এশিয়ান বাংলা, ঢাকা : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। গতকাল আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) এক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সমাপনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন প্রতিক্রিয়া জানান তিনি। টিআইবির প্রতিবেদন প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, আমি পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করছি। এগুলো ঠিক রিপোর্ট না। গণমাধ্যম থেকে যে তথ্য পেয়েছি তাতে কোথাও এ বিষয়ে কোনো রকমের কোনো অভিযোগ আসেনি।
নির্বাচনে কমিশনের ভূমিকা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ টিআইবির এমন বক্তব্যের বিষয়ে কে এম নূরুল হুদা বলেন, এটা অসৌজন্যমূলক বক্তব্য। লজ্জাজনক এ কথাগুলো বলা ঠিক হয়নি। টিআইবির প্রতিবেদনের বিপরীতে কোনো পদক্ষেপ নিবেন না বলেও এ সময় সাংবাদিকদের জানান সিইসি।
আরেক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, গণমাধ্যম, আমাদের কর্মকর্তা, নির্বাচনী তদন্ত কমিটি, ম্যাজিস্ট্রেটদের কাছ থেকে তথ্য নিয়েছি। এমন হয়নি। টিআইবি যে রকম বলেছে তার সত্যতা নেই। তার আগে আনুষ্ঠানিক বক্তব্যে মার্চে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরশেন (ডিএনসিসি) নির্বাচনের ইঙ্গিত দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। ডিএনসিসি’র নির্বাচন নিয়ে আইনি বাধা কেটে যাওয়ায় আগামী মার্চ মাসে নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হতে পারে বলে জানান সিইসি। নির্বাচনের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে কমিশনের সঙ্গে বসতে হবে। আমরা তাড়াতাড়ি এই নির্বাচন করে ফেলবো।
এদিকে, আগামী মার্চে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা রয়েছে। এতে কোনো সমস্যা হবে কি না জানতে চাইলে সিইসি বলেন, মার্চে শুরু হতে যাওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মাঝে ডিএনসিসির ভোটগ্রহণ করা হবে। তবে এ বিষয়ে কমিশনে আরো বিস্তারিত আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে বলেও মত জানান কে এম নূরুল হুদা। তিনি বলেন, এখানে পুনঃতফসিল করা হবে। সবার সঙ্গে আলোচনা করে তাড়াতাড়ি করে ফেলবো।
উপজেলা নির্বাচন এতে কোনো প্রভাব ফেলবে না। ২০১৮ সালের ১৭ ও ১৮ই জানুয়ারি ঢাকার দুই সিটির নির্বাচনের বিষয়ে স্থগিতাদেশ দেন হাইকোর্ট। ওই বছর ৯ই জানুয়ারি ডিএনসিসি’র মেয়র পদে উপ-নির্বাচন, নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের সাধারণ নির্বাচন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের সাধারণ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তফসিল ?অনুযায়ী গত বছরের ১৮ই জানুয়ারি ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময়। আর ভোটগ্রহণের কথা ছিল ২৬শে ফেব্রুয়ারি। কিন্তু একটি রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে ছয় মাস নির্বাচন স্থগিত রাখতে আদেশ দিয়েছিল দেশের উচ্চ আদালত।