রাজশাহী প্রতিনিধি ঃ সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের নওহাটার ঐক্যফ্রন্টের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয় ভাংচুরসহ নেতা কর্মীদের হুমকি দিয়ে এলাকা ছাড়া করেছে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা। এছাড়া আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা বিএনপি ও জামায়াতের নেতা কর্মীদের মারধর ও হুমকি দিয়ে নির্বাচনী কার্যক্রমে বাধা দিয়েছে। সন্ত্রাসীদের হুমকির কারনে বাড়িতে থাকতে পারেনি ধানের শীষের নেতা, কর্মী ও সমর্থকরা।
জানা যায় , ২৩ ডিসেম্বর রোববার রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে বিএনপি প্রার্থী শফিকুল হক মিলনের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট মকবুল হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মকবুল হোসেন নওহাটা পৌরসভার মেয়র ও পৌর বিএনপির সভাপতি। এদিকে কেশরহাট পৌরসভার সাকোয়া গ্রামের ধানের শীষ প্রতীকের নির্বাচনী কার্যালয়ে দায়িত্বরত সাকোয়া গ্রামের ইউনুছের ছেলে এহসানকে ২১ ডিসেম্বর রাত ৮ টার দিকে ছুরিকাঘাত করে নির্বাচনী কার্যালয় ভাংচুর করেছে নৌকা প্রতীকের সমর্থক সন্ত্রাসীরা। আহত এহসান রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৫ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। আর ২২ ডিসেম্বর দুপুর ২ টার দিকে পবা উপজেলার দামকুরা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে ৪ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আবদুল কাদেরকে কোন মামলা বা ওয়ারেন্ট ছাড়াই ধানের শীষ প্রতীকের সমর্থক হওয়ায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নির্বাচনের আগের দিন ২৯ ডিসেম্বর জামায়াত নেতা রোকতা হাসানের বাবা হাতেম আলী ও ছোট ভাই মোঃ রয়েল হোসেন এলাকায় গিয়েছিল ধানের শীষের প্রচারণা করতে। এসময় তাদের প্রচারণা না করতে হুমকি দেয় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নৌকার সমর্থকরা। নির্বাচনের দিন ৩০ ডিসেম্বর হাতেম আলী ও রয়েল হোসেন ভোট দিতে গেলে তাদের প্রতি ককটেল নিক্ষেপ করে একই সন্ত্রাসীরা। তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের কারনে হাতেম আলী তার ছেলেসহ ধানের শীষের ভোটাররা ভোট কেন্দ্র ত্যাগ করে আত্নরক্ষা করে ।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version