এশিয়ান বাংলা, ঢাকা : ২০১৮ সালে সারা দেশে ৯৪২টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার ৬৯৭ জন, গণধর্ষণের শিকার ১৮২ জন, ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছে ৬৩ জন। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদের এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। সংস্থাটি ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৪টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করে। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয় গত ১ বছরে উদ্বেগজনকহারে ধর্ষণের ঘটনা বৃদ্ধিসহ মোট ৩৯১৮ জন নারী ও কন্যা নির্যাতনের শিকার হয়েছে।

এছাড়া ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ১২৮ জনকে, শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে ৭১ জন, যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৪৬ জন। এসিড সন্ত্রাসের শিকার হয়েছে ১৯ জন। তার মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের।

অগ্নিদগ্ধ হয়েছে ৭৩ জন, এর মধ্যে অগ্নিদগ্ধের কারণে মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের। অপহরণের ঘটনা ঘটেছে মোট ১৪৫ টি। নারী ও শিশু পাচার করা হয়েছে ৪১ জন, তার মধ্যে পতিতালয়ে বিক্রি করা হয়েছে ১৫ জনকে।

৪৮৮ জন নারী ও শিশুকে হত্যা করা হয়েছে, হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে ৩৯ জনকে। প্রতিবেদনে বলা হয় যৌতুকের জন্য নির্যাতনের শিকার হয়েছে ২১২ জন নারী। যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে ১০২ জনকে। গৃহপরিচারিকা নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৮৭ জন, তার মধ্যে হত্যা করা হয়েছে ৫৮ জনকে এবং নির্যাতনের কারণে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে ৪ জন। উত্ত্যক্ত করা হয়েছে ১৭১ জনকে, তার মধ্যে উত্ত্যক্তের কারণে আত্মহত্যা করেছে ১৪ জন। ফতোয়ার শিকার হয়েছে ১২ জন। বিভিন্ন নির্যাতনের কারণে ৩০৫ জন আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে এবং আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে ১৮ জন, আত্মহত্যায় প্ররোচনার শিকার ৪৭ জন এবং ৩৭৭ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।

এছাড়া, বাল্যবিবাহ সংক্রান্ত ঘটনা ঘটেছে ১৯৩ টি, তার মধ্যে ৫২ টি বাল্যবিবাহ সম্পন্ন হয়েছে এবং প্রতিরোধ করা হয়েছে ১৪১ টি। পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৯ জন। শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে ২৮১ জনকে। জোরপূর্বক বিয়ের শিকার হয়েছে ২১ জন।

Share.

Comments are closed.

Exit mobile version