এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : ভারতের প্রযুক্তি, ফার্ম ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। শুক্রবার ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ আশ্বাস দেন বলে রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে।
শিল্পোন্নত দেশগুলোর জি২০ সম্মেলনে যোগ দিতে দুই নেতাই এখন আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আয়ারসে রয়েছেন। সেখানে যুবরাজের আবাসস্থলে তাদের মধ্যে বৈঠক হয়েছে।
এ সময় ভারতকে তেল ও জ্বালানি সরবরাহে সৌদি আরবের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন যুবরাজ।
গত ২ অক্টোবর সৌদি কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার পর প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠান জি২০ সম্মেলনে যোগ দিলেন তিনি।
মোদিকে সৌদি যুবরাজ বলেন, ভারতের জাতীয় বিনিয়োগ ও অবকাঠামো তহবিলে তিনি দ্রুতই প্রাথমিক বিনিয়োগ চূড়ান্ত করতে যাচ্ছেন।
ভারতের এক শীর্ষ কূটনীতিক বলেন, বন্দর, মহাসড়কসহ বিভিন্ন মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নে জাতীয় বিনিয়োগ ও অবকাঠামো তহবিল গঠন করেছে ভারত।
মোদির সঙ্গে সম্মেলনে অংশ নেয়া ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিজয় গোখলে বলেন, বিনিয়োগের জন্য ভবিষ্যতের বিভিন্ন প্রকল্পের কথাও উল্লেখ করেছেন যুবরাজ।
সৌদি বার্তা সংস্থা জানায়, সৌদি আরব অন্যান্য দেশ থেকে কৃষিপণ্য আমদানির বদলে তা ভারত থেকে নেয়ার কথা বিবেচনা করছে বলে আলোচনা হয়েছে।
২০১৪ সালে ভারতীয় হিন্দু জাতীয়বাদী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর সৌদি আরবসহ অন্যান্য মুসলিম দেশের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে উদ্যোগ নেন নরেন্দ্র মোদি।
দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ হিসেবে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানো ও চিরবৈরী পাকিস্তানের ওপর সুবিধা নিতেই তিনি এমন উদ্যোগ নিয়েছেন।
সম্মেলনের ফাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর সৌদি যুবরাজের সঙ্গে বসেন তিনি।
গোকলে বলেন, আমরা প্রত্যাশা করছি-আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে ভারতে সৌদি বিনিয়োগ তাৎপর্যপূর্ণভাবে বেড়ে যাবে। দুই দেশ অস্ত্র উৎপাদন ও সৌদি আরবের নিজস্ব অস্ত্র কারখানা উন্নয়ন বিষয়েও তাদের কথা হয়েছে।
জ্বালানি মূল্যের স্থিতিশীলতার ওপর জোর দেন নরেন্দ্র মোদি। বিশ্বের শীর্ষ অপরিশোধিত তেল সরবরাহকারী দেশ হিসেবে সৌদি আরব জ্বালানিমূল্য বিশেষ করে ভারতের জন্য স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করতে পারে বলে দুই নেতা আলোচনা করেন।
বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ তেল আমদানিকারক দেশ হচ্ছে ভারত। ভারতের শোধনাগারে সৌদি তেল জায়ান্ট আরামকোর বিনিয়োগ নিয়েও মোদির সঙ্গে আলোচনা করেন এমবিএস নামে পরিচিত যুবরাজ।
ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় উপকূলে একটি বিশাল শোধনাগার স্থাপন প্রকল্প নিয়েও তাদের কথা হয়।