এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে এবার গুরুত্বর অভিযোগ এনেছেন মিয়ানমারের দু’জন সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তা। তার একজন হলেন পররাষ্ট্র বিষয়ক স্থায়ী সচিব ইউ মিন্ট থু। অন্যজন মংডু টাউনশিপ গভর্নমেন্টের প্রধান ও প্রত্যাবর্তন বিষয়ক জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের সদস্য ইউ সোয়ে অং। রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে তারা বলেছেন, বাংলাদেশে আশ্রয় শিবিরে গাদাগাদি করে অবস্থান করছে চার শতাধিক হিন্দু পরিবার। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার প্রত্যাবর্তনের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিচ্ছে মুসলিম শরণার্থীদের। তারা প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া থেকে বাদ রেখেছে হিন্দু পরিবারগুলোকে। এ খবর দিয়েছে মিয়ানমারের অনলাইন মিয়ানমার টাইমস।
ইউ মিন্ট থু বলেছেন, কক্সবাজার সফরকালে আমরা হিন্দু পরিবারগুলোর সঙ্গে সাক্ষাত করেছি।

তারা আমাদেরকে বলেছেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তারা ফিরতে চান। কিন্তু তাদেরকে সহায়তা করছে না বাংলাদেশ সরকার। অন্যদিকে মংডু টাউনশিপ গভর্নমেন্টের প্রধান ও প্রত্যাবর্তন বিষয়ক জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের সদস্য ইউ সোয়ে অং আরো কড়া অভিযোগ এনেছেন। তিনি বাংলাদেশকে অভিযুক্ত করেছেন। বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার হিন্দু পরিবারগুলোর কাছে প্রত্যাবর্তন বিষয়ক ফরমই দিচ্ছে না। মন্ত্রণালয় গত বছর ৫০০ হিন্দু পরিবারকে ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল। কিন্তু তা ঘটে নি এখনও।
স্থানীয় মংডু সরকার বলছে, গত বছর থেকে মংডু আশ্রয় শিবিরে অবস্থান করছেন এক হাজার দুই শতাধিক হিন্দু। অতিরিক্ত আরো দুই শত হিন্দুকে পুনর্বাসন করা হয়েছে একটি নতুন গ্রামে। হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা ইউ নি মাউল সোমবার বলেছেন, কক্সবাজারে অবস্থানরত হিন্দু পরিবারগুলোর সঙ্গে তিনি যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। তার ভাষায়, বাংলাদেশে অবস্থানকারী হিন্দু পরিবারগুলো বাংলাদেশ সরকারকে দায়ী করছে। তাদের অভিযোগ, তাদেরকে প্রত্যাবর্তন বিষয়ক ফরম দেয়া হচ্ছে না। তিনি আরো বলেন, এসব হিন্দু পরিবার বলেছে, তাদেরকে হুমকি দিয়েছে আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি (আরসা)। বলেছে, তারা যেন রাখাইনে ফিরে না যান। তাই ইউ নি মাউল বলেন, সরকারের উচিত এসব মানুষকে অবিলম্বে ফেরত আনা।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version