এশিয়ান বাংলা, ঢাকা : সম্পদের হিসাব জমা না দেয়ায় সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ডিসি মশিউর রহমান মঙ্গলবার যুগান্তরকে জানান, সন্ধ্যার পর ইস্কাটনের বাসা থেকে রফিকুল ইসলাম মিয়াকে গ্রেফতার করে ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল।
এর আগে দুপুরে দুদকের মামলায় তাকে তিন বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. শেখ গোলাম মাহাবুব এ রায় ঘোষণা করেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। এ ছাড়াও রফিকুল ইসলাম মিয়া পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। রফিকুল ইসলাম মিয়া ঢাকা-১৬ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। এ ছাড়া বিএনপির মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যও তিনি।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০০১ সালের ৭ এপ্রিল ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়াকে তার যাবতীয় সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল করার জন্য ৪৫ দিনের সময় দিয়ে একটি নোটিশ দেয় দুদক। ২০০১ সালের ১০ জুন তিনি দুদকের নোটিশটি গ্রহণ করেন। নোটিশ গ্রহণ করার পরও তিনি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অর্থাৎ ২০০১ সালের ২৫ জুলাই পর্যন্ত কোনো সম্পদের হিসাব দাখিল করেনি। হিসাব বিবরণী দাখিল না করায় ২০০৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দুদকের অফিসার লিয়াকত হোসেন বাদী হয়ে রাজধানীর উত্তরা থানায় মামলাটি করেন। দুদক তদন্ত শেষ করে রফিকুল ইসলাম মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। ২০১৭ সালের ১৪ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। বিভিন্ন সময় ছয়জন এ মামলায় সাক্ষ্য দেন।