এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’র ব্রেক্সিট চুক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও বৃটেনের মধ্যকার বাণিজ্যকে হুমকির মুখে ফেলবে। এমন মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তবে ব্রেক্সিট চুক্তির কোন অংশ নিয়ে তিনি এতটা উদ্বিগ্ন সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি। সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেছেন, বৃটেনের ব্রেক্সিট চুক্তিতে বড় সুফল পাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ওদিকে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’র বাসভবন ১০ ডাউনিং স্ট্রিট থেকে জানানো হয়েছে, চুক্তিটি একেবারে স্বচ্ছ, পরিষ্কার। এর ফলে তাদের স্বাধীনভাবে বাণিজ্য করার নীতি থাকবে। এর অধীনে তারা বিশ্বের যেকোনো দেশের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি করতে পারবে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।

ওদিকে তেরেসা মে’র ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে সোমবার এমপিরা কড়া সমালোচনা করেন। জবাবে তেরেসা মে বলেন, ব্রেক্সিট চুক্তিতে বৃটিশ জনগণের স্বার্থ রক্ষা হয়েছে। এর ফলে তারা আইন, অর্থ ও সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাচ্ছে। তেরেসা মে বলেন, ব্রেক্সিট চুক্তিটি আগামী ১১ই ডিসেম্বরে পার্লামেন্টে ভোটে দেয়া হবে। এর কয়েক ঘণ্টা পরেই হোয়াইট হাউসের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৃটেন বাণিজ্য করতে পারবে কিনা তা আমাদের গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে হবে। কারণ, বর্তমানে ব্রেক্সিট চুক্তির অধীনে তারা আমাদের সঙ্গে বাণিজ্য করতে পারে না। এর মধ্য দিয়ে বৃটেনকে কি বার্তা দিলেন ট্রাম্প তা নিয়েও আলোচনা চলছে। দৃশ্যত তিনি বলতে চাইছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে দরকষাকষি করতে পারবে না বৃটেন। ওদিকে তার মন্তব্যের জবাবে ডাউনিং স্ট্রিটের মুখপাত্র বলেছেন, ব্রেক্সিট চুক্তি সম্পন্ন হলে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের যেকোনো দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি করতে পারবে বৃটেন। বিবিসির উত্তর আমেরিকা বিষয়ক সম্পাদক জন সোপেল বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ওই মন্তব্য উস্কানিমূলক। তার মতে, আগে যেমন চলতো বাণিজ্য তেমনই চলতে পারে। ট্রাম্পের বোঝা উচিত এর মধ্য দিয়ে তিনি কি বোঝাতে চাইছেন।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version