এশিয়ান বাংলা, ঢাকা : নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। গতকাল রোববার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন ও মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পৃথক বিবৃতিতে আশা প্রকাশ করেছেন, সেনা মোতায়েনের ফলে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরে আসবে।

ড. কামাল হোসেন বলেন, নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই। আমরা আশা করি, সেনা মোতায়েনের ফলে নির্বাচনের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হবে। যা এর আগে ছিল না। আমরা আরো আশা করি, সেনাবাহিনী জনগণের স্বার্থের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে না, কোনো ব্যক্তিবিশেষ বা গোষ্ঠীর এজেন্ডা বাস্তবায়নেরও চেষ্টা করবে না। সেনাবাহিনী দেশ ও জনগণের সেবা করে, কারও পক্ষ হয়ে তারা সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি নষ্ট করবে না। বিবৃতিতে ড. কামাল বলেন, সেনাবাহিনীকে অবশ্যই সব রাজনৈতিক দলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে এবং ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে হবে।

ওদিকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতিতে বলেন, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী নিয়োগের সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই।

আমরা আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করি- সেনাবাহিনী নিয়োগের ফলে নির্বাচনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পরিবেশ সৃষ্টি হবে; যা এতদিন মোটেও বিদ্যমান ছিল না। তিনি বলেন, আমরা আশা করি- আমাদের দেশের গর্বিত সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্য জনগণের স্বার্থের পক্ষে কার্যকর ভূমিকা পালন করবেন। কোনোভাবেই একজন ব্যক্তি বা একটি গোষ্ঠীর পক্ষে কাজ করবেন না।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সব সময়ই দেশ ও জাতির সেবায় নিয়োজিত; কোনো ব্যক্তির স্বার্থ রক্ষার কারণে তাদের সুনাম ক্ষুণ্ন হতে পারে না। নির্বাচনে সকল রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতি আমি জোরালো আহ্বান জানাচ্ছি।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version