এশিয়ান বাংলা, পাবনা : প্রচার প্রচারণার শেষ মুহূর্তেও হামলার শিকার হয়েছেন প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকরা। প্রচার বহরে হামলা ও যানবাহন ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে। প্রচারে বাধা ও বিরোধী প্রার্থীদের অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। পাবনায় হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবীব। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনা হয়েছে। চট্টগ্রামে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের প্রচারে হামলা চালানো হয়েছে। প্রাণে বাঁচতে একটি বাড়িতে তিনি আশ্রয় নিলে ওই বাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়।
স্টাফ রিপোর্টার পাবনা থেকে জানান, পাবনা-৪ আসনের (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত) বিএনপির প্রার্থীর গণসংযোগে হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা।

হামলায় বিএনপির প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরো ১০ জন আহত হয়েছে বলে বিএনপি দাবি করেছে। বিএনপির দাবী হামলাকারীরা সবাই ছাত্র লীগ ও যুব লীগের নেতাকর্মী। বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে পাবনা-ঈশ্বরদী মহাসড়কের আলহাজ মোড়ে এই ঘটনা ঘটে। ম্যাজিস্ট্রেটসহ পুলিশ ও বিজেপি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আহত হাবিবুর রহমান হাবিবকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাবনা থেকে হেলিকপ্টার যোগে ঢাকায় নেয়া হয়েছে।
ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জহুরুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, বেলা ১২টার দিকে ঈশ্বরদীর আলহাজ উচ্চবিদ্যালয় মাঠে নির্বাচনী প্রচারণার জন্য ধানের শীষের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব ও তার নেতাকর্মীরা জড়ো হন। এ সময় হঠাৎ করে দুর্বৃত্তরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। দুর্বৃত্তরা হাবিবুর রহমান হাবিবকে কুপিয়ে জখম করে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে বিএনপি প্রার্থী হাবিবের কোমরের নীচে ও পায়ে জখম করা হয়েছে। এ সময় নেতাকর্মীরা বাধা দিতে গেলে তাদের ওপরও হামলা চালানো হয় দাবি করে বিএনপি বলেছে, এই ঘটনায় আহসানুল ইসলাম রিপন, বাচ্চু, সরদার আতাউর রহমান, বরকত আলী, রমজান আলী, ভোলা প্রামাণিক ও বীর হোসেনসহ অন্তত দশ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে জানান, চট্টগ্রাম-৫ হাটহাজারী আসনে নির্বাচনী প্রচারের সময় ধানের শীষের প্রার্থী কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের প্রাণনাশের চেষ্টায় হামলা চালানো হয়েছে। হামলার সময় প্রাণে বাঁচতে একটি বাড়িতে আশ্রয় নিলে ওই বাড়িও ভাঙচুর করা হয়। এ সময় তাকে রক্ষায় এগিয়ে আসা সমর্থকদের ওপরও হামলা চালানো হয়েছে। এতে ১৪ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। প্রচারণায় ব্যবহৃত নয়টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে জানান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম। বুধবার বিকাল ৫টার দিকে হাটহাজারী উপজেলার ধলই ইউনিয়নের মনিয়াপুকুর গ্রাম থেকে নির্বাচনী গণসংযোগ শেষে ফেরার পথে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কের ওপর এই হামলা চালানো হয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে: ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনে বিএনপির প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামলের বাড়িতে গতকাল ব্যাপক অভিযান চালিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। দুই ঘণ্টার অভিযান শেষে বাসার চাকর, দারোয়ান ও দলের ১৬ নেতাকর্মীকে আটক করে তারা। পরে অবশ্য ৪ জনকে ছেড়ে দেয়া হয়। অভিযানে পুলিশ চারটি ককটেল ও চারটি পেট্রোল বোমা উদ্ধার দেখিয়েছে। এছাড়া ওই বাড়ি থেকে দুটি ল্যাপটপ ও সিসি ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণের একটি মেশিনও জব্দ করে নিয়ে যায় পুলিশ।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম উদ্দিন ও পরিদর্শক জিয়াউল হক বলেন, অভিযান চালিয়ে বিএনপির প্রার্থীর বাড়ি থেকে চারটি ককটেল ও চারটি পেট্রোল বোমা উদ্ধার করা হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি জানান, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নির্বাচনী আসন ঠাকুরগাঁও-১ এ নির্বাচনী প্রচারণায় লিফলেট বিতরনের সময় তার সহধর্মিণীর ওপর ছাত্রলীগ হামলার চেষ্টার অভিযোগ করেছে জেলা বিএনপি। বুধবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও কালীবাড়ী এলাকায় মির্জা ফখরুলের নিজ বাসভবনে সহধর্মিণী রাহাত আরা বেগম এই অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি বলেন, বুধবার সকালে ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের বসিরপাড়া এলাকায় ধানের শীষের প্রচারণা ও লিফলেট বিতরণ করতে গেলে ছাত্রলীগের ছেলেরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলার চেষ্টার করে। পরে তাদেরকে অনুরোধ করে প্রাণের ভয়ে আমরা কোনো মতে ওই স্থান ত্যাগ করি। এভাবে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আশা করা যায় না। প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনকে আহবান করবো এ সময় বিষয়গুলো গুরুত্বসহকারে দেখার জন্য ও দ্রুত প্রতিরোধ যেন করা হয়।
স্টাফ রিপোর্টার, টাঙ্গাইল থেকে জানান, টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের জাতীয় পার্টির (এরশাদ) প্রার্থী পীরজাদা সফিউল্লাহ আল মুনিরের গাড়িতে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তার দুটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। গতকাল বিকেলের দিকে টাঙ্গাইল শহরের মসজিদ রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে মনিরের মামাসহ তিনজন আহত হয়েছে। পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আহাদুজ্জামান জানান, লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী সফিউল্লাহ আল মনিরের মামা মহব্বত হোসেন ব্যবসায়িক কাজে টাঙ্গাইল শহরের মসজিদ রোডের একটি ব্যাংক থেকে ৫০ লাখ টাকা উত্তোলন করেন। টাকা নিয়ে যাওয়ার পথে গাড়িবহরে দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। এ সময় দুটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
স্টাফ রিপোর্টার, হবিগঞ্জ থেকে জানান, হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদিরের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সন্ধ্যায় উপজেলার সাকির মোহাম্মদপুর বাজারে গণসংযোগকালে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় ৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। খেলাফত নেতারা অভিযোগ করেন, বিকেলে চুনারুঘাট সাকির মোহাম্মদপুর বাজারে গণসংযোগ করছিলেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদিরসহ নেতাকর্মীরা। সন্ধ্যায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সবুজের নেতৃত্বে একদল যুবক তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় আহমদ আবদুল কাদের একটি দোকানে আশ্রয় নিয়ে রক্ষা পান। তবে হামলায় আহত হন উপজেলা কৃষকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজুল ইসলাম লস্কর, খেলাফত নেতা এনামুল হক আজহারী, রুহুল আমীন, নাসির আহমদ ও আফতাব আহমেদ। আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
চরজব্বর (নোয়াখালী) প্রতিনিধি জানান, আগামী ৩০শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-৪ আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মো. শাহজাহানের সমর্থনে নির্বাচনী প্রচারণা ও ভোটের চিঠি বিলির সময় সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে বিনা ওয়ারেন্টে সাত নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে সুধারাম থানা পুলিশ।
মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি জানান, যশোরের মণিরামপুরে বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে মুখোশ পরা একদল দুর্বৃত্ত উপজেলার শ্যামকুড় ইউনিয়নের লাউড়ী মাদরাসা মোড়, দক্ষিণ লাউড়ী, লাউড়ী ভাবির মোড় ও শ্যামকুড় বুজতলা বাজারে গিয়ে মুদি দোকান, চায়ের দোকান, কম্পিউটারের দোকানসহ অন্তত ৮টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। এ সময় তারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এবং জসিম উদ্দীন, বিল্লাল হোসেন, আমিনুর রহমান, শফিকুল ইসলাম ও সাখাওয়াত হোসেনকে মারধর করে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় লাউড়ী মাদরাসা মোড়ের হাবিবুর রহমান, দক্ষিণ লাউড়ী গ্রামের আসাদুল ইসলাম ও মাজেদুল ইসলাম, লাউড়ী গ্রামের ভাবির মোড়ের জসিম উদ্দীন, কামরুল ইসলাম, নাজমুল ইসলাম ও ফিরোজ হোসেন এবং শ্যামকুড় বুজতলা বাজারের কবির হোসেন ও ডাক্তার মশিয়ার রহমানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
রাজাপুর (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি জানান, ঝালকাঠির রাজাপুরে দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে পুড়ে গেছে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচার কেন্দ্র ও দুইটি দোকান। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়নের হাইলাকাঠি গ্রামের পাড়েরহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে প্রচার কেন্দ্র দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গতরাত ১টার দিকে দুর্বৃত্তরা নৌকার প্রতীকের এ নির্বাচনী কার্যালয়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ওই প্রচার কেন্দ্রসহ পাশের জলিলের চায়ের দোকান ও মিজানের ইলেকট্রনিক্সের দোকন পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুনে নৌকার প্রতীকের এ নির্বাচনী কার্যালয়ের সাউন্ড বক্স, চেয়ার-টেবিলসহ আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এছাড়া ওই দোকান দুটির কম্পিউটার, মোবাইলসহ মালামাল পুড়ে ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।
রাজাপুর থানার ওসি মো. জাহিদ হোসেন জানিয়েছে, আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দেলদুয়ার (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি জানান, টাঙ্গাইল-৬ (দেলদুয়ার-নাগরপুর) আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গৌতম চক্রবর্তীর ওপর হামলা হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত আরো ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। সঙ্গে থাকা তার নির্বাচনী প্রচারণার গাড়িটিও ভাঙচুর করা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় নাগরপুর উপজেলার ধুবড়িয়ায় পথসভা শেষে ফেরার পথে তার ওপর এ হামলা হয়। এ হামলার ঘটনা প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ প্রার্থী আহসানুল ইসলাম টিটুর লোকজন ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। অ্যাডভোকেট গৌতম চক্রবর্তী আহত হয়ে নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন।

এ ব্যাপারে সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট গৌতম চক্রবর্তী জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নাগরপুর উপজেলার ধুবড়িয়ায় পথসভা শেষে ফেরার সময় একদল সন্ত্রাসী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার ও নেতা-কর্মীদের উপর হামলা করে। আমাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। নেতাকর্মীদের ওপরও হামলা হয়েছে। ঘটনার পরেই নাগরপুর থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেছি। চরম নিরাপত্তাহীনতায় নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারছি না।
স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার থেকে জানান, কক্সবাজার-১ (সদর-রামু) আসনে বিএনপির মনোনীত ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী লুৎফুর রহমান কাজলের ধানের শীষের কার্যালয় ভাঙচুর ও কর্মীদের প্রকাশ্যে তার প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রতীকের প্রার্থীর নেতৃত্বে হামলা ও পুলিশি বাধার অভিযোগ তুলেছেন। এছাড়া পাল্টা কর্মসূচি ও পুলিশি নিষেধাজ্ঞার কারণে মঙ্গলবার রামুতে তার নির্ধারিত গণসংযোগ কর্মসূচি বাতিল করতেও বাধ্য হন বলেও জানান।
তিনি বলেন, একদিকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর নেতৃত্বে হামলা চলছে। অন্যদিকে চলছে পুলিশের মামলা-হামলা ও গ্রেপ্তার-হয়রানি।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version