এশিয়ান বাংলা, ঢাকা : এবার হামলায় রক্তাক্ত হলেন ঢাকা-৩ আসনের বিএনপি প্রার্থী ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। গতকাল বিকালে কেরানীগঞ্জের কদমতলী এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের প্রচার মিছিলে হামলা করে বলে তার পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। হামলায় গয়েশ্বর ছাড়াও আরো অন্তত ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আহত হয়ে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে রাতেই রক্তাক্ত জামা কাপড় নিয়ে দলের গুলশানের কার্যালয়ে বৈঠকে অংশ নেন তিনি। এদিকে দেশের আরো কয়েকটি স্থানে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া সীতাকুণ্ডে আওয়ামী লীগের কর্মীদেরও ওপর পেট্রলবোমা হামলার অভিযোগ করা হয়েছে।
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি জানান, ঢাকা-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের গণসংযোগে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ কমপক্ষে ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোজাদ্দেদ আলী বাবু, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট সুলতান নাসের, অ্যাডভোকেট আবু বকর সিদ্দিক কাউছার, আনোয়ার হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা কামরুজ্জামান মিল্টন, আরিফ হোসেন, ছাত্রদল নেতা মো. জীবন, শ্রমিকদল নেতা মোল্লা আমজাদ হোসেন, মো. রুহুল, মো. মাহফুজের নাম জানা গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বিকাল ৫টায় শুভাঢ্যা ইউনিয়নের পরিচর্চা ক্লিনিকের সামনে।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের ছেলে অমিতাব রায় জানান, বিকালে জিনজিরাস্থ থানা বিএনপির প্রধান কার্যালয় থেকে আমার বাবা বিএনপির প্রার্থী গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের নেতৃত্বে একটি নির্বাচনী গণসংযোগ বের করা হয়। এই গণসংযোগে বিএনপির নেতাকর্মীসহ হাজার সমর্থক অংশ নেন। জিনজিরা জনি টাওয়ার, জিনজিরা ডাকপাড়া, কদমতলী গোলচত্বর এলাকা গণসংযোগ শেষে বেগুন বাড়ি পরিচর্চা হাসপাতালের সামনে পৌঁছলে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. সুমনের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন নেতাকর্মী অতর্কিতভাবে লাটিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। হামলায় গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের মাথা ফেটে গুরুতর আহত হন।
স্টাফ রিপোর্টার, মৌলভীবাজার থেকে জানান, কুলাউড়ার সদর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর বাজারে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ডাকসুর সাবেক ভিপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদের নির্বাচনী জনসভার প্যান্ডেল ভেঙে তার গণসংযোগে বাঁধা দেয়া হয়েছে। গতকাল দুপুরে কুলাউড়ার সদর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুরে এই ঘটনা ঘটে। পরে এই ভাঙা প্যান্ডেলেই জনসভা করেন সুলতান মনসুর। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ২৫-৩০ জন। ধানের শীষের সমর্থক ও কর্মীরা জানান পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে কুলাউড়ার সদর ইউনিয়নে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদের গণসংযোগ ছিল। আমরা আচরণ বিধি মেনেই প্রার্থীর সঙ্গী হয়েছিলাম। আমাদের গণজোয়ার দেখে শান্তিপূর্ণ এই গণসংযোগ নষ্ট করতে সকাল থেকেই স্থানীয় আওয়ামী লীগ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতারা স্থানে স্থানে গিয়ে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখায় স্থানীয় লোকজনকে।
তারা অভিযোগ করে বলেন দিনভর তারা দলবেঁধে আমাদের বেশ কয়টি পথসভার আয়োজন পণ্ড করে দেয়। পুলিশ আমাদের এই বেহাল অবস্থা দেখেও তাদের পক্ষ নিয়ে উল্টো আমাদের কর্মী সমর্থকসহ এলাকাবাসীকে বেধড়ক লাঠিচার্জ করেছে। পুলিশ ও নৌকা সমর্থকদের এই হামলার ঘটনায় মহিলাসহ প্রায় ২৫-৩০ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান সোমবার দুপুরে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জীবন রহমানের নেতৃত্বে একদল যুবক মিছিল করে এসে পূর্বনির্ধারিত জনসভার প্যান্ডেল ভাঙচুর করে।
এবং ১৫-২০ জন সমর্থককে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। সুলতান মনসুরের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান উপদেষ্টা সাবেক এমপি নবাব আলী আব্বাস বলেন, আমরা কি স্বাধীন দেশে আছি? আমাদের জনসভার প্যান্ডেল সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জীবনের নেতৃত্বে ভেঙে দেয়া হয়েছে। আমরা সেই ভাঙা প্যান্ডেলেই জনসভা করেছি। পুলিশ হামলাকারীদের না ধরে বরং তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে সারা গ্রামে হামলা চালিয়ে সাধারণ মানুষকে ধরে নিয়ে গেছে। এই ঘটনার পর আমরা গাজীপুরের একটি বাড়ির ঘরোয়া বৈঠক করছিলাম সেখানেও পুলিশ হামলাকারীদের সঙ্গে নিয়ে বাড়ির ভেতর ঢুকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে সব তছনছ করে দিয়েছে। তিনি বলেন রোববার সকাল থেকে পুলিশ বিনা কারণে আমাদের প্রতিপক্ষ হয়ে নৌকার সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে আমাদের ওপর হামলে পড়ছে। এ ব্যাপারে কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামীম মুসা জানান, তিনি ঘটনা শুনেছেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে।
সোনাগাজী প্রতিনিধি জানান, সোনাগাজী পৌরসভার ফায়ার সার্ভিস অফিস সংলগ্ন স্থানে গতকাল বিকালে বিএনপির প্রচার মাইক ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় প্রচার কাজে নিয়োজিত শিপন, জিহাদ, নূর আলম নামে তিনজনকে পিটিয়ে আহত করে সিএনজি অটোরিকশা ভাঙচুর করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ধানের শীষের প্রচার মাইক ঘটনাস্থলে পৌঁছলে মোটরসাইকেল যোগে ৭-৮ জন ব্যক্তি এসে ভাঙচুর করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
সোনাগাজী উপজেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন ঘটনার জন্য ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের দায়ী করে বলেন, নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। বিএনপি নেতার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে সোনাগাজী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল মোতালেব রবিন বলেন, ভাঙচুরের সঙ্গে ছাত্রলীগের কেউ জড়িত না। বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর ইউনিয়ন যুবলীগের কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর, ও গুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের মহাজোট প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকার সমর্থকরা স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল্লাহ আল কায়সারের সমর্থকদের ওপর এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠে। এ সময় ১০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। এ ছাড়াও যুবলীগ কার্যালয়ে চেয়ার, টেবিল, গ্লাস ভাঙচুর করে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল দুপুরে। হামলায় সাংবাদিকসহ ১৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা যায়। ঘটনার পর ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে লিয়াকত হোসেন খোকা মহাজোটের প্রার্থীর সমর্থক কাঁচপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ ওমরের ভাই বাবু ওমরের নেতৃত্বে রাশেদ, শহীদ, শাহ আলম মেম্বার, মাহবুব, আমজাদ, কালাম, নুরে আলম ভূঁইয়াসহ ৫০-৬০ জনের একটি দল লাঠিসোটা, হকিস্টিক, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল্লাহ আল কায়সারের সমর্থক কাঁচপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মাহবুবুর রহমানের কার্যালয়ে হামলা চালায়। এসময় বাবু ওমর তার হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ৫টি গুলি ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এসময় যুবলীগের কার্যালয়ের চেয়ার-টেবিল, গ্লাস, ভাঙচুর করে। হামলায় যুবলীগ নেতা এনামুল, আশরাফুল, রবি, জনি, মাহবুব, আরিফুল, খোকন, মাসুমসহ ১৪ জন আহত হয়। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর থেকে জানান, দিনাজপুর-১ (বীরগঞ্জ-কাহারোল) আসনে ২০দলীয় ঐক্যজোট বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের জামায়াতের প্রার্থী মাওলানা মোহাম্মদ হানিফের নির্বাচনী প্রচারণায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০ জন। ৩টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে।
গতকাল বিকাল সাড়ে ৪টায় দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার ১১ নং মরিচা ইউনিয়নের চৌদ্দহাট কালীবাজারে নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ ধানের শীষ প্রতীকের জামায়াতের প্রার্থী মাওলানা মোহাম্মদ হানিফের। তার অভিযোগ, নির্বাচনী প্রচারণার সময় হঠাৎ অতর্কিত হামলা চালায় নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় ধানের শীষ প্রতীকের ১০ নেতাকর্মীকে আটক করে রাখে তারা। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে উপজেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন মাওলানা মোহাম্মদ হানিফ।
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, সিরাজগঞ্জ-৩ আসন রায়গঞ্জে ধানের শীষের প্রার্থী বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল মান্নান তালুকদারের নির্বাচনী গণসংযোগকালে হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় দলের কার্যালয় ও একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা সদরের ধানগড়া বাজারে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- ঘুড়কা ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব আলী, উপজেলা জিয়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, ছাত্রদল কর্মী সাদী, হৃদয়, মোকাদ্দেস, হীরা সহ ১০ জন ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-আমিনসহ ৪ জন।
অপরদিকে, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরীফ বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা লাঠির সঙ্গে ধানের শীষ লাগিয়ে আওয়ামী লীগের কর্মীদের ওপর হামলা করে। এ সময় তারা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আল-আমিনসহ ৪ জনকে পিটিয়ে আহত করেন। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের প্রতিহত করলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি জানান, ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহে আসা যমুনা টিভি ও যুগান্তর পত্রিকার ১৬টি গাড়ি সন্ত্রাসীরা ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার কলাকোপা শামীম গেস্ট হাউসের সামনে এ হামলা হয় বলে জানা যায়।
দৈনিক যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার আজহারুল হক জানান, সোমবার বিকালে যমুনা টিভি ও যুগান্তর পত্রিকার প্রায় ৩০ জন সাংবাদিক নবাবগঞ্জে আসেন। তারা উপজেলার কলাকোপা এলাকায় শামীম গেস্ট হাউস ভাড়া নেন। সেখানে অবস্থানকালে রাত সাড়ে ১০টার দিকে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা গেস্ট হাউসের সামনে থাকা ১৬টি গাড়ি ভাঙচুর করে। নবাবগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক কামরুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। কে-বা কারা কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অপরাধীদের খুঁজে বের করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নওগাঁ প্রতিনিধি জানান, নওগাঁ-৬ আসনে বিএনপির প্রার্থী আলমগীর কবিরের গাড়িবহরে হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। হামলায় ১০ জন নেতাকর্মী আহত ও মাইক্রোবাস ভাঙচুর করেছে। বিএনপির প্রার্থী সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবির অভিযোগ করে বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রানীনগর উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে গণসংযোগ শেষ করে আসার পথে কাশিমপুর রাজবাড়ীর মোড় নামক স্থানে দুর্বৃত্তরা গাড়িতে হামলা চালায়। আহতরা হলেন, রানীনগর থানা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মাস্টার নজরুল ইসলাম, কাশিমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুনজুর রশীদ, গোনা ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সুইট, বিএনপি নেতা জিন্নাহ ও রাসেল, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক সোহাগ হোসেন সোহাগ ও রাহুল চৌধুরী রুহুল, সহ সাধারণ সম্পাদক সিপলু হোসেন বাহাদুর, জেলা ছাত্রদলের সদস্য শিমুল, রানীনগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য বেলালসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে মুনজুর রশীদ ও সুইটের অবস্থা আশংকাজনক। আহতদের নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে রানীনগর থানার ওসি এএসএম সিদ্দিকুর রহমান জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।