এশিয়ান বাংলা ডেস্ক: শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা আন্তর্জাতিক চাপে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছেন। আগামী ৫ নভেম্বর পুনরায় সংসদ অধিবেশন আহ্বান করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাজধানী কলম্বোয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক বৈঠকে নতুন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। দুই প্রধানমন্ত্রী নিয়ে বিপাকে পড়া শ্রীলংকার সাংবিধানিক সংকট নিরসনে স্বাধীন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে দেশটির নির্বাচন কমিশন (ইসি)। খবর আলজাজিরার।

গত শুক্রবার ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির (ইউএনপি) প্রধান রনিল বিক্রমাসিংহেকে সরিয়ে রাজাপাকসেকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেন সিরিসেনা। ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত সংসদ অধিবেশন স্থগিত করে মন্ত্রিসভাও ভেঙে দেন তিনি। একে রাষ্ট্রপতির অভ্যুত্থান বলে উল্লেখ করে দেশ-বিদেশের গণমাধ্যম। প্রেসিডেন্ট সিরিসেনার এমন অসাংবিধানিক কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। পার্লামেন্ট স্থগিত রাখাকে অসাংবিধানিক অ্যাখ্যা দিয়ে তা চালুর আহ্বান জানায় জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেনসহ বহু দেশ। আন্তর্জাতিক চাপের কারণেই সিরিসেনা তার সিদ্ধান্ত পাল্টিয়েছেন। প্রেসিডেন্টের এ সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিক্রমাসিংহে টুইট বার্তায় বলেন, এতে জনগণের মতামতের প্রতিফলন ঘটেছে। গণতন্ত্রের জয় হয়েছে। সিরিসেনার গোঁয়ার্তুমি থেকে সরে আসাকে স্বাগত জানিয়েছেন ইউএনপি’র সংসদ সদস্য অজিত পেরেরা। এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘পার্লামেন্টে আমাদের ১২৪ জন এমপি আছে। সংসদে আমরা আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেখাতে পারব।’ সাবেক প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসের শাসনামলে ২০১০ থেকে ২০১৪ সালে পর্যন্ত শ্রীলংকার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন সিরিসেনা। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাজাপাকসেকে পরাজিত করতে বিক্রমাসিংহের সঙ্গে জোট বাঁধেন তিনি। নির্বাচনে ইউএনপি’র সমর্থন পেয়ে বিপুল ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন সিরিসেনা। বিক্রমাসিংহে জোট থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিলে তাকে বরখাস্ত করেন প্রেসিডেন্ট।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version