এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : জলবায়ু পরিবর্তনে অকাল মৃত্যুর কবলে পড়বে হাজার হাজার মার্কিন নাগরিক। ক্ষতি হবে শত শত বিলিয়ন ডলারের সম্পদ। জলবায়ুর অনিয়ন্ত্রিত পরিবর্তনে বড় ধরনের হুমকির মুখে রয়েছে মার্কিন অর্থনীতি ও জনজীবন।
চলতি শতকের শেষদিকে কয়েকশ’ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি থেকে শুরু করে জিডিপির ১০ শতাংশ পর্যন্ত হারাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির জলবায়ুবিষয়ক সরকারি এক প্রতিবেদনে এ ব্যাপারে হুশিয়ারি দেয়া হয়েছে। চতুর্থ জাতীয় জলবায়ু বিশ্লেষণ বিষয়ক প্রতিবেদনটি শুক্রবার প্রকাশিত হয়।
প্রায় ১ হাজার পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি তৈরিতে কাজ করেছেন প্রায় ৩০০ বিজ্ঞানী ও পরিবেশবিদ। খবর রয়টার্স ও এএফপির।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব চোখের সামনেই দেখতে পাচ্ছে মানুষ। প্রতিনিয়তই ঘটছে খরা, ঝড়, জলোচ্ছ্বাস-বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ। অগণিত মানুষের মৃত্যুর পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অর্থনীতি।
বর্তমান সময়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুর পরিবর্তন, মানবস্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা, জীবনযাত্রার মান এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের হারের ওপর বড় ধরনের ঝুঁকি নিয়ে আসছে। জলবায়ুর পরিবর্তন ভবিষ্যতের জন্য আশীর্বাদপুষ্ট হবে নাকি হুমকি তা আজকের নেয়া সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে বলে প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঐতিহাসিকভাবে কার্বন নির্গমনের পরিমাণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু অর্থনৈতিক খাতে যে লোকসান হয়েছে তা এমন সমীকরণের ইঙ্গিত দেয় যেখানে চলতি শতক শেষে কয়েকশ’ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতির মুখে পড়বে (যুক্তরাষ্ট্র) যার পরিমাণ বেশির ভাগ অঙ্গরাজ্যের জাতীয় উৎপাদন জিডিপির থেকেও বেশি।
তবে এই প্রতিবেদনকে ‘ভুল’ বলে অভিহিত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। ট্রাম্প প্রশাসনের মুখপাত্র লিন্ডসে ওয়ালটার্স বলেন, ‘এই প্রতিবেদন চরম পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটের অনুমানে তৈরি করা হয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটে অনুমান করা হচ্ছে যে, জনসংখ্যা অনেক বেড়ে যাবে, কিন্তু নতুন প্রযুক্তিও উদ্ভাবন হবে না।’
তবে পরিবেশবাদীরা বলছে, এই প্রতিবেদন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জীবাশ্ম জ্বালানি পরিকল্পনাবিরোধী হওয়ায় সেটির সমালোচনা করছেন তিনি।