এশিয়ান বাংলা, ঢাকা : উৎসবমুখর পরিবেশে চতুর্থদিনের মতো দলের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমা করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। বুধবার পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় একটা চাপা আতঙ্ক থাকলেও নেতাকর্মীরা জানান, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা অনেকটা কেটে যায়। অন্যদিনের মতো যথারীতি সকাল ৯টা থেকে মনোনয়ন ফরম বিক্রি ও জমাদান কার্যক্রম শুরু হয়। সময় যত গড়াতে থাকে ততই দলটির কর্মী-সমর্থকদের উপচে পড়া ভিড় জমে দলীয় কার্যালয় নয়াপল্টনে। কার্যালয়ের সামনে দলীয় নেতাদের নামে ব্যানার, ফেস্টুন, ধানের শীষ নিয়ে শোডাউন ও দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে স্লোগান দিতে দেখা যায়।

এদিন কার্যালয়ের সামনের রাস্তা কিছুটা ফাঁকা রেখেই নির্বাচনের মনোনয়ন বিতরণ ও জমাদানের কাজ শুরু করে দলটি। দলের পক্ষ থেকে নেতাকর্মীদের রাস্তায় অবস্থান না করার জন্য বলায় তেমন কোনো জটিলতাও সৃষ্টি হয়নি। এ সময়ে কার্যালয়ের সামনে কিংবা আশেপাশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দেখা না গেলেও নয়াপল্টনের দু’পাশে ফকিরাপুল ও বিজয়নগর মোড়ে তারা ছিল সতর্ক অবস্থায়।

এদিন বিএনপির ৪০২টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি ও ৮৫৮টি ফরম জমা পড়েছে বলে জানিয়েছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি জানান, চারদিনে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের কাছে ৪ হাজার ১১২টি ফরম বিক্রি করেছে বিএনপি। প্রথম দিন ১৩২৬টি, দ্বিতীয় দিন ১৮৯৬টি, তৃতীয় দিন ৪৮৮টি এবং চতুর্থদিন বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৪০২টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে। এছাড়া গত দুই দিনে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন ১ হাজার ২০৯ জন মনোনয়ন প্রত্যাশী। ১২ই নভেম্বর থেকে একাদশ জাতীয় সংসদের মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু করেছে বিএনপি, যা চলবে আজ শুক্রবার পর্যন্ত। মনোনয়ন ফরমের জন্য পাঁচ হাজার টাকা করে নেয়া হচ্ছে। তবে জমা দেয়ার সময় জামানত হিসেবে দিতে হচ্ছে আরো ২৫ হাজার টাকা।

এদিকে বুধবারের অপ্রীতিকর ঘটনার পর নেতাকর্মীদের মধ্যে নানা অনিশ্চয়তার পরও বিভিন্ন আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সমর্থনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসেন তারা। এর মধ্যে ঢাকা কেন্দ্রিক কয়েকজন মনোনয়ন প্রত্যাশী ঘোড়ার গাড়ি, ঢাক ঢোল পিটিয়ে, মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করে মনোনয়ন ফরম জমা দিতে আসেন। ঢাকার সাবেক মেয়র ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন ঢাকা-৬ আসন, ঢাকা-১৫ আসনে কেন্দ্রীয় যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক কারাবন্দি মামুন হাসানের পক্ষে তার স্ত্রী ডলি হাসানের নেতৃত্বে এবং ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক কারাবন্দি ইসহাক সরকার ঢাকা-৭ আসনের জন্য, খুলনা-৩ আসনের জন্য রফিকুল ইসলাম বকুলের সমর্থনে কয়েক হাজার নেতাকর্মী মনোনয়ন ফরম জমা দিতে আসেন।

এর বাইরে দলের ভাইস চেয়ারম্যান শাহ্‌ মোয়াজ্জেম হোসেন (মুন্সীগঞ্জ-১), চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও দীর্ঘ অর্ধযুগ ধরে নিখোঁজ নেতা এম ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর ও বড় ছেলে ব্যারিস্টার আবরার ইলিয়াস (সিলেট-২), দলের ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক (ঢাকা-১৪ ও ১৬), ব্যারিস্টার সারোয়ার হোসেন (পিরোজপুর-১), সাদিকুর রহমান (চাঁপাই নবাবগঞ্জ-১), শহীদউল্লাহ এমরান (নেত্রকোনা-৫), আবুল কালাম আজাদ (টাঙ্গাইল-৭), বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম মাহতাব (পিরোজপুর-৩), মো. দুলাল (নারায়ণগঞ্জ-১), ফায়েজুল ইসলাম লাঞ্জু, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, মোকাদ্দেম হোসেন (জামালপুর-৩), জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু (চাঁদপুর-৫), অ্যাডভোকেট ফারহানা জাহান নিপা (বাগেরহাট-৪), আসফ কবির চৌধুরী (নওগাঁ-৩), আশরাফুজ্জামান খান লিটন (জামালপুর-২) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেন। চট্টগ্রাম-১৫ আসন থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন নাজমুল মোস্তফা আমিন। চট্টগ্রাম-১২ আসন থেকে জমা দিয়েছেন দীর্ঘদিন গুম থাকা বিএনপি নেতা সৈয়দ সাদাত আহমেদ ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি সাইফুদ্দীন সালাম মিঠু। ডিইউজে সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী (চট্টগ্রাম-২), ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ওমর ফারুক মুন্না (কুমিল্লা-২), সাবেক ছাত্রনেতা মেহের কায়সার খান (মুন্সীগঞ্জ-২), প্রয়াত কমিশনার সাইদুর রহমান নিউটনের স্ত্রী ফেরদৌসি আহমেদ মিষ্টি, মোস্তফা জগলুল পাশা পাপেল, জিয়াউর রহমান জিয়া (ঢাকা-১৪), খাজা সলিমুল্লাহ টিপু (বরিশাল-৬), মহসীন হোসাইন বিদ্যুৎ (নরসিংদী-৫), ফয়জুল হক (ঝালকাঠি-১), লায়ন হারুন অর রশীদ ও ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল (চাঁদপুর-৪), বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা কর্নেল (অব.) ইসহাক, আলহাজ গোলাম মোস্তফা, এবিএম মোশাররফ হোসেন, শাজাহান খান (পটুয়াখালী-৩) প্রমুখ জমা দিয়েছেন। এছাড়া ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সভাপতি রফিকুল আলম মজনু (ফেনী-২), ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিব আহসান (বরিশাল-৪), তরুণ ব্যবসায়ী সাইফুর রহমান আসাদ ও মাযহারুল আলম খান পায়েল (মানিকগঞ্জ-২), ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলাম (কুমিল্লা-২), ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি আহসান উদ্দিন খান শিপন (ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ-সরাইল), ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির (বরিশাল-৪), সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন (ভোলা-৩) আসন থেকে নিজেদের মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।

নয়াপল্টনে যানজট নিরসনে বিএনপি কর্মীরা
মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমাদানকে ঘিরে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ভিড় সামলে স্বাভাবিক যান চলাচলে দায়িত্ব পালন করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। গতকাল সকাল থেকে দলের ১৫-১৬ জনের একটি দল রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে ট্রাফিকের ভূমিকা পালন করতে দেখা গেছে। গত বুধবার পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় একাধিক মামলা হলেও নেতাকর্মীদের উপচে পড়া ভিড় সামলাতে দলের কেন্দ্র থেকে এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালন করা নেতাকর্মীরা জানান। তাদের নির্দেশনায় কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় গাড়ি চলাচলের সুযোগ করে দিতে কাজ করছেন এসব নেতাকর্মী। শান্তিপূর্ণভাবে রাস্তায় যান চলাচলে সহযোগিতা করছেন কর্মীরা। তবে সেখানে পুলিশের উপস্থিতি ছিল না। এর আগে সকাল সোয়া ১১টার দিকে কার্যালয়ে আসেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তবে কিছুক্ষণ পর তিনি বের হয়ে যান।

বিএনপি অফিসের উপরে আকাশে ড্রোন
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয় সংলগ্ন এলাকায় রহস্যজনকভাবে দুই দফায় একটি ড্রোন উড়তে দেখা গেছে। প্রায় ১২ মিনিট সময় ধরে ড্রোনটি উড়ানো হয়। নাইটিঙ্গেল মোড়ের স্কাউট ভবনের ছাদ থেকে ড্রোনটি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল বিকাল ৩টা ৮ মিনিট থেকে শুরু করে ড্রোনটি ওড়ানো হয় ৩টা ২০ মিনিট পর্যন্ত। দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন আশেপাশের এলাকায় ড্রোন ওড়ানোয় বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা গেছে। কারা ড্রোনটি নিয়ন্ত্রণ করছে তা খালি চোখে দেখা যায়নি। পরবর্তীতে ক্যামেরা জুম করে ছাদে তিনজন পুলিশ সদস্যকে ড্রোনটি নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা গেছে।

ইসি সরকারের ব্লুপ্রিন্ট মতোই সব করছে: রিজভী
এদিকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গতকাল দুপুরে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনে একটি প্রতিনিধি দল গিয়েছিলেন নির্বাচন পেছানোর দাবি নিয়ে। ইসি তখন জানিয়েছিলেন বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। কিন্তু এর একদিন পরই আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন নির্বাচন এক মিনিটও পেছানো যাবে না। আসলে এই নির্বাচন কমিশন ওবায়দুল কাদেরীয় তত্ত্বের বাইরে যেতে পারবে না। কারণ এই কমিশন বর্তমান সরকারের ব্লুপ্রিন্টের মাধ্যমে সবকিছু করছে। তারা অনেক আগেই নিজেদের আত্মা বিক্রি করেছে। এর মাধ্যমে তারা বাংলাদেশকে ও নির্বাচন ব্যবস্থাকে অত্যন্ত নাজুক অবস্থায় ফেলেছে। তিনি বলেন, আজও উৎসবের আমেজে সারা দেশ থেকে আসা নেতাকর্মীরা মনোনয়ন ফরম তুলেছেন। সারা দেশ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা আসছেন। ফরম তুলছেন। আমাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন। তারা আবার এলাকায় চলে যাচ্ছেন। সবাই বিশাল বিশাল মিছিল নিয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে ফকিরাপুল মোড় পর্যন্ত শো-ডাউন করেছেন। কোথাও কোনো সমস্যা হয়নি। বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়নি। কিন্তু বুধবার সারা দেশ বিএনপির সেই উৎসব আমেজের মধ্যে হঠাৎই পুলিশ বাধা দিয়েছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত এই মনোনয়ন উৎসবে অংশগ্রহণ তাদের পছন্দ হয়নি।

পল্টনের ঘটনায় আব্বাস, রিজভীসহ আসামি ৪৮৮, গ্রেপ্তার ৬৯, রিমান্ডে ৩৮
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পুলিশ ও বিএনপি কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ৪৮৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ৭০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ৬৫ জনকে গতকাল আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। তাদের ৩৮ জনের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর এবং ২৭ জনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত। এদিকে গতকাল সন্ধ্যায় বিএনপি অফিসের সামনে থেকে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি।
বুধবার সংঘর্ষের পর থেকেই গ্রেপ্তার অভিযান শুরু করে পুলিশ। পল্টন ও আশেপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে রাতেই ২৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই ঘটনায় দায়েরকৃত তিন মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ আসামি করা হয়েছে ৪৮৮ জনকে। বুধবারের ওই সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ করতে ১৮ রাউন্ড গ্যাসশেল, ৭৮ রাউন্ড শটগানের কার্তুজ ও একটি হ্যান্ড গ্রেনেড ব্যবহার করেছে পুলিশ। পুলিশের অন্তত ১০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান জানান, পল্টন থানায় দায়ের করা তিন মামলার মধ্যে ২১ নম্বর মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি ১৯২, তার মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছে ২১ জন। ২২ নম্বর মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি ১৫৯, এরমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছে ২৩ জন। ২৩ নম্বর মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি ১৩৭, এরমধ্যে ২৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনটি মামলায় আসামি করা হয়েছে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, নবী উল্লাহ নবী, সাবেক এমপি মেজর (অব.) আকতারুজ্জামান, কফিল উদ্দিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশীদ হাবিব, বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক বেলাল আহমেদ, মিডিয়া উইংয়ের শামসুদ্দিন দিদার, নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, যুবদলের দক্ষিণের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মজনু, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নিপুণ রায়, ছাত্রদলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি জহির উদ্দিন তুহিন, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক আরিফা সুলতানা রুমা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, যুবদলের দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মওলা শাহীন, বিএনপির সহ-শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সেলিম ভূঁইয়া, ছাত্রদলের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মামুন খান, মাসুম বিল্লাহ, ঢাকা কলেজের শফিকুল ইসলাম প্রিন্স, শাহজাহানপুর থানা ছাত্রদলের সভাপতি আল আমিন, সাধারণ সম্পাদক সোহাগ ভূঁইয়া, বিএনপি কর্মী মহসিন, কলাবাগান থানা ছাত্রদলের নেতা আয়ান আহমেদ শান্ত, কিশোরগঞ্জের খালেদ সাইফুল্লাহ এইচ কে, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম রবিনসহ ৪৮৮ জনকে।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, মামলায় উল্লিখিত অভিযোগ সত্য না। বিএনপি নেতাকর্মীরা কোনো গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেনি। উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিএনপি নেতাকর্মীদের মামলা দিয়ে হয়রানি করার জন্য পরিকল্পিতভাবে গাড়িতে আগুন দিয়েছে ছাত্রলীগ। ওই সময়ে পুলিশের গুলিতে বিএনপির ৫০ নেতাকর্মী আহত হন বলে জানান তিনি।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version