এশিয়ান বাংলা, ঢাকা : দুই দিনে ২৮০টি আসনে আট শতাধিক প্রার্থীকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি। জোটের জন্য রেখে দেয়া কয়েকটি আসনেও প্রার্থী দিয়েছে বিএনপি। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিনে সমঝোতার ভিত্তিতে তা তুলে নেয়া হবে। সমঝোতার ভিত্তিতে জোট ও ঐক্যফ্রন্টের তালিকা চূড়ান্ত করা হবে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সোমবার দলীয় প্রার্থীদের মধ্যে মনোনয়নের চিঠি বিতরণ শুরু করে বিএনপি। গুলশান কার্যালয়ে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বগুড়ায় দুটি আসনের চিঠি হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে এ প্রক্রিয়া শুরু হয়। প্রথমদিনে চার বিভাগে ১০৫টি আসনে দুই শতাধিক প্রার্থীকে চিঠি দেয়া হয়। শেষদিন মঙ্গলবার সকাল থেকে চিঠি দেয়ার কথা থাকলেও আনুষ্ঠানিকভাবে তা ঘোষণা করা হয়নি। প্রতিটি জেলার সব কটি আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের কার্যালয়ে ডেকে তাদের হাতে চিঠি দেয়া হয়। তাই কোন আসনে কে মনোনয়ন পেয়েছেন, তা জানতে গণমাধ্যম কর্মীদের বেশ বেগ পেতে হয়। এ নিয়ে নেতাকর্মীরাও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। প্রার্থী ঘোষণায় লুকোচুরি কেন, তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। এ নিয়ে গুলশান কার্যালয়ে অনেকটা বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।

এদিকে শেষদিনেও সেই পুরনোদেরই প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। ২০০১ ও ২০০৮ সালে যাদের মনোনয়ন দেয়া হয়েছিল তাদের বেশিরভাগই এবার মনোনয়ন পেয়েছেন। তাদের সঙ্গে তরুণ অনেককেই চিঠি দেয়া হয়েছে। বিগত ওয়ান-ইলেভেনের সময় কথিত সংস্কারপন্থীরা দীর্ঘদিন দলের বাইরে থাকলেও সুসময়ে ঠিকই মনোনয়ন বাগিয়ে নিয়েছেন। সংস্কারপন্থী ১৩ নেতা মনোনয়ন পেয়েছেন। আছেন স্ত্রী ও সন্তানরাও।

বিকালে সাংবাদিকদের বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জোট ও ফ্রন্টের জন্য ৬০টি আসন বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, দল থেকে এখন পর্যন্ত আট শতাধিক ব্যক্তিকে মনোনয়ন দিয়েছি। ২০ দলীয় জোটের শরিকদেরও মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। আর জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট তাদের নিজ নিজ দল থেকে মনোনয়ন দিচ্ছে। এটা পরে আমরা ঠিক করে নেব। ২০ দলীয় জোটের শরিকদের কত আসন ছাড়ছেন, প্রশ্ন করা হলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, সঠিক সংখ্যা এ মুহূর্তে বলতে পারব না। তবে সম্ভবত ৫০। জাতীয় যুক্তফ্রন্টের শরিকদের কেমন আসন ছাড়া হবে জানতে চাইলে ফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল বলেন, এখন তারা তাদের দল থেকে মনোনয়ন দিচ্ছেন। পরে এটা আলোচনা করে ঠিক করা হবে। তাহলে কি ছেড়ে দেয়া আসন সংখ্যা ৬০-এর বেশি হবে না- এ রকম প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মনে হয়। জামায়াতে ইসলামীকে প্রায় ২৫টির মতো আসন দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে বিএনপি থেকে এ বিষয়ে কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি জামায়াতকে ৩৫টি আসন ছেড়ে দিয়েছিল।

দ্বিতীয় দিনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন যারা

ঢাকা বিভাগ : ঢাকা-২ আমান উল্লাহ আমান ও তার ছেলে ইরফান ইবনে আমান, ঢাকা-৩ গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও তার পুত্রবধূ নিপুণ রায় চৌধুরী, ঢাকা-৪ সালাহউদ্দিন আহমেদ ও তার পুত্র তানভীর আহমেদ রবীন, ঢাকা-৫ নবী উল্লাহ নবী ও অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, ঢাকা-৬ ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন ও কাজী আবুল বাশার, ঢাকা-৮ মির্জা আব্বাস, সাজ্জাদ জহির, ঢাকা-৯ আফরোজা আব্বাস, মির্জা আব্বাস ও হাবিবুর রশীদ হাবিব, ঢাকা-১০ আবদুল মান্নান, ব্যারিস্টার নাসিরউদ্দিন অসীম ও শেখ রবিউল আলম রবি, ঢাকা-১১ শামীম আরা বেগম ও এজিএম শামসুল হক, ঢাকা-১২ সাইফুল আলম নিরব ও আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, ঢাকা-১৩ আবদুস সালাম ও আতাউর রহমান ঢালী, ঢাকা-১৪ এসএ সিদ্দিক সাজু ও সাবেক ফুটবলার আমিনুল হক, ঢাকা-১৫ মামুন হাসান, ঢাকা-১৬ অধ্যাপক সাহিদা রফিক, আহসান উল্লাহ হাসান ও মোয়াজ্জেম হোসেন, ঢাকা-১৭ জামান কামাল, মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আলম চৌধুরী ও ফরহাদ হালিম ডোনার, ঢাকা-১৮ এসএম জাহাঙ্গীর ও বাহাউদ্দিন সাদী, ঢাকা-১৯ দেওয়ান সালাহউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা-২০ ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান।

নারায়ণগঞ্জ-১ অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার, কাজী মনিরুজ্জামান মনির ও মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু, নারায়ণগঞ্জ-২ মাহমুদুর রহমান সুমন, আতাউর রহমান খান আঙ্গুর ও নজরুল ইসলাম আজাদ, নারায়ণগঞ্জ-৩ আজহারুল ইসলাম মান্নান ও খন্দকার আবু জাফর, নারায়ণগঞ্জ-৪ মোহাম্মদ শাহ আলম ও অধ্যাপক মামুন মাহমুদ এবং নারায়ণগঞ্জ-৫ অ্যাডভোকেট আবুল কালাম ও মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। তবে এই আসন থেকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে এসএম আকরামের নাম রয়েছে। নরসিংদী-১ খায়রুল কবীর খোকন, নরসিংদী-২ ড. আবদুল মঈন খান, নরসিংদী-৩ সানাউল্লাহ মিয়া, মঞ্জুর এলাহী ও আকরামুল হাসান, নরসিংদী-৪ সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল ও আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, মুন্সীগঞ্জ-১ শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, মুন্সীগঞ্জ-২ মিজানুর রহমান সিনহা, মুন্সীগঞ্জ-৩ আবদুল হাই। গাজীপুর-১ চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী, গাজীপুর-২ সালাহউদ্দিন সরকার ও মঞ্জুরুল করিম রনি, গাজীপুর-৩ আসনটি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জন্য ফাঁকা রাখা হয়েছে, গাজীপুর-৪ রিয়াজুল হান্নান শাহ, গাজীপুর-৫ ফজলুল হক মিলন ও মনির হোসেন। ফরিদপুর-১ খন্দকার নাছিরুল ইসলাম ও শাহ মো. আবু জাফর, ফরিদপুর-২ শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু ও শহিদুল ইসলাম বাবুল, ফরিদপুর-৩ চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ ও নায়েবা ইউসুফ, ফরিদপুর-৪ ইকবাল হোসেন খন্দকার সেলিম ও শাহরিয়ার ইসলাম শায়লা। রাজবাড়ী-১ আলী নেওয়াজ মুহাম্মদ খৈয়ম, রাজবাড়ী-২ নাসিরুল হক। গোপালগঞ্জ-১ সেলিমুজ্জামান সেলিম, গোপালগঞ্জ-২ সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, গোপালগঞ্জ-৩ এসএম জিলানি। মাদারীপুর-১ সাজ্জাদ হোসেন লাভলু সিদ্দিকী, মাদারীপুর-২ মিল্টন বৈদ্য, মাদারীপুর-৩ আনিসুর রহমান খোকন তালুকদার। শরীয়তপুর-১ সরদার নাছির উদ্দিন কালু, শরীয়তপুর-২ শফিকুর রহমান কিরন, শরীয়তপুর-৩ মিয়া নুরুদ্দিন অপু। কিশোরগঞ্জ-১ রেজাউল করিম খান চুন্নু, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. শরীফুল ইসলাম শরীফ এবং জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল, কিশোরগঞ্জ-২ সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জন, কিশোরগঞ্জ-৩ অ্যাডভোকেট জালাল মোহাম্মদ গাউস, ভিপি সাইফুল ইসলাম সুমন, কিশোরগঞ্জ-৪ বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট মো. ফজলুর রহমান, সুরঞ্জন ঘোষ, কিশোরগঞ্জ-৫ শেখ মুজিবুর রহমান ইকবাল ও তার ছেলে মাহমুদুর রহমান উজ্জ্বল, কিশোরগঞ্জ-৬ বিএনপি সভাপতি মো. শরীফুল আলম। টাঙ্গাইল-১ ফকির মাহবুব আনাম স্বপন ও সরকার শহীদ, টাঙ্গাইল-২ সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও শামছুল আলম তোফা, টাঙ্গাইল-৩ মাঈনুল ইসলাম ও লুৎফর রহমান খান আজাদ, টাঙ্গাইল-৪ লুৎফর রহমান মতিন ও ইঞ্জিনিয়ার আবদুল হালিম, টাঙ্গাইল-৫ মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান ও ছাইদুল হক ছাদু, টাঙ্গাইল-৬ অ্যাডভোকেট গৌতম চক্রবর্তী ও ন–র মোহাম্মদ খান ও টাঙ্গাইল-৭ আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী ও সাইদুল ইসলাম খান, টাঙ্গাইল-৮ আসন এখনও ঘোষণা করা হয়নি। এ আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী দেয়া হবে বলে জানা গেছে।

ময়মনসিংহ বিভাগ : ময়মনসিংহ-১ অ্যাডভোকেট আফজাল এইচ খান, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, আলী আসগর ও সালমান ওমর রুবেল, ময়মনসিংহ-২ শাহ শহীদ সারোয়ার ও অ্যাডভোকেট আবুল বাশার আকন্দ, ময়মনসিংহ-৩ ইঞ্জিনিয়ার এম ইকবাল হোসাইন, আহাম্মদ তায়েবুর রহমান হিরণ ও ডা. মো. আবদুস সেলিম, ময়মনসিংহ-৪ মো. আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদ ও ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, ময়মনসিংহ-৫ মোহাম্মদ জাকির হোসেন বাবলু, ময়মনসিংহ-৬ ইঞ্জিনিয়ার শামসুদ্দিন আহমদ ও মো. আকতারুল আলম ফারুক, ময়মনসিংহ-৭ ডা. মাহবুবুর রহমান লিটন, জয়নাল আবেদীন ও আমিন সরকার, ময়মনসিংহ-৮ শাহ নুরুল কবির শাহীন ও লুৎফুল্লাহেল মাজেদ বাবু, ময়মনসিংহ-৯ খুররম খান চৌধুরী ও ইয়াসের খান চৌধুরী, ময়মনসিংহ-১০ এবি সিদ্দিকুর রহমান ও আকতারুজ্জামন বাচ্চু, ময়মনসিংহ-১১ ফকরুদ্দিন আহমদ বাচ্চু ও মোর্শেদ আলম, নেত্রকোনা-১ ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও গোলাম রব্বানী, নেত্রকোনা-২ আশরাফ উদ্দিন খান ও এটিএম আবদুল বারী ড্যানী, নেত্রকোনা-৩ রফিকুল ইসলাম হিলালী ও মো. দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া দুলাল, নেত্রকোনা-৪ তাহমিনা জামান শ্রাবণী ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল ফারুক, নেত্রকোনা-৫ আবু তাহের তালুকদার ও রাবেয়া আলী, জামালপুর-১ এম রশিদুজ্জামান (মিল্লাত) ও আবদুল কাইয়ুম, জামালপুর-২ সুলতান মাহমুদ বাবু, এএসএম আবদুল হালিম, জামালপুর-৩ মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল ও ব্যারিস্টার বাদল, জামালপুর-৪ ফরিদুল কবির তালুকদার শামীম, জামালপুর-৫ শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন ও সিরাজুল হক, শেরপুর-১ মো. হজরত আলী, শেরপুর-২ একেএম মোখলেছুর রহমান রিপন ও ব্যারিস্টার হায়দার আলী, শেরপুর-৩ মাহমুদুল হক রুবল।

খুলনা বিভাগ : খুলনা-১ আমীর এজাজ খান, খুলনা-২ নজরুল ইসলাম মঞ্জু, খুলনা-৩ রকিবুল ইসলাম বকুল, খুলনা-৪ আজিজুল বারী হেলাল ও শরীফ শাহ কামাল তাজ, খুলনা-৫ ড. মামুন রহমান, ডা. গাজী আবদুল হক। নড়াইল-১ বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম, নড়াইল-২ ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপির) চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ ধানের শীষ প্রতীক পেয়েছেন। সাতক্ষীরা-১ হাবিবুল ইসলাম হাবিব, মেহেরপুর-১ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি মাসুদ অরুণ, মেহেরপুর-২ জাভেদ মাসুদ মিল্টন, চুয়াডাঙ্গা-১ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান দুদু, চুয়াডাঙ্গা-২ মাহমুদ হাসান খান ওরফে বাবু খান। কুষ্টিয়া-১ রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা ও রমজান আলী, কুষ্টিয়া-২ ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী ও ফরিদা ইয়াসমিন, কুষ্টিয়া-৩, অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন ও জাকির হোসেন সরকার, কুষ্টিয়া-৪ সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী ও নুরুল ইসলাম আনসার প্রামাণিক, ঝিনাইদহ-১ কেন্দ্রীয় মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ এবং বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, ঝিনাইদহ-২ এসএম মশিউর রহমান এবং এমএ মজিদ, ঝিনাইদহ-৩ আসনে কণ্ঠশিল্পী মনির খান ও শহিদুল ইসলাম মাস্টারের ছেলে মেহেদী হাসান রনি, ঝিনাইদহ-৪ স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, মাগুরা-১ মনোয়ার হোসেন খান, মাগুরা-২ নিতাই রায় চৌধুরী ও মোজাফফর হোসেন টুকু, যশোর-১ আসনে মফিজুল হাসান তৃপ্তি ও হাসান জহির, যশোর-৩ অনিন্দ্য ইসলাম অমিত ও সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, যশোর-৪ টিএস আইয়–ব, মতিয়ার রহমান ফারাজী, সুকৃতি কুশার মণ্ডল, যশোর-৬ অমলেন্দু দাস অপু, আবুল হোসেন আজাদ ও আবদুস সামাদ বিশ্বাস। বাগেরহাট-১ শেখ মুজিবুর রহমান ও মাসুদ রানা, বাগেরহাট-২ জেলা বিএনপির সভাপতি এমএ সালাম ও আকরাম হোসেন, বাগেরহাট-৩ ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম, বাগেরহাট-৪ খায়রুজ্জামান শিপন ও অধ্যক্ষ আবদুল আলিম (জামায়াত)।

সিলেট বিভাগ : সিলেট-১ ইনাম আহমদ চৌধুরী ও খন্দকার আবদুল মুক্তাদির, সিলেট-২ তাহসিনা রুশদীর লুনা, সিলেট-৩ শফি আহমদ চৌধুরী ও ব্যারিস্টার এমএ সালাম, সিলেট-৪ আসনের দিলদার হোসেন সেলিম ও অ্যাডভোকেট শামসুজ্জামান জামান, সিলেট-৬ ফয়সল আহমদ চৌধুরী। সুনামগঞ্জ-১ নজির হোসেন, কামরুজ্জামান কামরুল ও আনিসুল হক, সুনামগঞ্জ-২ নাছির উদ্দিন চৌধুরী ও তাহির রায়হান চৌধুরী, সুনামগঞ্জ-৪ ফজলুল হক আসপিয়া ও দেওয়ান জয়নুল জাকেরিন, সুনামগঞ্জ-৫ কলিম উদ্দিন আহমদ ও মিজানুর রহমান চৌধুরী। মৌলভীবাজার-১ এবাদুর রহমান চৌধুরী ও নাসির উদ্দিন আহমদ মিঠু, মৌলভীবাজার-২ সুলতান মুহাম্মদ মনসুর (জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট), মৌলভীবাজার-৩ এম নাসের রহমান ও রেজিনা নাসের, মৌলভীবাজার-৪ মুজিবুর রহমান চৌধুরী ও মুঈদ আশিক চিশতী। হবিগঞ্জ-২ আসনে সাখাওয়াত হোসেন জীবন, হবিগঞ্জ-৩ আসনে জিকে গউছ।

চট্টগ্রাম বিভাগ : চট্টগ্রাম-১ কামাল উদ্দিন আহমেদ, নুরুল আমিন ও মনিরুল ইসলাম ইউসুফ, চট্টগ্রাম-২ গোলাম আকবর খন্দকার, ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী ও মো. সালাহউদ্দিন, চট্টগ্রাম-৩ মোস্তফা কামাল পাশা ও নুরুল মোস্তফা খোকন, চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) লায়ন আসলাম চৌধুরী ও এওয়াইবি সিদ্দিকী, চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন ও ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা, চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) কুতুব উদ্দিন বাহার ও শওকত আলীনুর, চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) মোরশেদ খান ও আবু সুফিয়ান, চট্টগ্রাম-৯ ডা. শাহাদাত হোসেন ও শামসুল আলম, চট্টগ্রাম-১০ আবদুল্লাহ আল নোমান ও মোশাররফ হোসেন দীপ্তি, চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা) সারওয়ার জামাল নিজাম ও মোস্তাফিজুর রহমান। চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, কুমিল্লা-১ ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও এমকে আনোয়ারের ছেলে, কুমিল্লা-২ ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও তার ছেলে খন্দকার মারুফ হোসেন, কুমিল্লা-৩ অধ্যাপক ড. শাহিদা রফিক, কুমিল্লা-৫ শওকত মাহমুদ ও অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনুস, কুমিল্লা-৬ আসনে হাজী আমিনুর রশিদ ইয়াসিন। লক্ষ্মীপুর-১ জোটের শরিকদের জন্য, লক্ষ্মীপুর-২ আবুল খায়ের ভূঁইয়া ও হারুন-অর রশীদ, লক্ষ্মীপুর-৩ শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও সাহাব উদ্দিন সাবু, লক্ষ্মীপুর-৪ আশরাফ উদ্দিন নিজান ও শফিউল বারী বাবু। চাঁদপুর-১ এহসানুল হক মিলন ও মোশারফ হোসেন, চাঁদপুর-২ ড. জালালউদ্দিন ও তানভীর হুদা, চাঁদপুর-৩ ফরিদ আহমেদ মানিক ও রাশেদা বেগম হীরা, চাঁদপুর-৪ সাবেক এমপি লায়ন হারুন অর রশীদ ও এম হান্নান, চাঁদপুর-৫ ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক ও এমএ মতিন। ফেনী-২ ভিপি জয়নাল, ফেনী-৩ আবদুল লতিফ জনি ও আকবর হোসেন।

সংস্কারপন্থী ও উত্তরাধিকার যারা মনোনয়ন পেলেন : সংস্কারপন্থী পরিচিত এমন ১৩ জনকে বিভিন্ন আসনের জন্য প্রাথমিকভাবে মনোনীত করেছে বিএনপি। তারা হলেন- রাজশাহী-৪ আসনে আবু হেনা, নওগাঁ-৬ আসনে আলমগীর কবির, বরিশাল-১ আসনে জহিরউদ্দিন স্বপন, নরসিংদী-৪ আসনে সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল, বরিশাল-২ শহীদুল হক জামাল, পটুয়াখালী-২ আসনে শহিদুল হক তালুকদার, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে আতাউর রহমান আঙ্গুর, ঝালকাঠি-২ ইলেন ভুট্টো, সুনামগঞ্জ-২ আসনে নাজির হোসেন, বগুড়া-৪ আসনে জিয়াউল হক মোল্লা, বগুড়া-৫ আসনে জিএম সিরাজ, যশোর-১ আসনে মফিকুল হাসান তৃপ্তি, জয়পুরহাট-২ আসনে আবু ইউসুফ খলিলুর রহমান। এ ছাড়া অনেক নেতার ছেলেমেয়ে, এমনকি স্ত্রীকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।

এদের মধ্যে আছেন মৌলভীবাজার-৩ আসনে প্রয়াত অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের ছেলে এম নাসের রহমান, পঞ্চগড়-১ আসনে ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকারের ছেলে ব্যারিস্টার নওশাদ জমির, যশোর-১ আসনে প্রয়াত তরিকুল ইসলামের ছেলে অনিন্দ ইসলাম অমিত, মানিকগঞ্জ-২ আসনে প্রয়াত খোন্দকার দেলোয়ারের ছেলে খোন্দকার আখতার হামিদ ডাবলু, গাজীপুর-৩ আসনে প্রয়াত আ স ম হান্নান শাহর ছেলে শাহ রিয়াজুল হান্নান, মানিকগঞ্জ-১ প্রয়াত শামসুল ইসলাম খানের ছেলে মাইনুল ইসলাম শান্ত, মানিকগঞ্জ-৩ আসনে প্রয়াত হারুনার রশীদ খান মুন্নুর মেয়ে আফরোজা খান রীতা, নওগাঁ-৩ আসনে প্রয়াত ডেপুটি স্পিকার আখতার হামিদ সিদ্দিকীর ছেলে পারভেজ হামিদ সিদ্দিকী, জয়পুরহাট-১ আসনে প্রয়াত মোজাহের আলী প্রধানের ছেলে মাসুদ রানা অথবা প্রয়াত আবদুল আলীমের ছেলে ফয়সল আলীম, চাঁদপুর-২ আসনে প্রয়াত নুরুল হুদার ছেলে তানভীর হুদা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনে প্রয়াত কাজী আনোয়ার হোসেনের ছেলে কাজী নাজমুল হোসেন তাপস, প্রয়াত ফজলুর রহমানের সহধর্মিণী অধ্যাপিকা কামরুন্নাহার শিরিন নাটোর-১ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন।

২০ দলীয় জোটের শরিকরা যেসব আসন পেলেন : ২০ দলীয় জোটের শরিকরা ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করবেন। মঙ্গলবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত মনোনয়নের চিঠি তাদের দেয়া হয়েছে। জাতীয় পার্টিকে পাঁচটি আসনে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। তারা হলেন- দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান টিআই ফজলে রাব্বি (গাইবান্ধা-১), মোস্তফা জামাল হায়দার (পিরোজপুর-১), এসএমএম আলম (চাঁদপুর-৩), আহসান হাবীব লিংকন (কুষ্টিয়া-২) ও সেলিম মাস্টার (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩)। এ ছাড়া ভোলা-১ আসনে বিজেপির আন্দালিব রহমান পার্থ, নড়াইল-২ এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ, চট্টগ্রাম-৫ আসনে কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিম, চট্টগ্রাম-১৪ আসনে এলডিপির অলি আহমদ, কুমিল্লা-৭ রেদোয়ান আহমেদ, লক্ষ্মীপুর-১ আসনে সাহাদাত হোসেন সেলিম, সুনামগঞ্জ-৩ আসনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামীর শাহিনুর পাশা।

নাগরিক ঐক্যকে ৯ আসন : জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শরিক মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্যকে ৯ আসন দিচ্ছে বিএনপি। এই ৯ জনের বেশিরভাগ নেতাকে সোমবার রাতে মনোনয়নের চিঠি দেয়া হয়েছে। নাগরিক ঐক্য থেকে যারা ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করবেন তারা হলেন- বগুড়া-২ আসনে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে ঐক্যের উপদেষ্টা এসএম আকরাম, ময়মনসিংহ-২ আসনে অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে মোবারক হোসেন, চাঁদপুর-৩ আসনে ফজলুল হক সরকার, সাতক্ষীরা-২ আসনে রবিউল ইসলাম, রংপুর-১ আসনে শাহ মো. রহমতউল্লাহ, রংপুর-৫ আসনে মোফাখখারুল ইসলাম নবাব, বরিশাল-৪ আসনে কেএম নুরুর রহমান।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version