এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : অনুসারীদের ধর্ষণের অভিযোগে ১৫ বছরের জেল হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার ধর্মযাজক লি জায়ে-রকের (৭৫)। দেশটিতে বৃহৎ মামিন সেন্ট্রাল চার্চের যাজক তিনি। তার বিরুদ্ধে কমপক্ষে আটজন নারী অনুসারীকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। তার রয়েছে প্রায় এক লাখ ৩০ হাজার অনুসারী। অভিযোগ আছে, এসব অনুসারী তাকে ঈশ্বর বলে মনে করেন। তাই তিনি ঐশ্বরিক ক্ষমতা রাখেন। তিনি চাইলে অনুসারীদের মনোবাসনা পূরণ করতে পারেন। আর তা ব্যবহার করে তিনি নারীদের করেছেন শয্যাসঙ্গী।

মাত্র ১২ জন অনুসারীকে নিয়ে ১৯৮২ সালে মামিন সেন্ট্রাল চার্চ প্রতিষ্ঠা করেন লি। বর্তমানে তা একটি মেগা-চার্চে রূপ নিয়েছে। রয়েছে বিশাল সদর দপ্তর, একটি অডিটরিয়াম এবং অলৌকিকত্বের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আছে একটি ওয়েবসাইট।
এ বছরের শুরুর দিকে তিনজন অনুসারী ওই যাজকের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন। তারা বলেন, তাদেরকে লি তার এপার্টমেন্টে ডেকে নিয়েছিলেন এবং তাদেরকে বাধ্য করেন তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে। তাদের একজন দক্ষিণ কোরিয়ার মিডিয়াকে বলেছেন, এ সময় তার কাছ থেকে আমি ছুটে আসতে বা নিজেকে নিরাপদ করতে সক্ষম ছিলাম না। তিনি ছিলেন একজন রাজার চেয়েও বেশি কিছু। তিনি ছিলেন ঈশ্বর। অভিযোগকারী এই নারী বলেছেন, তিনি বাল্যকাল থেকেই ওই চার্চের একজন সদস্য ছিলেন। অভিযোগকারী এই নারী মিলে মোট আটজন নারী ওই যাজকের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আনেন। ফলে মে মাসে আটক করা হয় লি’কে। এরপর আদালতে চলতে থাকে বিচার। তাতে দেখা যায়, দীর্ঘ সময়ে এসব নারীকে শত শত বার যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণ করেছেন লি। তার বিরুদ্ধে জেলের রায় দিয়েছেন সিউল সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের বিচারক চুং মুন-সাং।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version