এশিয়ান বাংলা, ঢাকা : উত্তর কোরিয়ার তিন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্কতা জানিয়েছে দেশটি। এই সিদ্ধান্তের ফলে কোরিয়ান পেনিনসুলায় পারমানবিক নিরস্ত্রীকরণের পথ চিরতরে বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্কতা দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে উত্তর কোরিয়ার তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির কয়েকদিন পর রোববার দেশটির পক্ষ থেকে এ সতর্কতা বার্তা দেয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে চো রেয়ং হে রয়েছেন, যাকে কিম জং উনের ডান হাত হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ খবর জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।

উওর কোরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থার কেসিএনএ খবরে এক বিবৃতি উল্লেখ করে জানানো হয়, পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার জন্য প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রচেষ্টার প্রশংসা করে উত্তর কোরিয়া। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উত্তর কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্টের সম্পর্ক গত বছরের জায়গায় নিয়ে যাবার চেষ্টায় আছে। যখন দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক গুলি বিনিময়ের মতো ঘটনায় পৌঁছে গিয়েছিল।

যদি ওয়াশিংটন মনে করে থাকে, নিষেধাজ্ঞা বাড়ানোর তাদের এই নীতি এবং চাপ আমাদেরকে পারমানবিক অস্ত্র ত্যাগে বাধ্য করবে, তাহলে এটা তাদের সবচেয়ে বড় ভুল। বরং এতে করে কোরিয়ান পেনিনসুলায় পারমানবিক নিরস্ত্রীকরণের পথ চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে।

গত বছর সিঙ্গাপুরে এক সম্মেলনে পারমানবিক নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ে ট্রাম্প ও কিম একটি চুক্তি সাক্ষর করেন। সে সময় থেকে এখনও পর্যন্ত এ চুক্তির সামান্যই অগ্রগতি হয়েছে। কারণ উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে চুড়ান্ত পারমানবিক নিরস্ত্রীকরণের ঘোষণা না আসা পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা জারি রাখার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। আর উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের এ দাবিকে দুর্বৃত্তস্বরূপ কার্যক্রম হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
এই পরিস্থিতির মধ্যেই এ তিন কর্মকর্তার উপর নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে সোমবার ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে জাননো হয়েছে, বাক স্বাধীনতা খর্ব করার দায়ে এ তিন কর্মকর্তার মার্কিন সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হতে পারে।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version