এশিয়ান বাংলা, যশোর : ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যশোর বিএনপির শীর্ষ ৫ নেতাকে গ্রেপ্তার করার পর বুধবার বিকালে স্ত্রীকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন যশোর-৩ (সদর) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। যশোর প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত কয়েক দিনে শুধু যশোর-৩ আসন এলাকা থেকেই আমার প্রায় আড়াইশ’ পদধারী নেতাকে আটক করা হয়েছে। বাকিরা এখন গ্রেপ্তার এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দফায় দফায় লিখিত ও মৌখিকভাবে অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে অমিত বলেন, গত সপ্তাহে যখন আমি এখানে সংবাদ সম্মেলন করেছিলাম, আমার ডানে-বাঁয়ে অনেক নেতাকর্মীদের আপনারা দেখেছিলেন। মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানেই দেখতে পাচ্ছেন আজকের সংবাদ সম্মেলনে আমি ও আমার স্ত্রী ছাড়া ডানে-বাঁয়ে কেউ নেই। অমিত বলেন, আমার নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা বেশিরভাগ নেতাকর্মীকে গত দুই-তিনদিনের মধ্যে জেলে ঢোকানো হয়েছে। বাকিরা গ্রেপ্তার এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

আমার পোলিং এজেন্টদের চিঠিতে স্বাক্ষর করার মতো নেতাও এখন আর বাইরে নেই। তিনি বলেন, প্রশাসন যেভাবে ভোট করছে তাতে আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী দেয়ার দরকার ছিল না। কলাগাছ দাঁড় করিয়ে দিয়েও পাস করাতে পারতো। যশোর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সব আয়োজন বাদ রেখে আসুন। যশোরের প্রতিটি ইউনিয়নে, প্রতিটি ওয়ার্ডে, গ্রামে গ্রামে প্রমাণ করে দেবো কার জনপ্রিয়তা বেশি।
সংবাদ সম্মেলনে অমিতের সঙ্গে থাকা তার স্ত্রী সোহানা পারভীন বলেন, আমি মঙ্গলবার যশোর শহরের দুই নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় গণসংযোগে গিয়েছিলাম। সেখানে ঘরের মধ্যেও নারীরা আমার সঙ্গে ফিসফিস করে কথা বলেছে। ঘরের বাইরে আমাদের সঙ্গে কেউ কথা বলতে সাহস পাচ্ছে না। সোহানা বলেন, আমরা জানি, সবাই টের পাচ্ছে, সাংবাদিকসহ সবাই এখন ফিসফিস করে কথা বলছে, লিখছে। সরকার পুরো জাতিকেই ফিসফিসানির মধ্যে ফেলে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ও যশোর সদর আসনের সাবেক এমপি তরিকুল ইসলামের ছোট ছেলে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত এবারই প্রথম জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। তিনি দলের খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বেও রয়েছেন।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version