিকেলের দুধ অনেক দিন আগে থেকেই থাইরয়েডের জন্য খুবই কার্যকরী উপাদান। এটি সঠিক মাত্রায় হরমোন তৈরি করে। ফলে শরীরে থাইরয়েডের ব্যালেন্স ঠিক থাকে।

দইঃ দইয়ে থাকা ভিটামিন ডি থাইরয়েডের বাড়া কমাকে নিয়ন্ত্রন করে। ভিটামিন ডি’র অভাব হলে শরীরে অন্য সমস্যার পাশাপাশি থাইরয়েডের সমস্যাও বেড়ে যায়। তাই যাদের থাইরয়েড আছে তারা প্রতিদিন ৫০ গ্রাম মত টকদই খেতে পারেন।

ডিমঃ ডিমে থাকা নানা পুষ্টিকর উপাদান থাইরয়েডের সমস্যার সাথে মোকাবিলা করতে পারে। তবে সেদ্ধ ডিম খেতে হবে, ভাজা নয়।

মাছঃ যেকোনো ছোট মাছ খাওয়া উচিত থাইরয়েডের রোগীদের। তবে বিশেষ করে স্যামন মাছ বেশি কার্যকরী। আর বাজারে পাওয়া না গেলে চারাপোনা মাছ খেতে পারেন।

অন্যান্য খাবারঃ থাইরয়েড হলে শরীরে প্রয়োজন সঠিক মাত্রায় কপার ও আয়োডিন। তাই সবুজ শাক-সবজি, আঁশযুক্ত মাছ, কাজুবাদাম, ক্যাপসিকাম, মেথি শাক ইত্যাদি বেশি খান। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে সব সময়ে।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version