এশিয়ান বাংলা, ঢাকা : আমান উল্লাহ আমানসহ বিএনপির পাঁচ নেতার দুর্নীতির পৃথক মামলায় নিম্ন আদালতের দেয়া সাজা ও দণ্ড (কনভিকশন অ্যান্ড সেন্টেন্স) স্থগিত চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে দু’বছরের বেশি সাজা হলে আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় কোনো ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশের পাশাপাশি কিছু অভিমত দেন।

বিএনপির পাঁচ নেতার এ আবেদন খারিজের রায়ের পর্যবেক্ষণে তাদের নির্বাচনে অংশ নেয়ার পথ বন্ধ হয়ে গেল বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। অন্যদিকে বিএনপি নেতাদের আইনজীবীরা বলেছেন, তারা হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে যাবেন। এ ছাড়া মঙ্গলবার এ আদেশের বিরুদ্ধে এক বিএনপি নেতা চেম্বার আদালতে আবেদন করলে সেটি শুনানির জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন চেম্বার বিচারপতি। বুধবার আবেদনটি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য রয়েছে।

আদেশের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এ মুহূর্তে খালাস পেলেও আগামী ৫ বছর তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না। কারণ কোনো আদালতে ২ বছর বা ততোধিক মেয়াদে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি খালাস পেলেও সংবিধানের ৬৬(২)(ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মুক্তি লাভের পর পরবর্তী ৫ বছর নির্বাচন করতে পারবেন না। এই বিধান যে কোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।

বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, ওয়াদুদ ভূঁইয়া, মো. মশিউর রহমান ও মো. আবদুল ওহাবের পক্ষে দণ্ড ও সাজা বাতিলের ওই আবেদন করা হয়েছিল। গত সোমবার শুনানি শেষে আদেশের জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন আদালত। সাবেক প্রতিমন্ত্রী আমান উল্লাহ আমানের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জাহিদুল ইসলাম। ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, আহসানুল করীম ও খায়রুল আলম চৌধুরী। ওয়াদুদ ভূঁইয়া ও আবদুল ওহাবের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রফিক-উল-হক ও ব্যারিস্টার একেএম ফখরুল ইসলাম। মশিউর রহমানের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আমিনুল হক ও ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে মো. খুরশীদ আলম খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।

আদালত আদেশে বলেন, বিএনপির পাঁচ নেতার দুর্নীতির পৃথক মামলায় নিম্ন আদালতের দেয়া দণ্ড ও সাজা স্থগিত চেয়ে করা পৃথক আবেদন খারিজ করা হল। আর পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, ‘সংবিধানের ৬৬ (২)(ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কারও দু’বছরের বেশি সাজা বা দণ্ড হলে, সেই দণ্ড বা সাজার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, যতক্ষণ না আপিল আদালতে ওই সাজা বাতিল না হয়। এই সাজা বাতিল না হওয়া পর্যন্ত সাজা কার্যকর থাকে। আদালত বলেন, একজন দুর্নীতিপরায়ণ ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন না। এটাই আমাদের সংবিধানের মূল চেতনা। আদেশে বলা হয়, সাজা স্থগিতের কোনো আইন আমাদের দেশে নেই। কাজেই আবেদনকারীদের আবেদন গ্রহণের সুযোগ নেই।

পর্যবেক্ষণে আরও বলা হয়, আপিল সংশ্লিষ্ট মামলার বিচারকাজ অব্যাহত রাখার অংশ হতে পারে, তবে বিচারাধীন আপিলে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ সংবিধানে নেই। কোনো আদালতে কোনো ব্যক্তির সাজা হলে তিনি দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হন। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সাজা বাতিল না হওয়া পর্যন্ত দোষীই থাকবেন।

আদেশের পর দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, বিএনপির পাঁচ নেতার আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় পাঁচটি আবেদন করা হয়েছিল, যার মূল বিষয় ছিল দণ্ড স্থগিত করা। শুনানি করে আদালত তা খারিজ করে দিয়েছেন। মূলত একটাই কারণ, সেটা হল সংবিধানের ৬৬(২)-এর (ঘ) ধারায় যে বিধান দেয়া আছে, আদালত বলেছেন সেটা সুপ্রিম ল অব দ্য কান্ট্রি। কাজেই ফৌজদারি কার্যবিধিতে কনভিকশন স্টে করার কোনো বিধান নেই। সাসপেন্ডের বিধান থাক আর না থাক, সংবিধান দেশের সর্বোচ্চ আইন হিসেবে প্রাধান্য পাবে।

‘সুতরাং অনুচ্ছেদ ৬৬(২)-এর (ঘ) অনুযায়ী উনারা নির্বাচন করার যোগ্য নন এবং দণ্ড স্থগিত চাওয়ার কোনো এখতিয়ার রাখেন না। এ কারণে উনাদের দরখাস্ত খারিজ করে দিয়েছেন।’ আইনজীবী বলেন, আদালত আরও কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন, যা মূল রায় পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।

তিনি বলেন, ‘দুর্নীতির অভিযোগ মাথায় নিয়ে সংসদ নির্বাচনে অ্যাটেন্ড (অংশগ্রহণ) করা এবং ক্ষমতায় যাওয়া- আদালত এগুলো ডিসকারেজ (নিরুৎসাহিত) করেছেন। বলেছেন, দুর্নীতি এমন একটা ব্যাপার, এ বিষয়ে আমাদের সবার সজাগ থাকা উচিত। কাজেই কনভিকশন মাথায় নিয়ে সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া সংবিধানের মূল স্পিরিটের পরিপন্থী। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪২৬ ধারায় যাই থাকুক না কেন, সংবিধান সবার উপরে প্রযোজ্য।’

খুরশীদ আলম বলেন, ‘এখন পর্যন্ত হাইকোর্ট বিভাগ যে ব্যাখ্যা দিয়েছে, সংবিধানের ১১১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এটা নির্বাচন কমিশনের জন্য বাইন্ডিং। আজ যে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে তার বাইরে যাওয়ার এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের আইনে নেই।’ এ রায়ের পর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ থাকছে কি না- জানতে চাইলে দুদকের আইনজীবী বলেন, ‘একদম থাকছে না। এ কথা তো আমি আগেই বলেছি। উনি সম্পূর্ণ খালাস পেলে অথবা দণ্ড বাতিল হয়ে গেছে, তখন উনি পারবেন। আজকের আদেশে এটা আরও স্পষ্ট হল।’ তিনি বলেন, হাইকোর্টের এই আদেশ সবার ওপরই প্রযোজ্য হবে এবং নির্বাচন কমিশনও এর বাইরে কোনো আদেশ দিতে পারবে না।

আসামিপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার খায়রুল আলম চৌধুরী বলেন, হাইকোর্টে সাজা ও দণ্ড স্থগিতের আবেদন করার উদ্দেশ্য ছিল, যাতে তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন। আদালত বলেছেন, সংবিধানের ৬৬(২)(ঘ) অনুচ্ছেদে বলা আছে, সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি নির্বাচন করতে পারবে না। কিন্তু এর আগেও আমরা ভারতসহ বিভিন্ন দেশের নজির দেখিয়েছি। যেখানে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল দায়ের করা হবে। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, সম্পদের তথ্য গোপনের মামলায় আমান উল্লাহ আমানকে ২০০৭ সালে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন বিশেষ জজ আদালত। হাইকোর্টে একবার ওই রায় বাতিল হলেও ২০১৪ সালে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বাতিল করে পুনর্বিচারের আদেশ দেন। জরুরি অবস্থার মধ্যে একই ধরনের অভিযোগে খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি ওয়াদুদ ভূঁইয়াকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালত। ওই রায়ের পর ২০০৯ সালে হাইকোর্টে আপিল করে জামিন পান তিনি।

বিএনপি সমর্থিত চিকিৎসকদের নেতা এজেডএম জাহিদ হোসেনের ১৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার রায় হয়েছিল ২০০৮ সালের ২৫ মে। ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের ওই রায়ের পর ২০০৯ সলের ৩ জুন তিনি হাইকোর্টে আপিল করে জামিন পান। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ঝিনাইদহ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. আবদুল ওহাবের সাজার রায় আসে ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে যশোরের বিশেষ জজ আদালত তাকে ৮ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ত্রিশ হাজার টাকা জরিমানা করেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে গত বছর ৬ ডিসেম্বর তিনি জামিন পান। একই ধরনের অভিযোগে ২০১৭ সালের অক্টোবরে ঝিনাইদহ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মশিউর রহমানকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন যশোরের বিশেষ জজ আদালত। মশিউরও পরে আপিল করে হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল যা বললেন : বিএনপির চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এ মুহূর্তে খালাস পেলেও আগামী ৫ বছর তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। বর্তমান ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াও কি নির্বাচন করতে পারবেন না, এমন প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা বলেন, তা হলে তাই। তবে তার বিষয়টি যদি কেউ আদালতের সামনে নিয়ে আসেন তখন দেখা যাবে।

মঙ্গলবার নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অ্যাটর্নি জেনারেল এ মন্তব্য করেন। মাহবুবে আলম বলেন, সোমবার অ্যাডভোকেট ফখরুল ইসলাম এবং ওয়াদুদ ভূঁইয়া, মশিউর রহমান, এমডি আবদুল ওয়াহ্হাব, ডা. জাহিদ হোসেন একটি আবেদন করেছিলেন এই বলে যে, তারা দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে জামিনে আছেন কিন্তু তাদের দণ্ড স্থগিত না করা হলে তারা সামনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারছেন না। এই বলে তারা দণ্ড স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছিলেন। আদালতে আমি (শুনানিতে) বলেছিলাম, ফৌজদারি আদালত বিশেষ করে ফৌজদারি আপিল আদালত অবশ্যই তাদের সাজা (সেনটেন্স) স্থগিত করতে পারেন। কিন্তু কনভিকশন বা তাকে যে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে সেটির স্থগিত নেই। বিশেষ করে সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদের ২(ঘ) উল্লেখ করে বলেছিলাম, সেই সমস্ত ব্যক্তিরা জাতীয় সংসদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না বা সংসদ সদস্য হতে পারবে না, যদি তিনি নৈতিক স্খলনজনিত কারণে অন্যূন ২ বছরের জন্য সাজাপ্রাপ্ত হন এবং মুক্তি লাভের পর ৫ বছর সময় অতিবাহিত না হয়।

তিনি বলেন, যারা দরখাস্ত করেছিলেন তারা সবাই দণ্ডপ্রাপ্ত। এরা তাদের দণ্ড থেকে মুক্তি লাভ করেনি। এবং তাদের ৫ বছর সময় অতিবাহিত হয়নি। এ অবস্থায় যদি তাদের দণ্ড স্থগিত করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে দেয়া হয় তা হবে আমাদের সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী। কাজেই আদালত আমাদের আবেদন গ্রহণ করে তাদের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। ফলে দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের আর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার কোনো অবকাশ থাকবে না বলে আমি মনে করি।

খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রেও একই বিধান প্রযোজ্য হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবশ্যই। এটি সাংবিধানিক বিধিবিধান। যে কেউ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কিংবা সংসদ সদস্য হিসেবে সংসদে থাকতে পারবে না যদি কিনা ওই ব্যক্তি অন্যূন ২ বছরের জন্য সাজাপ্রাপ্ত হন এবং মুক্তি লাভের পর ৫ বছর সময় অতিবাহিত না হয়। এখানে শর্ত হল ২টি। তা হল- তিনি যদি দণ্ডিত হন তাহলে পারবেন না। আর ইতিমধ্যে তিনি যদি তার দণ্ড বা সাজা থেকে মুক্তি লাভ করেন তাহলে তার সাজা বাতিলের তারিখ থেকে ৫ বছর তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। কাজেই খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে দুটি প্রতিবন্ধকতাই রয়েছে। কোনো আদালত তার রায় দিয়ে এই সাংবাধানিক প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করতে পারেন না।

আরেক প্রশ্নের জবাবে মাহবুবে আলম বলেন, আমাদের আপিল বিভাগ কিংবা হাইকোর্ট বিভাগ সংবিধান দ্বারা তৈরি, তাদেরকে সংবিধান দিয়ে চলতে হবে। কাজেই কোনো আদালত এটাকে অগ্রাহ্য করতে পারেন না। এ বিষয়ের বিরুদ্ধে কেউ আপিল করলেও আমাদের একই বক্তব্য থাকবে। তারা সংবিধান অগ্রাহ্য করতে পারে না বলে আদালতকে জানানো হবে বলেও মন্তব্য করেন মাহবুবে আলম। আপিল বিভাগ এই দণ্ড স্থগিত করতে পারেন কিনা জানতে চাইলে মাহবুবে আলম বলেন, আপিল বিভাগ কি করবে সেটা আমি বলতে পারি না। আমার সাবমিশন হল সংবিধানের ওপর।

হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ, ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া নিম্ন আদালতের দণ্ড স্থগিত করে নির্বাচন করে সংসদে গিয়েছেন এবং মন্ত্রী হয়েছেন সে ক্ষেত্রে অন্যদের ক্ষেত্রে এই নজির প্রযোজ্য না হওয়ার কারণ বিষয়ে তিনি বলেন, এরশাদের ব্যাপারে সুপ্রিমকোর্টের রায় আছে। তার সংসদ সদস্য পদ খারিজ হয়ে গিয়েছিল। আর ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়ার মামলায় একই ধরনের সাবমিশন রাখা হয়েছিল কিনা তা আমি বলতে পারব না। এর আগে কেন এভাবে বলা (শুনানি) হয়নি তা আমি জানি না।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version