এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে সৌদি আরবের পাশে দাঁড়িয়েছেন। একইসঙ্গে, খাসোগি হত্যাকাণ্ড ইস্যুতে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের পাশে দাঁড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রামপ প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। শুক্রবার খাসোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে তিনি তার নীরবতা ভাঙলেন। বলকান রাষ্ট্রগুলোর এক সম্মেলনে বক্তৃতা রাখার সময় নেতানিয়াহু বলেন, জামাল খাসোগির সঙ্গে যা হয়েছে তা ভয়াবহ। কিন্তু বিশ্বে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে সৌদি আরবকে স্থিতিশীল রাখতে হবে। এ অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্য হলেও সৌদি আরবের পাশে দাঁড়াতে হবে। এ বক্তব্যের মাধ্যমে সৌদি আরবের সঙ্গে ইসরাইলের উষ্ণ সমপর্কে ভারসাম্য স্থাপনের চেষ্টা করেছেন নেতানিয়াহু। বক্তব্যে তিনি ইরানের সমালোচনা করে দেশটিকে রুখে দেয়ার আহ্বান জানান।

এদিকে, ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, খাসোগিকে বিপজ্জনক ইসলামপন্থি অভিহিত করে তার হত্যাকে হালকা করে দেখার জন্য মোহাম্মদ বিন সালমান যে দাবি করেছেন তা সমর্থন করেছে মিশরের প্রেসিডেন্ট ফাতাহ আল-সিসি ও ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। প্রিন্স সালমানকে যোগ্য শাসক হিসেবে অভিহিত করে নেতানিয়াহু বলেছেন, সৌদি আরবের শাসনে তার কৌশলগত অবস্থান কার্যকরী ভূমিকা রাখছে। উল্লেখ্য, ইসরাইল ও সৌদি আরবের মধ্যে কূটনৈতিক সমপর্ক নেই। কিন্তু দেশ দুটির মধ্যে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় চালু হয়েছে। বিন-সালমানকে দিয়ে ইসরাইলের স্বীকৃতি আদায়ের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন নেতানিয়াহু।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version