এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুং বলেছেন, এমন পরিস্থিতি আসতে পারে যখন এশিয়ার দেশগুলোকে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যে কোনো একটি শক্তিকে বেছে নিতে হবে। তবে তেমন পরিস্থতিতে যেন না পড়তে হয়, সেই প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুর সিটিতে আসিয়ান সম্মেলনের সমাপনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন লি সিয়েন। শুক্রবার সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট এ খবর দিয়েছে।

সিঙ্গাপুরে মঙ্গলবার শুরু হয় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর আঞ্চলিক সংস্থা আসিয়ানের ৩৩তম সম্মেলন। সম্মেলনে আসিয়ান নেতাদের পাশাপাশি যোগ দেন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স।

টানা তিন দিনের কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সম্মেলনের পর্দা ওঠে বৃহস্পতিবার। শেষ দিনে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্বে উদ্বেগ প্রকাশ করেন লি সিয়েন।

সিঙ্গাপুর প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ দ্বন্দ্বের ফলে পরিস্থিতি এমন আকার ধারণ করতে পারে যে, প্রতিদ্বন্দ্বী দুই পক্ষের মধ্যে যে কোনো একটিকে বেছে নিতে বাধ্য হবে এশিয়া।

তিনি বলেন, আমার মনে হয়, এটা আমাদের সবার চাওয়া যে, তেমন পরিস্থিতিতে আমাদের পড়তে হবে না। তবে স্বাগতিক সিঙ্গাপুর ও আসিয়ান দেশগুলোকে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেন, এই অঞ্চলে কোনো সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা ও আগ্রাসন সহ্য করা হবে না।

এশিয়ায় বেইজিং ও ওয়াশিংটনের মধ্যকার প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে ঘিরে যে অস্থিরতা, লি সিয়েনের বক্তব্যে মূলত তারই প্রতিফলন ঘটেছে। আসিয়ান নেতাদের আশ্বস্ত করে পেন্স বলেন, আসিয়ান এ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের অপরিহার্য অংশীদার।

দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতির প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় আমরা কোনো দেশকেই নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে ফেলা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। এ এলাকায় কোনো শক্তিকেই আমরা সাম্রাজ্য গড়তে দেব না।’

আসিয়ান সম্মেলনে যোগ দেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার বদলে ছিলেন মাইক পেন্স। এতে গুরুত্ব বাড়ে পুতিনের। ব্লুমবার্গ এক প্রতিবেদনে জানায়, ট্রাম্পের পরিবর্তে এতে যোগ দিয়েছেন দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version