এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বৈশ্বিক উষ্ণতা দিন দিন বাড়ছে। এটা এখন সারা দুনিয়ার সমস্যা। এ নিয়ে বিশ্বনেতাদের উদ্বেগ ও আশঙ্কা থাকলেও পরিস্থিতির তেমন কোনো উন্নয়ন হচ্ছে না। বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে প্রাকৃতিক পরিবেশ যেমন ভারসাম্যহীন হচ্ছে, তেমনি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মানবদেহ। জলবায়ুর প্রভাবে সৃষ্ট বৈশ্বিক উষ্ণতা মানবদেহের হার্ট ও কিডনির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর বলে এক গবেষণায় বলা হয়েছে।

স্বাস্থ্য ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে দ্য ল্যানসেট সাময়িকীতে প্রকাশিত ওই গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, দাবদাহে ভারতে ২০১২ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে ৪ কোটি মানুষ উষ্ণতাজনিত সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছে, যা তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়িয়ে দিয়েছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সারা বিশ্বে আরও বেশি মানুষ হৃদ্‌যন্ত্রজনিত ঝুঁকি ও রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এতে ভারতের মতো দেশে দুর্গত এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

ওই গবেষণা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানাচ্ছে, তাপমাত্রা বাড়ার কারণে ৬৫ বছরের বেশি বয়সের মানুষ যাঁরা শহরে বাসা করেন, তাঁদের কার্ডিওভাসকুলার রোগ, ডায়াবেটিস ও দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসযন্ত্রের রোগ ধরা পড়ছে। এতে তাঁদের কার্ডিওভাসকুলার ও কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। ২০১৭ সালে দাবদাহের প্রভাবে ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে ১৫ কোটি ৭০ লাখের অধিক মানুষ স্বাস্থ্যগত সমস্যায় ভুগছে, যা ২০১৬ সালের তুলনায় ১ কোটি ৮ লাখ বেশি।

বর্ধিত তাপমাত্রা পেশাগত স্বাস্থ্য বিপত্তির একটি কারণ। শারীরিক সীমার বেশি তাপমাত্রা কর্মস্থলে কর্মক্ষমতায় কঠিন প্রভাব ফেলে। ২০১৭ সালে দাবদাহের কারণে ১৫৩ বিলিয়ন শ্রমঘণ্টা নষ্ট হয়েছে, যা ২০০০ সালের তুলনায় ৬২ বিলিয়ন ঘণ্টা বেশি।

ওই গবেষণার গবেষকেরা জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে প্রায় ৮০ শতাংশ ক্ষতি কৃষিক্ষেত্রে। ২০০০ সালে কৃষিক্ষেত্রে নষ্ট হয়েছে ৪০ হাজার মিলিয়ন শ্রমঘণ্টা এবং ২০১৭ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৬০ হাজার মিলিয়ন ঘণ্টা। একই ধরনের প্রভাব ক্ষুদ্রশিল্প ও সেবা খাতেও রয়েছে। এর প্রভাবে কর্মীদের শারীরিকভাবে কর্মক্ষমতা কমে।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version