কূটনীতিক রিপোর্টার ঃ একতরফা নির্বাচন করে কারচুপির মাধ্যমে ফলাফল নিজেদের পক্ষে নিলেও নিরপেক্ষ কেউ যাতে কোন কথা বলতে না পারে সে ব্যবস্থা করছে আওয়ামী লীগ। আর তারই পদক্ষেপ হিসেবে বিদেশী পর্যবেক্ষকদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিচয়পত্র ও ভিসা ইস্যু না করেনি আওয়ামী লীগ সরকার। এ কারণে বাংলাদেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠানোর সিদ্ধান্ত বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশন (এনফ্রেল)। ন্যাশনাল ডেমক্রেটিক ইনস্টিটিউটের (এনডিআই) মাধ্যমে এনফ্রিলকে অর্থায়ন করে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। পর্যবেক্ষকদের ভিসা বাতিল করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের উপ-মুখপাত্র রবার্ট পাল্লাডিনো আজ ওয়াশিংটন থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন পর্যবেক্ষনের জন্য প্রয়োজনীয় সময়সীমার মধ্যে এনফ্রেলের অধিকাংশ পর্যবেক্ষককে প্রয়োজনীয় পরিচয়পত্র ও ভিসা দেয়ার বাংলাদেশ সরকারের ব্যর্থতায় যুক্তরাষ্ট্র ক্ষুদ্ধ। এর ফলে এনফ্রেল বাংলাদেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষক মিশন পাঠানোর সিদ্ধান্ত বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক মিশনের স্বল্পতা থাকবে। এ অবস্থায় স্থানীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোকে নিয়ে গঠিত ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের (ইডাব্লিউজি) সবাইকে পরিচয়পত্র দেয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাটা বাংলাদেশ সরকারের জন্য আরো বেশী গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ইডাব্লিউজির আওতাধীন অনেক এনজিওকে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা ইউএসএআইডি অর্থায়ন করে থাকে। নির্বাচন পর্যবেক্ষনে এ গ্রুপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
রবার্ট প্যালাডিনি বলেন, সরকারের অনুমতি পাওয়া স্থানীয় সংস্থাগুলো পর্যবেক্ষণের মতো অত্যাবশ্যক দায়িত্ব পালনে সহায়ক হবে। যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (ইউএসএআইডি) ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপকে আংশিকভাবে অর্থায়ন করেছে।
প্যালাডিনি বলেন, যেকোনো নির্বাচনকে সামনে রেখে শান্তিপূর্ণভাবে মতপ্রকাশ ও সমাবেশ করা, নির্বাচনের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে স্বাধীন গণমাধ্যমের কাজ করা, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীদের তথ্য পাওয়ার অধিকার থাকা এবং কোনো রকম হয়রানি, ভয়ভীতি কিংবা সহিংসতার ঊর্ধ্বে গিয়ে অবশ্যই ভোটাধিকার চর্চার পরিবেশ থাকা জরুরি।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version